বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
আজ সকালে গিয়েছিলাম ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য বনানী কমিশনার এর অফিসে। প্রচন্ড রকমের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে আজ সেখানে । প্রথমে গিয়ে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়াবার পর শুনলাম যে আমি যে ওয়ার্ড এর ভোটার, সেই ওয়ার্ড এর আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে মহাখালী ওয়ারলেস গেইট সংলগ্ন কমিশনার কার্যালয়ে। এই খবর শুনে গেলাম মহাখালীর সেই কমিশনার কার্যালয়ে।
সেখান থেকে আমাকে জানানো হল আমার ওয়ার্ড এর আইডি কার্ড ঐখানেও দেয়া হচ্ছেনা , আমাকে দুটি টেলিফোন নাম্বার দেয়া হল, বলা হল যে ঐ নাম্বারে যোগাযোগ করে কোন এলাকা থেকে আমার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে তা জেনে নিয়ে সেখানে যেতে। আমি ঐ নাম্বার দুটোতে অনেকক্ষণ ফোন করেও অপরপ্রান্ত থেকে কোন সাড়া না পেয়ে মেজাজ খিঁচড়িয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। তারপর পুনরায় গেলাম বনানী কমিশনার কার্যালয়ে। সেখানের কর্তব্যরত একজন সেনাকর্মকর্তা আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করল, অনেক কষ্টে আমি আমার মেজাজ ঠান্ডা রাখলাম। তারপর সেখানে আইডিকার্ড নিতে আসা এক লোক আমাকে মহাখালী টিএন্ডটি স্কুল সংলগ্ন কমিশনার এর অফিসে যোগাযোগ করতে বললেন।
তার কথা শুনে আবার আসলাম সেই টিএন্ডটি স্কুলের কাছে অবস্থিত কমিশনার এর অফিসে। অবশেষে এখান থেকেই পেলাম আমার সেই কাঙ্খিত ভোটার আইডি কার্ড। কিন্তু এই আইডি কার্ড নিতে গিয়ে আজ আমাকে যে হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হতে হলে, তাতে করে আমাদের দেশের এই আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর আরো একবার ঘৃণা জন্ম নিল। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই আইডি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়ায় যদি কোন সেনাসদস্য জনগণের সাথে দুর্ব্যবহার করে, তাহলে জনগণ কার কাছে গিয়ে ভরসা পাবে? সবাই তো এখনও বিশ্বাস করে সেনাবাহিনী জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল। সেনাসদস্যরা যদি এমন দুর্ব্যবহার অব্যাহত রাখে, তাহলে কি জনগণের সেই ভরসার স্থানটি একটু হলেও স্থানচ্যুত হল না ?
যাই হোক, এবার আসি আজকের কাহিনীর twist এ ।
আইডি কার্ড হাতে পাওয়ার পর ওয়ারলেস বাস স্ট্যান্ড এর দিকে যখন আসছিলাম, তখন বাস স্ট্যান্ড এ দেখলাম বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরা, বাস স্ট্যান্ড এ অপেক্ষারত একজন ছাত্রীর ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছিল বাস এর ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে। আমি যখন টিকেট কেটে বাস এ উঠলাম, অবাক হয়ে দেখলাম সেই মেয়েটিও একই বাসে । আমি মনে মনে ভাবলাম যাক ভালোই হলো, যাত্রাপথে একজন জি স্পেস এফ এর দেখা পাওয়া গেল । ঠিক তখনই আমার মনে পড়ছিল, আমাদের অন্যতম ব্লগার খ্যাক ছামিম এর কথা, যে আবার জি স্পেস এফ / জি এফ বিশেষজ্ঞ । ভাবলাম সে যদি আজ থাকত, তাহলে নির্ঘাত ঐ মেয়েটিকে পটিয়ে ফেলত ।
কিন্তু আমি পারলাম না ঐ মেয়েটির সাথে কথা বলতে , আমি তো আর জি স্পেস এফ বিশেষজ্ঞ না, তাই । শেষমেষ আমি যখন আমার গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম, তখনও মেয়েটি বাস থেকে নামে নি, সামনের কোন স্টপেজে হয়তো নেমেছে। বাস থেকে নেমেই মন খারাপ হয়ে গেল, শুধু ভাবছিলাম একজন জি স্পেস এফ এর দেখা পেয়েও হারিয়ে ফেললাম, এই ছিল আমার কপালে .........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।