আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিশেষে প্রভুর প্রতি বিষোদাগার

যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে...যা হবে ভালোই হবে...

মাতাজীর কাছে বূয়া দেরীতে আসিবার কারণ ব্যাখ্যা করিতেছিলো,"খালা আর কইবেন না... পাশের দুই ঘরের দুই বেটি হাসিনা-খালেদার মতো ঝগড়ায় লিপ্ত সর্বদা। তাহাদের কাইজ্জা থামাইতেই দেরী। । "মাথার বাম পাশে ২০০ ওয়াটের হলুদ বাল্ব জ্বলিয়া উঠিলো। হায় ঈশ্বর! দেশের সমস্ত সমস্যার সমাধান এই অভাগার ঘরে!
ভোট কাহাকে দেওয়া যায় অথবা কাহার পক্ষে মাঠে নামা যায়, সবই বাদ দিলাম অন্তত একটা রাজনৈতিক পক্ষ অবলম্বনের জন্য হইলেও তো কেহ একজন কে সমর্থন করিতে হয়।

কিন্তু কাহাকে?!
প্রত্থমেই জামাত আর জাতীয় পার্টিকে তালিকা হইতে মুছিয়া দিলাম। ইহাদের লইয়া এখনো মাতামাতি করিয়া জাতি যেইভাবে লজ্জাহীনতার পরিচয় দিয়া যাইতেছে তাহা দেখিলে মনে হয়, ইহার চাইতে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত করিয়া পথে হাটাও সভ্য হইবে। বীর্য সরবরাহ করিয়া ইহাদের বংশ বিস্তারে প্রধান দু দলই সমান ভূমিকা রাখিয়াছে।
খালেদার দলের ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে তাহাদের আদর্শ কি! কোন মতাদর্শের উপর ভিক্তি করিয়া তাহারা রাজনীতি করে, বোধগম্য নহে। শাড়ি চুড়ি পড়া নেতাদের দ্বারা পরিচালিত দলে যোগ দিয়া নিজেকে হিজড়া প্রমানের কোন ইচ্ছাই নাই।

জনগণ সংশ্লিষ্ট ইস্যু বাদ দিয়া যাহারা স্কুল পড়ুয়াদের মতোন সামনের বেঞ্চে বসা নিয়া হরতাল ডাকিলো তখন এই কৌতূহলী মন জানিতে চায়- তাহাদের এত্তো হেডমের পিছনে কোন হরমোন কার্যকর আর তা উৎপন্নহয় কোন অঙ্গে! আমার অনুরোধ এই দলের সমর্থক কেহ একজন আমার চোখে আঙ্গুল দিয়া দেখায়ে দিক- কেন আমি এই দলকে সমর্থন করিব? না করিবার কারণ এত্ত বেশি যে তা লিখিবার শক্তি-ধৈর্য্য আমার নাই।
আওয়ামি লীগের কাছ হইতে আমি চমৎকার ব্যবসা ধারণা পাইয়াছি, কি করিয়া একটি চেতনাকে পূঁজি করিয়া রাজনৈতিক ব্যবসা করা যায়। এই দলের অনুসারী অনেক গুণীজন। তাহারা কি আমার ভ্রান্ত ধারণা ভাঙ্গিয়া প্রমাণ করিতে সক্ষম হইবেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী একটা দল? ইহা তাদের কর্ত্যব্যের মাঝে পড়ে। কেহ প্রমাণ করিতে পারলে কথা দিলাম, তিন দিনের জন্য তাহার ভৃত্য হইয়া থাকিব।


বিপ্লব করিয়া যে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা লইবে সেই তৃতিয় শক্তির ভ্রূণেরও দেখা নাই। বাস্তবতা হইলো এই দুই নারীর হস্ত হইতে অদূর ভবিষ্যতেও নিস্তার মিলিবেনা।
তাই আমি সময় চলকের উপর সকল সমস্যা সমাধানের ভার ন্যাস্ত করিয়া বেড়াল ছানাকে কোলে লইয়া ঘুমাইতে যাই। আর এর মাঝে যদি কিছু মানুষ জলন্ত কাবাব হয়, হাজার কোটি টাকা রসাতলে যায়, আমার কিসসু আসে যায় না। আমি দিন শেষে তাহাদেরই ভোট দিবো যাহারা আমার শরীরে পেট্রোল দেয়।


যাহারা এই কর্মে লিপ্ত তাহারা আমরাই। অন্য দেশের নাগরিক আসিয়া এগুলো করিয়া যায়না। আমরাই আমাদিগের গায়ে আগুন ঢালিয়াছি, স্বদেশীর ঘর পুড়িয়াছি- তাহার পরেও বলিবোনা কেন আমার দেশে নীরব গৃহযুদ্ধ চলিতেছে? একদল কর্মসূচী দিলে অন্যদল চৌদ্দগুষ্টি দেখিয়া লইবার হুমকি দেয়!
পর্তুগীজ, ডাচ,ওলন্দাজ,ইংরেজ- বহু জাতির রক্ত আমাদের ধমনীতে। তাহাত জন্যই কি আমরা কিছুটা বিকারগ্রস্থ? বুঝিতে পারিনা, জাতি আসলেই কি চাহে!
হতাশাগ্রস্থ নই। চারদিকে হতাশ হইবার এতো বিষয়াদি, সব ধরিয়া লইলে কবেই দেশটা পাগলের আখড়ায় পরিণত হইতো! ছোট ছোট সুখের খবর গুলো পুঁজি করিয়াইতো দেশটা এখনো সুখি দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকে।

কিন্তু থাকিবার কথা যখন মইয়ের সপ্তম ধাপে তখন তৃতীয় ধাপে বসিয়া সন্তুষ্ট থাকিতে পারিনা। কোথায় যেন একটা হাহাকার শুনিতে পাই। দাঁতের গোঁড়ায় প্লাগ জমাইয়া দাঁতকে মজবুত দেখাইবার খেল যেন সব!
সব দেখিয়া প্রভুর উপর চরম আক্রোশে ফাঁটিয়া পড়ি। তাহাকে নিয়াও যখন ময়দানে নামিয়া পড়ে, লালা ঝড়াইতে গিয়া যখন তাহার গ্রন্থকে পোড়াইতেও এরা দ্বিধা করেনা তখন এইভাবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ভাবে আমাদের না পোড়াইয়া কেন তিনি দেশের মধ্যিখানে আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি করিয়া মহা অগ্নুৎপাতেসমগ্র দেশকেই জ্বালায়ে দেন না?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।