তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !! ঝকঝকে তকতকে অন্ধকার রাত !!
অবশ্য রাত এখন আর অন্ধকার হয় না। আলোরা ঘাপটি মেরে থাকে ল্যাম্প পোস্টের নীচে। বাড়ির সামনের গেটে বাতি থাকলে তার সামনে। আলো অন্ধকার হঠাত করে এক জায়গায় মিশে যায়।
শহরে রাত জাগা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
কমছে না। হতাশ বিষন্ন মানুষ যে বাড়ছে বেশি। মানুষ রাত জেগে আরো নিঃসংগ হতে চায়, আরো বিষন্ন হতে চায়, নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ায়। কেউ কখনো মুখে প্রকাশ করে না হয়তো টের ও পায় না কিন্তু মানুষ নিজের দুঃখকে বড় বেশি ভালোবাসে। সে দুখী হতে চায়।
নিজের দুঃখ নিজের একান্ত সম্পত্তি ভেবে কেউ কখনো কাউকে বলে না, কেউ আবার সবাইকে বলে বেড়ায়। ব্যস্ত মানুষ সারা দিন একলা হতে পারে না তার দূঃখকে সময় দেবার তাই সে নিঃসংগ শান্ত রাতকেই বেছে নেয় তার একান্ত সংগী হিসেবে। তাই দিন দিন রাত জাগাদের দল ভারী হচ্ছে। তারা কারনে জাগে অকারনে জাগে।
.
.
একটা পোকার তীব্র শব্দে বাড়ি প্রকম্পিত।
তার ডানার ঘর্ষনের শব্দে খুব শব্দ হচ্ছে। শান্ত রাত অশান্ত রাতে পরিণত হবার পথে। বাড়ীর নিচে দারোয়ান মতিন তার গ্রামে রেখে আসা স্ত্রীর চিঠি পড়েও বিষন্ন হতে পারছে না। তার ভাবনায় মেঘ ভেংগে যাচ্ছে বার বার এই শব্দে।
নীচতলার রুমকি ঝুমকির মা ও বিরক্ত।
রুমকি ঝুমকির যে ঘুম নেই। ওদের কি হবে? এই দামের শহরে ওদের নিয়ে কি করে টিকে থাকবে, দেশের বাইরে ওদের বাবা কেমন আছে... কিচ্ছু ভাবতে পারছে না। শব্দটি বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কল্পনা গুলোকে যেনো কেঁচি দিয়ে কুচি কুচি করে কেউ কেটে ফেলছে।
পাশের ফ্ল্যাটের রুদ্র ও কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।
সে এতদিন বিশ্রী একলা রাতকে ঘৃণা করলেও আজ আবিষ্কার করলো এই বিশ্রী জিনিস টাকে ছাড়া সে থাকতে পারছে না। তার দরকার বিশ্রী নীরব রাত।
অবশেষে বিরক্ত হয়ে বের হয়ে পড়লো।
রুমকি ঝুমকির মা ও জানালার পাশে এসে দাড়ালো।
মতিন ও ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।
পোকাটিকে একটু নাড়াতেই সে বিরক্ত হয়ে থেমে গেলো। সে ভেবে পেলো না সামান্য সংগী খোঁজার জন্য এই আহবান কেনো মানুষের চক্ষুশূল হলো।
অবশেষে সব শান্ত।
সবাই যেনো এখন দুখী হয়ে সুখী হয়ে গেলো।
মতিন তেল চিটচিটে ব্যাগ থেকে চিঠি বের করে পড়তে লাগলো আবার।
রুমকি ঝুমকির মা তার বিষন্ন বালিশকে আকড়ে ধরে অতীত ভাবতে থাকলো।
রুদ্র ঘরে এসে খাতা খুললো। হঠাত টের পেলো রাতের নীরবতার আওয়াজ বড় বেশি। বড় কানে লাগে। তাই মানুষ আর জাগতিক অন্য শব্দ সহ্য করতে পারে না।
এই নীরবতা হৃদয়কে খুব পোড়ায়। কিন্তু কেউ কেউ হয়তো পুড়তেই ভালোবাসে !!
*আইজ সন্ধ্যায় এক পোকার এমন আওয়াজে সবাই বড় ত্যাক্ত বিরক্ত ছিলো। পোকাটার নাম কি আমি জানি না। কিছুটা তেলাপোকার মত সাইজের। ভালো নাম টা জানি না।
হঠাত ঘুমাইতে যাওয়ার আগে কি মনে হইলো। শর্ট নোটিশে লেখছি। আগা মাথা বহুত ভুল হইছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।