আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি
গণজাগরন মঞ্চে কারা যায় বা কারা গিয়েছিলো?
হরেক রকমের মানুষ এই গণজাগরনমঞ্চে গিয়েছিলো। তাদের ভিতর ছিলো সাধারন অনলাইন এক্টিভিস্ট, বামের রাজনীতি করা লোক, আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী নেতা, আওয়ামী লীগের সমর্থক, নাস্তিক, মাওলানা, বিএনপির সমর্থক আরো নানা ট্যাগের নানা ধরনের মানুষ গণজগরন মঞ্চে গিয়েছে বা গিয়েছিলো। তবে সবার ভিতর একজায়গায় মিল ছিলো আর তা হলো এরা সবাই যুদ্ধাপরাধীদের সর্বচ্চো শাস্তি আর জামাত শিবিরের নিষিদ্ধ চেয়েছে। হরেক রকম মানুষের কারনে হরেক রকম কাজ কারবার হয়েছে এই গণ জাগরন মঞ্চে। কেউ স্লোগান দিয়েছে, কেউ গান গেয়েছে, কেউ কবিতা আবৃত্তি করেছে, কেউ মশাল মিছিল করেছে, কেউ মোমবাতি জ্বালিয়েছে,কেউবা শুধু দেখেছ।
এই বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত সবার যেমন মূললক্ষ্য ছিলো যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি এবং জামাত শিবিরের নিষিদ্ধ তেমনি স্বাধীনতা বিরোধীদেরও মূল লক্ষ্য ছিলো এইটাকে নষ্ট করা। তারা হেন কোন চেষ্টা নাই যা চালায় নাই এইটাকে বিনষ্ট করতে। যাই হোক আমি গণজাগরনের সক্রিয় কর্মী এবং সমর্থক ছিলাম কিন্তু এর মানে কখনো এই ছিলো না যে গণজাগরনের ব্যাপারে অন্ধ সমর্থক ছিলাম। যখনই গণজাগরন মঞ্চ থেকে রাজাকারদের ফাঁসী, জামাত শিবিরের স্লোগান দেওয়া হয়েছে তখন আমিও তাতে গলা মিলাইছি। আবার যখনই সেখান থেকে স্লোগান তোলা হইছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ কর কিংবা বঙ্গবন্ধু বিহীন জয় বাংলা তখন আমি ক্ষুব্ধ হইছি।
যখনই মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান পুনুরুদ্ধারের জন্য যেমন জয় বাংলা, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা , তুমি কে ? আমি কে? বাঙ্গালী বাঙ্গালী বলা হইছে তখন আমি আপ্লুত হইছি কিন্তু যখনই সব স্লোগান দেওয়ার পরও দেখলাম তোমার নেতা ,আমার নেতা শেখ মুজিব মুজিব বাদ দেওয়া হলো তখন আমি ব্যাথিত হইছি। যখনই মঞ্চে জাফর ইকবালকে আনা হইছে তখন আমি সজোরে হাততালি দিছি কিন্তু যখনই সাজেদা চৌধুরী কিংবা তোফায়েল আহমেদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা হইছে তখন আমি ব্যাথিত হইছি। যখনই চারপাশে আমার দেশের পতাকা উড়ছে তখন গর্বিত হইছি কিন্তু পতাকার পাশে একটা দলের পতাকা উড়তে দেখছি তখন ক্রুদ্ধ হইছি। যখন পাকিস্তানী দূতাবাস ঘেরাও এর কর্মসূচি দিছে তখন সাধুবাদ দিছি কিন্তু যখন এইখান থেকেই পুলিশদের গালি দিয়া শেখ হাসিনাকে রাজাকারদের পাহারাদার বানানোর প্রচেষ্টা করা হইছে তখন দুঃখ পাইছি।
আবার, অপরদিকে সিপি গ্যাং কারা করে?
যারা কট্টরভাবে আওয়ামীলীগ তারাই সিপি গ্যাং এর সাথে জড়িত।
তাদের ভাবনা এবং চেতনার সাথে ১০০% মিল না হলেই তারা তার প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়। এইখানে ৯৯% ওকে বইলাও কোন শব্দ নাই। আজন্ম উদার আমার কাছে এইটা খারাপ লাগে। তারা যখন বিভিন্ন ছাগু পেজ, সহ ইসলাম বিদ্বেষী পেইজগুলো ডাউন করে দেয় তখন আমি অজান্তেই খুশি হই। কিন্তু যখন ব্যাক্তিগত আক্রমণ দেখি তখন খারাপ লাগে।
আমি জানি যে ব্যাক্তিগত আক্রমণ যে করে দায়ভার শুধু তার কিন্তু মানুষ না বুঝেই তার দায়ভার পুরো সিপি গ্যাংকে দিয়ে দেয়। সবার এইটা বোঝা উচিৎ। সিপি যখন অনলাইনে নৌকার প্রচারনাতে পুরো অনলাইন সয়লাব করে ফেলে তখন আমি খুশি হই। কিন্তু যখন কাউকে দেখি সবাই সিপির সব অবদান বাদ দিয়ে শুধু তাদের গালিবাজির প্রসঙ্গ তুলে আনে তখন অবাক লাগে । সিপি সংঘবদ্ধ ভাবে গালি দেয় শুধু তাদেরই যারা ছাগু কিংবা খাসী।
কিছু কিছু মিস ফায়ার হয় সত্য কিন্তু তার পরিমান এখন শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আর অনলাইনে ছাগু কিংবা খাসীর সংখ্যা কম না তাই তারাই সিপিকে গালিবাজ হিসেবে প্রমোট করে।
সোজা কথায় আমি কট্টরপন্থি আওয়ামী তাই যখন শাহাবাগ থেকে আওয়ামী লীগ এর ম্যানিফেস্টোর দাবি যুদ্ধাপরাধীর বিচার তথা যুদ্ধাপরাধীর সর্বচ্চো শাস্তির দাবি তোলা হয় তখন আমি তার পক্ষে থাকি কিন্তু শাহাবাগে যখন দেখি একটা নির্দিষ্ট দলের পারপাস সারভ হচ্ছে তখন আমি শাহাবাগের বিরোধিতা করি।
এবং বিশ্বাস করি শাহাবাগই একদিন আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে।
আমি কট্টর আওয়ামী লীগ হওয়া সত্বেও তাই মাঝে মাঝে তাদের সমর্থন করি কারন গণজাগরন মঞ্চ জামাত শিবিরের শত্রু আর জামাত শিবিরের সকল শত্রুই আমার বন্ধু।
আমি তাই করি যা একটা আওয়ামীলীগের দালালের যা করা উচিৎ।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।