বিক্ষিপ্ত ভাবনা
শাহবাগের গণজাগরন মন্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে গঠিত হয়ে এই বিচার পক্রিয়া, সমাজ, এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ন প্রভাবক হিসাবে কাজ করেছে। শাহবাগ গনজাগরণ মন্চ পূর্ব বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি সরকারকে এর ব্যাপারে প্রথমেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু কে শুনে কারকথা। সর্বশেষ গতকালের প্রতিবাদ মিছিল এই মন্চের দেউলিয়াত্বই প্রমান করল।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন এক বিতর্কিত ছাত্র সংগঠনের নাম। অস্রবাজি, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, নারী ব্যবসা, দলীয় কর্মী খুন, সাধারণ মানুষ খুন এই সবই এই ছাত্র সংগঠনের বর্তমান ট্রেডমার্ক। আমরা শুধু এই সংগঠনের অতীত নিয়ে রোমন্হন করতে পারি। কিন্তু তাতে এর বর্তমানের পঁচন থেকে যে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তা কমবে না বৈ কি বাড়বে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজদলীয় ছাত্রলীগ কর্মী সোহেলর খুনি এই তুহিন।
তুহিনকে যখন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক করা হল তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রিয় সভাপতি বলেছিলেন শিবিরকে দমনের জন্য তার মত সাহসী কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর থেকেই প্রমান হয় দলীয় কর্মী খুনই ছিল তার যোগ্যতা রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্যে। এই একটি বিষয়েই যতেষ্ট এই বিষয়টি বুঝার জন্য যে সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও এই সংগঠনটি কতবেশী পেশী শক্তি নির্ভর। অস্রই এখন এই সংগঠনের প্রথম শক্তি। যার কারনে আমরা দেখি গতকাল শোকসভায় তারা নিজেরা কে আগে বসবে তা নিয়ে মারামারি করে পোগ্রামটিই পন্ড করেদিচ্ছিল - যার ফলে ৮টি কমিটি স্হগিত করা হয়।
বলছিলাম গণজাগরন মন্চের কাজকি বিতর্কিত তুহিনের উপর সন্ত্রাসি হামলার জন্যে আন্দোলন করা? এর মাধ্যমে তারা জাতিকে কি বার্তা দিতে চায়। গণজাগরন মন্চতো কোন দলীয় প্লাটফরম ছিলনা। তাহলে কি আমরা ধরে নিব ছাত্রলীগের সর্বগ্রাসী পছন গণজাগরন মন্চকেও গ্রাস করে ফেলেছে?
মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতি করা যায়, কিন্ত রাজনৈতিক উপহাস সহ্য করা যায়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।