আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতকালীন রোগবালাই

শীতের এ সময় শুকনা আবহাওয়ায় বায়ুবাহিত/ ফুসফুসের রোগই বেশি হয়। যেমন : সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ/এআরআই, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত অ্যালার্জিক রোগ। যেমন : অ্যাজমা, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, জলবসন্ত ইত্যাদি।

অ্যাজমা বা হাঁপানি : দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ এবং তার প্রতি সংবেদনশীলতাই এজমা বা হাঁপানি। এর উপসর্গ হিসাবে দেখা দেয় হাঁচি, কাশি, বুকে চাপা ভাব, শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণে বাধা।

কারণ : বংশগত এবং পরিবেশগত কারণে হাঁপানি হলেও এ দুটি উৎপাদক কিভাবে সৃষ্টি করে তা পরিস্কারভাবে জানা সম্ভব হয়নি। তবে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালী লাল হয়, ফুলে যায়, সরু হয় এবং ইরিটেন্ট বা উদ্দীপক এর প্রতি অতি সংবেদনশীল হয় যার ফলে হাঁপানির উপসর্গ সমূহ দেখা যায়। বিভিন্ন উৎপাদকের

কারণে হাঁপানির উপসর্গসমূহ সাধারণতঃ দেখা যায়। উৎপাদক : ইনফেকশন, সাধারণত ভাইরাস জনিত উপসর্গ-যেমন ঃ কোল্ড, ফ্লু ইত্যাদি। * এলার্জেন, বিশেষত ধূলাবালী, পরাগরেণু, গৃহপালিত পশুপাখির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ ইত্যাদি।

* ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম, বিশেষত শীতকালে। * আবেগ-যেমন ঃ উত্তেজনা, ভয়, রাগ। * আবহাওয়ার পরিবর্তন। * কৃত্রিম রং এবং কিছু কিছু খাবার । * ঔষধ-যেমন ঃ এসপিরিন ও অন্যান্য ঘঝঅওউং এবং বেটা বকার।

জলবসন্ত : এক ধরনের ভাইরাস এ রোগ সৃষ্টি করে। এটি একটি সংক্রমক রোগ এ রোগের আক্রমণের ফলে রোগী কষ্ট পায় কিন্তু মৃত্যু ঝুঁকি নেই।

লক্ষণসমূহ : গায়ে অল্প অল্প জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথা, ২-৩ দিন পর প্রথমে বুকে ও পিঠে গুটি বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়, আস্তে আস্তে সারা দেহে গুটি বের হয়, গুটি নরম ও এর ভেতর পানির মতো এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে, কয়েকদিনের মধ্যে ফুসকুড়িগুলো বেশ চুলকায়।

প্রতিকার : নখ দিয়ে গুটি বা ফুসকুড়ি চুলকানো উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসা করতে হবে।

প্রতিরোধ : রোগীকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। রোগীর ব্যবহার করা থালা-বাসন, বিছানাপত্র অন্য কেউ ব্যবহার করবে না। রোগীর ব্যবহার করা বিছানাপত্র সোডা মিশ্রিত পানিতে সেদ্ধ করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। রোগী সুস্থ হওয়ার পরও দুই-তিন সপ্তাহ- বাইরে যাওয়া উচিত নয়।

যক্ষ্মা : যক্ষ্মা একটা মারাত্দক বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ।

একে টিবি বা যক্ষ্মা রোগ বলা হয়।

লক্ষণ : তিন সপ্তাহের রোগী সময় পর্যন্ত কাশি হয়, বিকালের দিকে অল্প অল্প জ্বর ও রাতে ঘাম হয়, ক্রমাগত ওজন কমে যায় ও শরীর দুর্বল হতে থাকে, বুকে ও পিঠের উপরের দিকে ব্যথা হয়, রোগ বেড়ে গেলে কাশির সঙ্গে রক্ত বের হয়।

প্রতিকার : উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে যত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করালে ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে যক্ষ্মারোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।

লেখক : বক্ষব্যাধি ও অ্যাজমা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।

ফোন : ০১৭১১১৭১৬৩৪

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।