জন্মদিনের কবিতা
::::::::::::::::::::::::::::::::::
নীরবতা ভেঙে ভেঙে
]] ফকির ইলিয়াস [[
হাঁটতে হাঁটতে ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ে শাদা শালিকছানার দল। এই নদীতীরে
তারা এর আগে কখনও আসেনি। ঢেউ দেখবে বলে যে মানুষটি নদীর উদ্দেশে
যাত্রা করেছিল- সেও হাঁটছে পাখিদের পাশাপাশি।
সুখ এবং দুঃখের সমান্তরাল ছায়া ব'য়ে যে মেঘ চাঁদ স্পর্শ করে, কিংবা আলো
এবং আঁধারের রোজনামচা লিখে রাখে যে আদিম সূর্য, আমি সেই চন্দ্র-সূর্যের
মাঝেই পাখি ও মানুষের ভবিষ্যত খুঁজি। যে পাখিছানা একদিন বড় হয়ে আকাশে
উড়বে অথবা যে শিশু একদিন পরিণত বয়সে বিশ্বে উড়াবে মানবতার পতাকা,
আমি তাদের জন্যই লিখে যাই আমার কবিতা।
জানি, 'কবিতা লিখে কিছুই হয়না'
তারপরও পংক্তির রঙিন কররেখায় বার বার লিখিত হয় আমার জীবন।
জীবনের প্রতি আমার কোনো অনুযোগ নেই। যা আছে, তা কেবল বর্ষা এবং
বসন্ত ঋতুর প্রতি। কারণ বর্ষা আমাকে উদাস দুপুরে তার বুকে ভাসতে দেয়নি।
আর বসন্ত দেয়নি আমাকে প্রাণখুলে তার কৃষ্ণচূড়ার লালআভা।
আমি রঙের মাঝেই আমার বিগত দিনগুলোকে মিশিয়ে দিতে চেয়েছি। তারপর
নীরবতা ভেঙে ভেঙে বিরহসমগ্রের কাছে খুঁজেছি ঠাঁই। এই মাটির প্রতি গভীর
বিশ্বাসে, প্রেমিক যেমন প্রেমিকার হাত ধরে বার বার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়, পুষ্প
যেমন ঝরে পড়ার প্রত্যয়ে খুব ভোরে শিশিরের সাথে প্রতিজ্ঞা করে।
:: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩, শনিবার ॥ নিউইয়র্ক ::
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।