ইকোনোমিস্ট
মিডিয়াগুলোর হেডিং দেখলে মনে হয়, ঢাকায় যুদ্ধ হবে: মানুষ দরজা জানালা বন্ধ করে চুপ করে বসে আছে, ছি্দ্রপথে রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছে, কি হবে, কি হবে? আসলে, এ রকম কিছু হচ্ছে না, মানুষের ভয় ভেংগে গেছে অনেক আগেই: মরা মানুষ, পোড়া মানুষ, আহত মানুষ, বাস পোড়া, ট্রেন পোড়া, কাটা গাছ সবই দেখেছে মানুষ। বরং ২৯শে ডিসেম্বর কিছু না ঘটলে মানুষ আশাহত হবে, কিসের আবার মার্চ যদি বাস না পুড়ে, বোম না ফাটে?
মানুষ ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষা করছে, এমনকি অনেকের তর সইছে না, কখন জানতে পারবে কি কি ঘটলো: কোথায় বাধা দিচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি'র কত লোক আগে চলে এসেছে, যারা এসেছে ঢাকায় তারা কি করবে, শিবিরেরা কি করবে, ঢাকা যারা আসবে তারা কি করবে?
ঢাকা সাধারণ লোক আসবে না, তাদের থাকার যায়গা নেই, তদুপরি খালেদা বেগমের জন্য পুলিশের মার খেতে চাইবে না কেহ; শিবিরেরা ম্যাচে এসে উঠবে, তবে আর্মির ভয়ে খালি হাতে বের হবে। ঢাকা বরং আগে চেয়ে শান্ত থাকবে।
ঢাকায় আসার পর, করার কিছু থাকবে না: অবস্হা বুঝে গন্ডগোল করতে চাইবে হয়তো সামান্য, কিন্তু আমর্মির ভয়ে কিছু করতে সাহস পাবে না। অনেক আগেই যদি প্রে: আবদুল হামিদ জরুরী অবস্হা দিয়ে সীমিতভাবে আর্মি দিতো, জাতির ৭০/৮০ বিলিয়ন ডলারের কম ক্ষতি হতো, বাংগালী লাঠি চেনে।
এরপর খালেদার নতুন কোন প্রোগ্রাম থাকবে কিনা কে জানে; সবই ত করে দেখলো: হরতাল, ৪ দিনের হরতাল, অবরোধ, অসহযোগ, সরকার পতন, সরকার হটাও, ১ দফা, লং মার্চ, শর্ট মার্চ; এবার নতুন নামও খুঁজে পাবে না। মনে হয় এখানেই খালেদা বেগমের পতন হয়ে গেছে, এটা ছিল শেষ কেরামতি।
শেখ হাসিনা শক্ত হয়ে থাকলে সহজেই ৫ বছরের জন্য সরকার চালিয়ে যেতে পারবে; আগামী সরকারে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হ'লে মানুষ মেনে নেবে: মানুষর জন্য দুজনই সমান, পশ্চিমের জন্য দুজনই সমান; এক বুদ্ধিমান থেকে ২ বুদ্ধিমান সব সময় ভালো, এক কপটের চেয়ে ২ কপট সব সময়ই খারাপ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।