আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন ব্লগের মালিক, একজন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাইয়ের নোংরামি। এবং পরিশেষে ছাগুতেই সম্প্রীতি

হৃদয়ে থাকুক বসন্ত বাংলাদেশের অন লাইন এক্টিভিস্টরা আজকে সারাটি দিন শাবি প্রবি ইস্যুতে ব্যস্ত দিন কাটালেন। শীতের দিনে কম্পুর সামনে ধৈর্য ধরে বসে থাকার জন্য এরকম একটি গরম ইস্যুর বেশ দরকার ছিল; যে যেদিক থেকে পেরেছে আগুনে ঘি ঢেলেছে। আর আগুনের পাশে সীতা, রাম, রাবন সবাইকে দেখলাম নেচেছে। শাবিতে ভাস্কর্য নির্মাণ হতেই প্রতিবাদের সূত্রপাত। দৃশ্যায়ন নতুন কিন্তু কাহিনীর মাল মশলা সবই সেই পুরান স্ক্রিপ্ট হতেই নেওয়া।

‘প্রতিবাদ সিলেটের মুসল্লিদের, কিন্তু সামনের কুশলী সব জামাত-শিবির’ আবার আওয়ামী লীগের কাহিনীতেও ‘প্রেক্ষাপট মূর্তি নির্মাণে বাঁধা দানকারী ধর্মান্ধশক্তি, কিন্তু ফোকাস জামাত শিবিরের উপর’। এতোদিন পর্যন্ত কোন সমস্যাই ছিল না, লীগের মোক্ষম অস্ত্র ছাগু ট্যাগ দিয়ে সব ঠাণ্ডা করে ফেলা গেছে; কারণ পিছনের মুসল্লিদের মাঝে সবার প্রিয় বা নামী দামী কেউ ছিল না। কিন্তু শাবিতেও ওই একই অস্ত্র প্রয়োগ করতে গিয়ে বিপদে পড়ে গেলেন আমার ব্লগের মালিক সুশান্ত দাশ গুপ্ত। গতকাল সুশান্তের লোকাল পত্রিকাকে অবলম্বন করে, ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার অভিযোগে শিক্ষকদের ছাগু ট্যাগ দেয় আমার ব্লগ সাইটের মালিক সুশান্ত। প্রতিবাদে স্ট্যাটাস দিয়ে বসে সুদীপ্ত(সুলায়মান নয় সুদীপ্ত)।

সুশান্ত দাশ গুপ্ত মূর্তি নির্মাণে বিরোধিতাকারী যেই ৫১ জন শিক্ষককে ছাগু বলেছে, তাদের সবার জন্য নয় শুধুই তাদের ডিপার্টমেন্টের হেড শহীদ স্যারকে ছাগু বলার প্রতিবাদে। তো এই বিষয়ে স্যারের প্রতিবাদ লিপিটা কি ছিল একটু দেখি, এখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে উনি ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে এমন কিছুতে স্বাক্ষর করেন নি। শুধুই দাবীটা ছিল মূর্তির বদলে অবস্টিকাল কিছু নির্মাণের। উনি পরে ছাত্রদের এই বিষয়ে বলেছেন, ‘This is my personal stand, I am sorry if I hurt your feelings’. এখন সুদীপ্ত বা অন্য যেসব ছাত্র এ বিষয়ে গতকাল কথা বলেছিল, তারা কি স্যারের কথাকে সমর্থন জানিয়ে মূর্তি নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল? নাহ তা কেউই তা করেনি, তারা শুধুই বলেছিল তাদের স্যার ধর্ম পরায়ন মানুষ, তিনি জামাত শিবিরের সাথে কোন ভাবেই সংশ্লিষ্ট নন, তাকে যেন ছাগু বলা না হয়। কিন্তু সুশান্ত দাশ গুপ্ত সুদীপ্তের স্ট্যাটাস এবং বিভিন্ন জায়গায় আরও শতবার শহীদ স্যারকে ছাগু বলেই গিয়েছে।

এখানে জামাত শিবিরের বদলে স্পষ্টতই তার ধর্ম বিদ্বেষটাই ফুটে উঠেছে। গত রাতে এভাবেই সুশান্তের সাথে শাবির সিএসই বিভাগের ছাত্রদের তর্কের এক পর্যায়ে সুশান্ত বা অনুসারীদের কেউ সুদীপ্তের একাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা চালায়। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র ছাত্র মতের অমিলের কারণে কিভাবে জুনিয়রের ফেবুতে হামলা চালাতে পারে, তাই আমার মাথায় আসছে না। এইভাবে রাত পার হবার পরেই আরিফ জেবতিক সকাল বেলায় ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিলেন। সবার রিপোর্টের কারণে সুশান্তের ফেবুতে নাকি কি সমস্যা দেখা গিয়েছে, এ কারণেই সুশান্তের বিরোধিতাকারী সকলকেই ছাগপোণা বলে অভিহিত করলেন।

আমি নিশ্চিত তিনি শুধু কারও মুখে শুনেই এটা লিখেছেন, নাহলে অন্তত সুদীপ্ত নামটা পড়েই উনার ভ্রু কুঞ্চিত হবার কথা এবং ব্যাপারটা খতিয়ে দেখতেন। যাই হোক, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই ছাগু ট্যাগ খেল আজকে; এই না হলে সম্প্রীতি!! আমরা অনেকেই চেয়ে চেয়ে ওই স্ট্যাটাসে শত শত লাইক পড়তে দেখেছি, কিন্তু আসল ঘটনা জানা সত্ত্বেও কিছু বলতে পারি নি। অনলাইন সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হতে কে চায়? সুশান্ত নিজেও সেখানে গিয়ে ওই শিক্ষককে আবারও ছাগু বলে সুদীপ্ত, জয়কর, অনির্বাণ, আদনান, ইভান নির্বিশেষে সকলকেই ছাগু বলে আসল। সুশান্তের স্ট্যাটাসেও তার পক্ষে বলার জন্য এক দল গুন্ডা ভাড়া করা হয়। তারা মুসলমান নাম দেখলেই ছাগু ট্যাগ তো দিয়েছেই আর হিন্দু হলেও কি কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেছে দেখুন।

এই হল মহান সুশান্ত দাশ গুপ্ত, আমার ব্লগ সাইটের মালিক, স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি এবং শাবি’র সিনিয়র বড় ভাই। নিজ ভার্সিটির ছেলেদের বিরুদ্ধে যে অনলাইনে গুন্ডা লাগাতে পারে, সে ভার্সিটি থাকতে কেমন ছিল সহজেই অনুমেয়। সহপাঠী ব্লগার মোস্তফা কামাল পলাশের বক্তব্য থেকেই তা বুঝা যায়। @সুদীপ্ত, আপনি ভাগ্যবান বহুজনকে সাথে নিয়ে ট্যাগ খেয়েছেন। একটা মনোবল বজায় ছিল, আছে এবং থাকবে আশা করি।

অথচ জামাত শিবির ব্যতীত কতজনকে এই অনলাইনে একা এইসব আক্রমণ সহ্য করতে হয়েছে ভেবে দেখুন। @সাকিন ইভান, ব্লগে নাহোল, হামাদের ছায়াতলেই আপনার অবস্থান এটা সকলেরই জানা। আপনি নিজেকে প্রগতিশীল দাবী করেন এবং শাবির একজন সিনিয়র স্টুডেন্ট। আপনি নিশ্চয়ই সুদীপ্তের স্ট্যাটাসে যেই সহমত প্রকাশ করেছেন, তা জেনে বুঝেই করেছেন। তাহলে এখন কোন কথা বলছেন না কেন? আপনার বক্তব্য এখন সুদীপ্তের অনেক উপকারে আসত।

(২৫ নং কমেন্টে উনি উনার বক্তব্য জানিয়েছেন) যারা সামুকে ভালোবাসেন, অথচ সুশান্ত দাশ গুপ্তকে চিনেন না, তাদের জন্য একটা টিউটোরিয়াল ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.