০১
— কিরে, এতো তাড়াতাড়ি ফোন ধরলি । এখনও
ঘুমোস নি ??
— নারে , চোখ বন্ধ করলেই তোর ছবি চোখের
সামনে ভেসে আসছে ।
— সত্যি , বলছিস ??
— আজকে সকালের তোর দা নিয়ে দাড়িয়ে থাকার
ছবি কিছুতেই ভুলতে পারছি না । আচ্ছা সামনের
কুরবানি ঈদে তোর কন প্ল্যান আছে ??
— নাহ , কেন? আরো এক বছর পর তো।
— না, মানে কসাই পাওয়া খুব কষ্টের
চিন্তা করতেছি তোকে নিয়োগ দিবো।
রাজি ??
টুপ করে লাইনটা কেটে গেলো । না ওকে আর এই
বিষয় নিয়ে ঘাটা যাবে না ।
০২ -
— তোর হাত ধরে হাটতে ভালোই লাগে ।
কথাটা শুনেই বোধহয় মাথাটা আমার
কাধে রাখলো। চুলে গেঁথে রাখা শিউলি ফুলের
ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম ।
সূর্য অস্ত যাচ্ছে পরিবেশ
লালচে আভায় আচ্ছাদিত ।
— " কোনদিন , আচমকা একদিন
ভালোবাসা এসে যদি হুট করে বলে বসে , -
' চলো যে দিকে দু'চোখ যায় চলে যাই ,'
যাবে ? "
— চল ।
— এতখন হাটতে পারবি তো ?
— কেন কই যাবি ? চাঁদে ?
— না, বাসায় যাবো । এইখান থেকে আমার
বাসা বেশ দূরে । আর ঐ টা হেলাল হাফিজের
কবিতা ছিল ।
তোকে আমি কিছু বলি নি।
হাতটা ছাড়িয়ে জোরে জোরে পা ফেলে বড়
অবেলায় চলে গেলো । আরো কিছুক্ষণ পর
রাগানো উচিত ছিল । ওর চলে যাওয়ায়
দেখতে ভালো লাগছে ।
০৩ -
— কিরে আজকে একেবারে লাল টুকটুকে মেম
সাহেব সেজে এসেছিস ।
কাহিনী কি ??
— কোন কাহিনী নাই । ইচ্ছা হলো তাই
সাজলাম। আগে বল আমাকে এই
পার্কে আসতে বললি কেন??
— চোখ বন্ধ কর। আর ডান হাত সামনে বাড়া।
রিমি যথাযথভাবে আদেষ পালন করলো।
ওর
হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ রাখলাম।
— শুভ জন্মদিন ।
" তোমার জন্য সকাল দুপুর
তোমার জন্য সন্ধ্যা ,
তোমার জন্য সকল গোলাপ আর রজনীগন্ধা । "
আর লাল টুকটুকি সেজে আসার জন্য
এত্তোগুলো ধন্যবাদ।
তোকে লালে মাখা দেখতে অপূর্ব লাগে ।
ওর জন্মদিন যে মনে রেখেছি সেইটাই এখনও
বিশ্বাস করে উঠতে পারে নি ।
তবে খুশির মাত্রাটাও লুকিয়ে রাখতে পারে নি ।
মেয়েটাকে রাগলেও সুন্দর লাগে আবার খুশি হলেও
। একদিন রাগিয়ে পরের দিন খুশি করতে হবে ।
কখন বেশি সুন্দর লাগে দেখতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।