রোববার এমনই বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছিল দেশটির পূর্ব উপকূলের ফিলাডেলফিয়া থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক শহর ও নিউ ইংল্যান্ডের কয়েকটি এলাকাজুড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগের (এনডব্লিউএস) বর্ণনানুযায়ী, দেশটির পূর্বাঞ্চলের অর্ধাংশ শীতকালীন আবহাওয়ার ‘খিচুরিতে’ পরিণত হচ্ছে।
এনডব্লিউএস’র আবহাওয়াবিদ ব্রুস সুলিভান বলেন, “এই ঝড়টির মধ্যে বৃষ্টি থেকে শুরু করে বন্যা, তীব্র বাতাস, বরফ ও তুষার সবকিছুই একটু একটু করে আছে। অসাধারণ ব্যাপার হল এসবের মধ্যে যে বাতাস বইছে তা উষ্ণ। ”
সোমবার পর্যন্ত পূর্ব উপকূলে আবহাওয়ার এই অদ্ভুত আচরণ বিরাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বড়দিনের ছুটি শুরু হওয়ার ঠিক আগে আগে এ ধরনের আবহাওয়ায় ব্যস্ত ভ্রমণপর্বে জড়িত সবার জন্যই দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। তীব্র বাতাস ও কুয়াশার কারণে ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্কের বিমান চলাচল ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। রোববার পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েকশ’ বিমান যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
অস্বাভাবিক এই শীতকালীন ঝড়ের ঘনঘটায়ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোয় তাপ প্রবাহ বয়ে গেছে। নিউইয়র্কের তাপমাত্রা রোববার বছরের এই সময়ে ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৬৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে ৭১ ডিগ্রিতে উঠে গেছে।
একই দিন ফিলাডেলফিয়ায়ও তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ বলে জানিয়েছেন সুলিভান।
তাপ প্রবাহ উত্তরে মেরুবৃত্ত পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পর উত্তরের নিউইয়র্ক, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পাশায়ার ও মেইন রাজ্যে তীব্র বরফ ঝড় (তীব্র ঠাণ্ডার কারণে বৃষ্টি ফোঁটা মাটিতে পড়ার আগেই বরফে পরিণত হয়, এটি তুষার ঝড় নয়) বয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সুলিভান।
রোববার নিউইংল্যান্ডের ছয়টি রাজ্যজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বিদ্যুতের তার ও রাস্তার ওপর দুই ইঞ্চিরও বেশি বরফ জমে যাওয়ার কারণে গাড়ি চালকদের সাবধানে চলাফেরা করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
বরফ ঝড়ের কারণে নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো রাজ্যের চারটি বিভাগে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
শনিবার এই শক্তিশালী ঝড়ো আবহাওয়ায় ন্যূনতম একটি টর্নেডো তৈরি হয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আঘাতে অন্ততপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মিসিসিপিতে চলন্ত গাড়ির ওপর গাছ উপড়ে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। প্রবল বাতাসে মোবাইল বাড়ি উড়ে নিয়ে গেলে একজন নিহত হন।
কেন্টাকিতে ডুবে মারা গেছেন অপর একজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।