Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality
; সময়টা হল বিগতবার আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনের সময়। যে বার নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসল। তো সেই বার ভোটের সময় আমার বাবা কেবলমাত্র দিল্লী থেকে ডাক্তার দেখিয়ে দেশে আসলেন। বাসায় বিশ্রামের জন্য বেশ কিছুদিন বসা। অফিসে যান না।
আমাদের তৎকালীন বাসায় বাবা'র রুম থেকে বিছানায় বসেই মেইন রোড দেখা যেত। বাবা বেশিরভাগ সময় বিছানায় বসে বাইরের মানুষের আনাগোনা দেখতেন। যেহেতু সময়টা ভোটের মাস, রঙ বেরঙ্গের মিছিল যেত নানা রকম স্লোগান দিয়ে। বাবা প্রতিবার মিছিল যেতে দেখলেই, ব্যাঙ্গ করে বলতেন "আমার সালাম নিন 'তমুক' মার্কায় ভোট দিন। "
ব্যাপারটা বেশ ভাল ছিল।
মিছিল দেখার জন্য দৌড়ে রাস্তায় চলে যেতাম। ঈদ, ঈদ পরিবেশ লাগত। পুরো রাস্তা জুড়ে নানা রকম পোস্টারের ছড়াছড়ি। কখনও বা সত্যিকারের ধানের শিস নিয়ে কখনও বা নৌকা নিয়ে কখনও বা লাঙ্গল নিয়ে মিছিল হত। আমরা মানুষ গুনতাম, যে কোন মিছিলে কত মানুষ।
যে মিছিলে বেশি মানুষ হত সেই দল ই সবচেয়ে ভাল বলে ভাবতাম। একের পর এক দলের মিছিল যেত। মারামারি হত না। টিভিতে রাত জেগে বাবার সাথে চা আর টোস্ট বিস্কুট নিয়ে বসে ভোটের ফলাফল গননা দেখতাম।
তখনকার ভোট মানে আনন্দ ছিল।
তখনকার ভোট মানে ছিল, 'আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। ' পরে যেটা বদলে হয়, 'আমার ভোট আমি দিব, দেখে শুনে বুঝে দিব। '
আর এখন? ভোট মানে আতঙ্ক! দুই দলের মিছিল যাওয়া মানে মারামারি, আহত, নিহত। ভোট মানে হরতাল। ভোট মানে বাসায় চুপ করে বসে থাকা।
ভোট, জনতার মত প্রকাশের অধিকার। হুম, জনতা একটি ব্যাঙ্কের নাম, জনতা একটি লাইব্রেরি'র নাম। জনতা একটি লন্ড্রির নাম। এছাড়া আর কোন জনতা বোধহয় ক্ষমতাসীনরা দেখতে পান না। তারা শুধু 'ভোট' দেখতে পান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।