সাংবিধানিকভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্যদের স্পিকার হিসাবে নিয়োগ দেয়া যায় না- এ যুক্তি দেখিয়ে মঙ্গলবার রিট আবেদনটি জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদি করা হয়েছে।
শিরীনকে স্পিকার হিসাবে নিয়োগ দিয়ে জারি করা গেজেট কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। পাশাপাশি রুল নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত করে ডেপুটি স্পিকারকে স্পিকারের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা চেয়েছেন ইউনুছ।
জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর নবম সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সরকারের মেয়াদের আট মাস বাকি থাকতে স্পিকার হন শিরীন শারমিন।
গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি স্পিকার হিসাবে শপথ নেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পর নতুন কেউ স্পিকার নির্বাচিত হলে শিরীন বিদায় নেবেন।
শিরীন শারমিন স্পিকার হওয়ায় নবম জাতীয় সংসদের কর্তৃত্বময় তিনটি পদই চলে যায় নারীদের হাতে। সংসদ নেতার দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এদের সঙ্গে সংসদ উপনেতাও একজন নারী, তিনি হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হিসেবে এবারই প্রথম সংসদে আসেন পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিন। স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।