আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের সংসদের উচিত দিল্লিচুক্তিটা প্রথমেই নাকচ করা

Passion spills Into my sea. Enter in And come with me.

ত্রিদেশীয় চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি আমাদের জাতীয় জীবনে বিরাট বিতর্কের সূত্রপাত করেছে। কেন এই সমালচনা ?১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কে ছেরে দেওয়া ও ৭৪ এর ত্রি দেশীয় চুক্তির বৈধতা নিয়ে প্রথম আলোর সাংবাদিক মিজানুর রহমান ২ কিস্তিতে প্রথম আলো পত্রিকাতে তার বক্তব্য প্রকাশ করেন এর অংশ বিশেষ তুলে দিলাম মাসকারেনহাস লিখেছেন, ‘২৫ মার্চের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত গণহত্যার ক্যাম্পেইন চলে। এর লক্ষ্য ছিল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বাঙালি বুদ্ধিজীবী। ’ আর এই গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে সজাগ করতে দুটি বাধা আগে দূর করা দরকার। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও জামায়াতকে দিয়ে এর দায় স্বীকার করানো।

১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীকে ছেড়ে দিতে ১৯৭৪ সালে দিল্লিতে যে চুক্তি হয়েছিল, তার টিকে থাকা একটি বাধা। জামায়াতের কাছে দিল্লিচুক্তি একটি বর্ম। দিল্লিচুক্তির ১৩ ধারায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আজিজ আহমেদ নিতান্ত দায়সারা একটি উক্তি করেন। তিনি বলেন, ‘যদি অপরাধ ঘটে থাকে, তার জন্য পাকিস্তান সরকার নিন্দা ও গভীর অনুশোচনা করে। ’ এর জবাবে বাংলাদেশ ১৫ ধারায় বলেছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা ও ভুলে যাওয়ার আবেদন জানানোর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ১৯৫ জনের বিচার না করার সিদ্ধান্ত নিল।

কোনো রাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বিশ্বমানবতার প্রতি এটি একটি নিষ্ঠুর রসিকতা। দিল্লিচুক্তি দায়মুক্তি গণ্য হলে সেসব ধারা বাতিল করতে হবে। এ চুক্তির সামনে ছিলেন মিসরের আনোয়ার সাদত, পেছনে কিসিঞ্জার। ওই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে সাদত কিসিঞ্জারের জানি দোস্ত হয়ে উঠেছিলেন।

এমনকি আমার অনুসন্ধানলব্ধ প্রাথমিক অনুমান হলো, বঙ্গবন্ধুকে ওআইসি সম্মেলনে নেওয়ার পেছনে কিসিঞ্জারের হাত উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোরে ওআইসি সম্মেলন ও তার দুই মাস পরেই দিল্লিতে চুক্তি হলো। ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার যাতে না হয়, সে জন্য কিসিঞ্জার-মাও সেতুং পণ করেছিলেন। এই তথ্য অনালোচিত যে দিল্লিচুক্তিটা কায়রোতে সারতে সাদত ইন্দিরা গান্ধীকে মিসরে আমন্ত্রণ জানান। বিস্মিত ইন্দিরা তা নাকচ করেন।

তখন ভুট্টোসহ মুসলিম দেশগুলোর স্বীকৃতি আদায় পেয়েছিল সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাই ১৯৭৩ সালের আইনে বিচার না করতে বঙ্গবন্ধু আপস করেন। তবে এটি ভয়েড অ্যাবিনিশিও বা জন্ম থেকে বাতিল চুক্তি। ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে আগে তা বাতিল করতে হবে। তবে ভারতের নাগরিক সমাজের প্রতি আবেদন, তারা যেন ওই চুক্তির মানবতাবিরোধী অংশ বাতিলে সোচ্চার হয়।

উপমহাদেশে শান্তির নামে গণহত্যার দায়মুক্তি-সংবলিত চুক্তি থাকতে পারে না। ড. কামাল হোসেন, শরণ সিং ও আজিজ আহমেদ নিজ নিজ দেশের সংবিধান পরিপন্থী ও এখতিয়ারবহির্ভূত চুক্তি করেছিলেন। এ বিষয়ে গলা ফাটিয়ে বিশ্বকে বলার আগে বাংলাদেশের সংসদের উচিত দিল্লিচুক্তিটা প্রথমেই নাকচ করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.