আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দলটির কালিমা মুছতে অনেক বছর লেগে যাবে

আওয়ামী লীগ হয়তো স্বাভাবিকভাবে মনে করছে তারা বিভিন্ন চালাকি, ছলচাতুরি করে ক্ষমতায় ফিরে আসছে। আমি মনে করছি না এতে দলটি দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবে। আওয়ামী লীগের যে গৌরবময় গণতান্ত্রিক ইতিহাস রয়েছে সেটা ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। একদলীয় নির্বাচন করে দলটির ললাটে যে কালিমা লাগছে সেটা আবার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করতে অনেক বছর লেগে যাবে। বুধবার বাংলাভিশনের টকশো 'ফ্রন্ট লাইন'- এ নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান এ কথা বলেন।

মতিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আফসান চৌধুরী।

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা বলেন, আমরা গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসব সে পথও জানা নেই। এই পরিস্থিতি দেশ ও জাতির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে দেশটাকে এমন একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান থেকে তুলে দেওয়ায় এই সমস্যা, সেই সংবিধান সংশোধন কমিটিই লিখিত আকারে বলেছিল, এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করলে দেশ সংঘাতের পথে যাবে। প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান কোনো এক সময় বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০০৭ সালে তার অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যেতে রাজি হলো না। সেখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এটা আশা করাই তো ভুল।

একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে তিনি বলেন, আজকের অস্থিরতা শুধু রাজনৈতিক সমস্যায় সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রত্যেকটা জাতীয় বিষয়েরই নিরাপত্তাজনিত একটা পর্যায় থাকে। সেটা অতিক্রম করলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘি্নত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বর্তমানে দেশে যে ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উপরে হুমকি আসছে তা নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার সঙ্গে এটার একটা যোগসূত্র স্থাপন হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষুদ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। নিরাপত্তা হুমকির প্রাথমিক আলামতগুলো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।

মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান বলেন, রাজনীতি এখন আর জনসম্পৃক্ত কোনো বিষয়ে নেই। এটা হয়ে গেছে লুণ্ঠন ও ভোগদখলের অন্যতম পন্থা। আমরা দেখেছি এই মন্ত্রিপরিষদে যোগদানের সময় একজন প্রতিমন্ত্রীর জমির পরিমাণ ছিল ২০ একর। সেটা এখন তিন হাজার একরে দাঁড়িয়েছে। এটা গিনেজ বুক রেকর্ডে যাওয়ার মতো ঘটনা।

আমরা এটাও জানি হলফনামায় যেটা লেখা হয়েছে সেটা তাদের সম্পদের ক্ষুদ্র একটি অংশ। সেখানে অর্থমন্ত্রী বললেন, যারা ক্ষমতায় থাকবে তাদের সম্পদ তো বাড়বেই! দু'দিন আগে ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের হলফনামা দেওয়া ছিল। যেই বিভিন্ন পত্রিকা হলফনামায় দেওয়া সম্পদের বিবরণী প্রকাশ শুরু করল অমনি ওয়েবসাইট থেকে হলফনামা হাওয়া! অথচ, কোর্টের আদেশ আছে হলফনামা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.