আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি

জাস্ট প্লেয়িং এ রোল হেয়ার, অন বিহ্যাফ অফ বোকামন। রঙিন স্বপ্ন বুকে সাদা-কালো আর অগণিত ছায়ার গল্পকথন । নাথিংস রিয়্যাল, অল আর ভার্চুয়াল এক্সোসক্যালিট্যন ...।

নিতান্তই একখানা বোকামন কথোপ-কথন মাত্র । নিজ দায়িত্বে পড়ুন।



প্রতিভাসিত আভাসে আমাকে অসময়ের অনুপযোগী কথোপ-কথন চালিয়ে যেতে হয় । স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি । শান্ত ইসলাম চলে গেলেন, চলে গেলেন মনির, বিশ্বজিৎ এমন অনেকেই যাদের নাম কখনো ইতিহাসের বন্ধনী প্রবন্ধে মোড়কবন্দী হয় না । কেবল ব্রেকিং নিউজ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন; তামাম দর্শক ! তারা দেখে যাবেন, দেখবো আমি ! স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি ।

হত্যালীলার স্বকীয় রুপকশোভিত অনুভূতি ! দেখে- দেখে- দেখে-অভ্যাস করে নেওয়া হবে নিত্যকার যাপন ।

আমরা লিখবো ! ছোটগল্পে ছোট করে অথবা উৎকৃষ্ট উপমায় বুদ্বুদে কবিতা । আমাদের কবিগণ বিদ্রোহী থেকে বিরহবেদনায় কাতর হয়ে উঠছেন ! প্রেমই আলো প্রেমই আশা, ব্যর্থ প্রেমিক তুমি নতুন কবির ভাষা । জানা কারণেই আমাদের কলম এখন আর অস্ত্র হয়ে উঠে না। কলমের প্রতিটি ডট ! ওদের কে জরুরী তৈলমর্দন কর্মে নিয়োজিত করতে হয় ! তাই জমজমাট হয় সাধারণবর্জিত বুদ্ধিজীবীদের নীতিচর্চা । আতা গাছের তোতা পাখিটি ভুলে যান বাংলা ভাষা ।

তারপর ! তারপর থেমে যায় চায়ের কাপে ঝড় । হঠাৎ আবার ! নতুন সব ইস্যুতে আলোকিত হয় উচ্চশিক্ষিইত্ প্রাঙ্গণ । দিবস মাপিয়া লংওয়াকে বের হবো ! ঠেসবুকের প্রোফাইল অথবা কভার ফটোতে সাজিয়ে রাখবো লাল-সবুজের আনফোকাসড্ ছবিটি ! আমার আত্মীয় অথবা প্রতিবেশীকে আমি চিনিনে, তাই হাজারখানেক ফলোয়ার আমাকে নিয়মিত ফলো করেন ! হাহ হা । স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি । আমরা বাঙালি নাকি বাংলাদেশী ! চিরজীবী নাকি জিন্দাবাদ ।

আসুন দাও-কুড়ল নিয়ে ঝগড়া করি ! কি বলেন ? সিল-ছাপ্পরের দূরবর্তী সংকেত আমাদের সবাইকে পিছপা হতে বাধ্য করে । তাই না ?

আহা ! দেশপ্রেম যেনো এক স্টিকার !
বেয়াল্লিশ বছরে যার ভার্শন আপডেট হয়েছে বারংবার
অথচ আজও অট্টহাসিতে হাসে অসংখ্য রাজাকার !
প্রজন্ম ধারণ করে চিত্তাকর্ষক সব বোধ !
দায়মুক্তি ... দায়মুক্তি ... গর্ব করে বলি...
এতই কী সহজ ! আহা !
হিসেব-নিকেশ করে ভাগফল আর ভাগশেষের গড়মিল । ঘুরে-ফিরে সেই আমজনতাই প্রতারিত হোন । তাদের বুকের গভীরে বসত করা চেতনার শেষ রক্তবিন্দুটিও রেহাই পায় না । লাশের রাজনীতি অথবা রাজ্যনীতির লাশ ঠিকই পেয়ে যায় লক্ষ-কোটি ভোট ।

অযাচিত নির্বাচিত ! সালাম নিবেন ।

নিত্য নতুনের ছন্দে গান গাই; বিনোদন !
স্বাধীনতা আমি তোমাকে ভুলবো না
ভুলবো না ভুলবো না ভুলবো না
অথচ ভুলে যাই যুদ্ধটির নাম ছিলো ‘মুক্তি যুদ্ধ’
নয়ন জলে ভেসে যায় কর্মঠ সন্তানের আকুতি-আর্তনাদ
ত্রিশলক্ষ শহীদের মাটিতে-
স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি ।
ককটেলের ছন্দে রচিত হয় গণতন্ত্র নামের ছড়াটি !
প্লেটোদের দার্শনিক সংজ্ঞা ভুলে গিয়ে মেনে নিতে হয় ইহাই গোণোতোন্ত্রো ?
যে গোণোতোন্ত্রের কবিরা মহাশূন্যেও বিক্রয় করে বিশুদ্ধ উত্তর-দক্ষিণ,পশ্চিম বা পূর্ব !

সুলতানের ক্যানভাসে দাড়িয়ে
পেশিবহুল মানুষটি প্রশ্ন করে বিনীত স্বরে-
ভাই ওভাই ! তোমরা ভেড়ার পাল দেখছো !
বাঘের গর্জন কহনো হুনছো ?
দেহের কোন অংশে থাকে শিরদাঁড়াটা ?

মলিন বদনে, লজ্জায় মাথাবনত করে দেশমাতা । এক মুঠো চিকিৎসার অভাবে মারা যায় তারই মুক্তিযোদ্ধা; রক্তস্নাত নয় মাস । এবং চলো উদযাপন করি, চলো রচিত প্রয়াস হোক দার্শনিকতার ! উৎসবে মাতবো এবং সে দলের একজন আমিও !
বিক্রি হয়ে যাবো অথবা ব্যবহৃত !

উগান্ডা থেকে ভিয়েনা ।

তপ্ত-মরুর বুক মাড়িয়ে অসংখ্য রাজপথ । নির্যাতিত-নিপীড়িত-বঞ্চিত জনতার ভাষা একটাই ! ক্ষুধা দরিদ্রতা রোগ-শোকে বিলীন মানবমন । আমিতো খুবই কাছ থেকে দেখেছি ! যারাই জেগে উঠেছেন, করেছেন প্রতিবাদ । ভোগ-সাম্রাজ্যবাদীর দল সতর্ক থাকেন , ছলে-বলে কৌশলে হাজারটা মুখোশ পরে বিভাজন করেছে সাম্যের ঐক্য । মজলুমের প্রাণশক্তি প্রতিহত করার শতভাগ সফল অস্ত্র ! ভাগ করে ফেলো.. ছিন্ন করো একতা..

রোজ ভোরে টিফিনক্যারী হাতে কিশোর হেটে যাচ্ছেন।

সেলাইমেশিনের কম্পন, প্রতিদিন কোন এক নারীকে জড় বস্তুতে পরিণত করে তুলছে । আপত্তি নেই ! ভিক্ষে তো চাইনে ! শ্রমের মূল্য চেয়েছিলাম মাত্র ..

মনির’রা চলে যায়
হয়তো কিছু রেখে যায়
রেডিও-ভিশন-পত্রিকায় খবরের সদু-পায়
আর রাজনীতির ময়দানে ! রা-জা-রনীতি জমে যায়
মৃত্যুসংখ্যাটা প্রচারপত্রে পেটপুড়ে ভোট খায়
অতঃপর ভুলে যায়, ভবনগণ ভুলে দায়
লাশ হাতে বাবা এক, বিচারের দরজায়

তিনারা, তাহারা, দেশদ্রোহী, স্বৈরাচার,
কত কথা, কত ফোনে, কথাটা বলে তাই
ব্যাট হাতে তুমি ভাই, বল হাতে খেলে যাই
মনুষ্য প্রজাতি পুড়ে পুড়ে হোক ছাই
গ্যালারীতে বসে কেউ কুকুরের ঘেউ ঘেউ
তালে তালে তালি দিতে মুখোশের কত রঙ
দল আর দলাদলির দলবলে সাঁজে সঙ
মাঝখানে যাঁতাকলে কোন জাতের জাতি হায়
পাঠ্যপুস্তকে পাঠকের পাঠভয়, কখন যে কী হয়
কখন যে কী হয় !

আমার সন্তান, আমার সন্তান !
দুধে-ভাত খেয়ে থাক
আমি-তুমি বড় জাত
আমাদের পেটে লাথি মার !

অতঃপর একরাতে যুদ্ধটা লেগে যায়
লেগে যায় লেগে যায় যুদ্ধটা লেগে যায়
চেনা কিশোরের, জং ধরা স্টেনগানে
লাল রঙা জমিনে সবুজের ফিকে ঘাসে
এভাবেই ইতিহাসে বারবার ফিরে আসে

এক নয় সাত এক । ।

স্বাধীনতা, আমি তোমার সাথে অযথাই রাগ করি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.