রাজধানীর গুলশান-২ এ নিজ বাসভবনে এক দলীয় সভায় জাতীয় পার্টির এই বিদ্রোহী নেতা বলেন, “আমি খালেদা জিয়ার ঢাকা মুখে অভিযাত্রায় সমর্থন জানিয়েছি এবং তাতে অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। এ কারণে আমাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হচ্ছে। ”
আটান্ন বছরের রাজনীতির জীবনের ১৬ বছর কারাগারে কাটানোর কথা দাবি করে তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারের ভয় আমাকে দেখাবেন না। ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু গ্রেপ্তারের ভয় দেখাবেন না।
”
বক্তব্য দিতে দিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন কাজী জাফর, যাকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছিলেন এরশাদ।
“গত দুই বছর ধরে জাতীয় পার্টির ভেতরে আমরা একটা সংগ্রাম করছিলাম। আমরা বলেছিলাম, সবদলের অংশগ্রহণ না করলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমরাই বলেছিলাম- এরশাদ, আপনি মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসুন। ”
“এরশাদ আমাদের সাথে সুর মেলালেন এবং আমরা তখন তার প্রতি কিছুটা মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
”
“কিন্তু তিনি কথা রাখলেন না। তিনি যা করলেন, তাকে এই শতাব্দির শ্রেষ্ঠ ডিগবাজি বলা যায়। ওভার বাউন্ডারি করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন। শুনলাম এখন তিনি হাসপাতালে বসে বসে কাঁদেন। আমি তাকে বলব, এখন আর কেঁদে কি হবে? যা কিছু হয়েছে, তার জন্য তো দায়ী আপনি নিজেই।
”
দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাফর বলেন, “আগামী পরশুদিন আমরা সবাই প্রেসক্লাবে জড়ো হব। আমরা সবাই যেন সর্বোচ্চ জমায়েত নিয়ে উপস্থিত হতে পারি সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে সমাবেশে একাত্ম হওয়া যায়। ”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. টি এম ফজলে রাব্বী, মহাসচিব গোলাম মসিহসহ অন্যান্য নেতারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।