আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবরোধে জ্বালানিশূন্য বেনাপোল-শার্শার পাম্প

পেট্রোল পাম্পের মালিকরা দাবি করেছেন, অবরোধের শুরুর দিকে পুরনো মজুদ জ্বালানি নিয়ে কিছুদিন চলেছে পাম্পগুলো। পরে অবরোধের মাঝে মাঝে বিরতিতে অল্প পরিমাণে জ্বালানি সরবরাহ করা হলেও তা থেকে মজুদ করার উপায় ছিল না।
বেনাপোল ও শার্শার পেট্রোল পাম্পগুলোয় খুলনার পদ্মা ও মেঘনার ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সবরাহ করা হয়। কিন্তু অবরোধে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে খুলনা থেকে পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন আনা যাচ্ছে না।
বেনাপোলের কাগজপুকুর এলাকার শাহজালাল ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মুস্তাক হোসেন জানান, খুলনা থেকে তেলবাহী গাড়ি আসতে না পারায় গত ৭/৮ দিন ধরে তাদের পাম্পে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন নেই।


বেনাপোল ফিলিং স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের পাম্পে প্রায় ২৫ হাজার লিটার ডিজেল মজুদ রাখা যায়। আর প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হরতাল অবরোধ না থাকলে গড়ে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর থেকে দুই শতাধিক কভার্ড ভ্যানসহ ৭০০ পণ্যবাহী ট্রাক সারা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যায়।
“এসব গাড়ির অধিকাংশই বেনাপোলের বিভিন্ন পাম্প থেকে ডিজেল নেয়। কিন্তু অবরোধের কারণে পাম্পগুলো ডিজেল দিতে না পারায় পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।


এদিকে পাম্পগুলোয় জ্বালানি তেল না থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতারা তাদের কাছে মজুদ ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে কৃষকরা বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিতে চড়া দামে ডিজেল কিনে শ্যালো মেশিন চালাচ্ছেন। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অনেক কৃষক জমিতে সেচও দিতে পারছেন না।  
বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, “পাম্পে ডিজেল না থাকায় শ্যালো মেশিন চালাতে পারছি না”
হরতাল-অবরোধের সময় একমাত্র বাহন হিসেবে ব্যবহৃত শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমনের মালিক জামতলার আব্দুল খালেক বলেন, শার্শা উপজেলায় কমপক্ষে ৫ হাজার নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ট্রলি ও জিএসএ চলে। এগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার লিটার ডিজেল প্রয়োজন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।