আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্র যেনো বাংলা সিনেমার নায়িকা

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

চলমান 'গণতন্ত্রে' আমার আপত্তি চরম। তবুও শব্দটার চর্চা এখানে বেশি হয়। 'ন্যায় বিচার', 'মানবাধিকার' এবং আরো কিছু জনপ্রিয় শব্দ চর্চা হয় বিশ্বজুড়ে।

আমরা যেহেতু বিশ্ব সভার সদস্য এবং নিজেরা শান্তির বার্তা প্রচার করি- তাই এ সব নিয়ে আমাদের আগ্রহ অনেক।

যারা রাষ্ট্র বিজ্ঞান পড়েছেন- তাদের মিলিটারি, ডিক্টেটর এবং আরো কিছু শব্দ ও তাদের কাজ কাম নিযে পড়তে হয়। 'গণতন্ত্র ও 'মানবাধিকার' বিপন্ন হলে ক্ষমতা দখল নেয়। এটা একটা অভিন্ন ভাষা।
সে বিষয়ে আলাপের দরকার নেই।

যে কথা বলতে টাইপ করছি সেটি হলো- আমরা সবাই, তামাম বিশ্বের মানুষ হলাম - নিজের প্রয়োজন অনুসারে সব কিছু সাজিয়ে নিই। এখানে সাজানোর সৌন্দর্য নিযে বিতর্ক হতে পারে। কেউ খুব সুন্দর করে কিছু করতে পারে , আবার কেউ পারে না।

যেমন ধরেন- বাংলা সিনেমায় নায়িকার শরীর দেখানোটা সঠিকভাবে করা যায়না বলে এটা অশ্লীল। আবার হিন্দি সিনেমায় এটা ভালোভাবে করা যায় বলে সেটা সহনীয়।

হলিউডের সিনেমায় যেটা করা হয় সেটাকে আমার বলি গল্পের প্রয়োজনে শালীন উপস্থাপনা। এমনকি সেক্সপিয়ার ইন লাভের মত সিনেমা অস্কার পেয়েছে যেখানে শারিরীক মিলনের দৃশ্য রয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আরো কিছু শব্দ হলো বাংলা সিনেমার মত। তবে আধুনিক রাজনীতিক আসছেন। অপেক্ষা।

তারা ক্যামন করেন।

আমাদের মিলিটারি কোর্সটা পড়াতেন অধ্যাপক মোস্তফা চৌধুরী। আওয়ামী লীগের সমর্থক। একজন সফল পিহতাও বটে। আমি স্যারের একজন ভক্ত এবং অনুরক্ত।

সেই স্যারকেও আমরা ক্লাশে মিলিটারির ক্ষমতা নেয়া এবং তাদের ক্ষমতা পরিচালনার সময় দেশের সুফল (!) পড়াতে হযেছে। যদিও স্যার 'গণতন্ত্র' এবং ‌ধর্মনিপেক্ষতাবাদে' অনুরক্ত।

হালে 'গণতন্ত্র' নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পাঠ দিচ্ছেন। কিন্তু আদলে এ প্রধান দুটো দল কি গণতন্ত্র চর্চা করে? আমার মনে হয় করে না। তবুও এ দুই প্রধান দলের বিত্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

কারণ তাদের আমরা এতদিনে নিশ্চিত করেছি যে, তারাই আমাদের সব কিছুর দায়িত্ব পালন করবেন। এতে আমাদের আপত্তি না্ই।

তাদের পরেই আমার জাতীয় পার্টি ও জামায়াত। জাতীয় পার্টিকে 'স্বৈরাচার' বলে আমরা আগেই সার্টিফিকেট দিয়েছি। জামায়াত নিষিদ্ধ-সাম্প্রদায়িক দল হিসাবে আদালত ও নির্বাচন কমিশনের সার্টিফিকেট পাওয়া।

সুতরাং তাদের নিয়ে আলাপ করা বৃথা। এ দুটো দল কেন জানি আমাদের প্রধান রাজনীতিকদের টার্গেটে ছিল, আছে এবং সম্ভবত সামনেও থাকবে।

তবুও আমরা এ গণতন্ত্র রক্ষার জন্য মরিয়া। যেখানে জীবন, জীবিকা এবং টিকে থাকাটাই চরম হুমকির মুখে- সেখানে গণতন্ত্র রক্ষা কিম্বা মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।

বিম্পি ও তাদের মিত্ররা ভেবেছিন- শেখ হাসিনা বা তার সরকার এতটা কঠোর হবেন না।

ক্ষমতার শেষ দিকে তারা নমনীয় হবেন। যেমনটা তারা হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি হয়নি বলে গোস্সা করে বিম্পি টানা অবরোধে জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছিলেন মানুষের। একই ভাবে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা সরকারে থেকে হরতাল ও অবরোধের যে অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সেটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে নতুন কোর্স খুলে পড়া শোনা করানোর মত।

তবে লক্ষণীয় হলো এখানে গণতন্ত্র, সংবিধান এ সব নিজের মত করেই ব্যাখ্যা ও চর্চিত হযে থাকে।

এখনো তা হচ্ছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা দলীয় কর্র্মীর ভূমিকায়। সাংবাদিকরা রাজনীতিকের ভূমিকায়। কাকে দেশে রাখা উচিৎ কাকে বাইরে পাঠানো উচিৎ, কাকে র্যাবের ধরা উচিৎ কাকে আরো কি করতে হবে, সেব বিষয়ে তারা পরামর্শক। পারলে বস্তবায়ন করে আর কি।


কিন্তু দেশটা যে দিনকে দিন নতুন প্রজন্মের বসবাস অনুপযোগি হয়ে যাচ্ছে সে দিকে কারো খেয়াল নেই। খেয়ালের দরকারও নাই। এ সব লোকদের অনেকেরই সম্ভবত বাইরে যাবার ও থাকার সামর্থ আছে। আমার নাই। তাই কথাটা তুললাম।


শুভ হোক আগামী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.