ইহুদী, নাছারা, কাফির, মুশরিক, মুনাফিকদের কাছে দ্বীন ইসলাম তথা ইসলামী শরীয়তের কোন গুরুত্ব নেই। ফলে তাদের নিকট ইসলামী শরীয়তের কোন কিতাবেরও কোন গুরুত্ব নেই। তা কুরআন শরীফই হোক কিংবা হাদীছ শরীফ-এর কোন কিতাবই হোক অথবা অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ ও আওলিয়ায়ে কিরামগণের কোন কিতাবই হোক।
অন্যথায় যেখানে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, তাফসীর শরীফ এবং অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়ায়ে কিরামগণের লিখিত বিশ্বসমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ অসংখ্য কিতাবের দলীল-আদিল্লাহ’র মাধ্যমে যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’-এ অকাট্যভাবে ফতওয়া প্রকাশ বা প্রদান করা হয়েছে যে, মু’মিন-মুসলমানদের জন্য শুধু ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা-এর দু’ ঈদই নয়, এ দু’ ঈদ ব্যতীত তাদের জন্য আরো অনেক ঈদ রয়েছে এবং সমস্ত ঈদের সাইয়্যিদ বা সেরা ঈদ হচ্ছে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এবং এ ঈদ পালন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। সুবহানাল্লাহ!
এতদসত্ত্বেও মুসলমান ছূরতে মুনাফিক, ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের ঘৃণ্য এজেন্ট ও অনুসারী উলামায়ে সূ’গং সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য দলীল-প্রমাণ ব্যতীত মনগড়াভাবে প্রচার করে যাচ্ছে যে, ইসলামী শরীয়তের নির্ভরযোগ্য কোন কিতাবে ‘ঈদে মীলাদুন নবী’-এর বৈধতা দেয়া হয়নি।
নাঊযুবিল্লাহ!
আসলে এসব উলামায়ে সূ’ গংদেরকেই আল্লাহ পাক সূরা আ’রাফ-এর মধ্যে চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং তার চেয়েও নির্বোধ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, তারা এমন যে, তাদের অন্তর থাকার পরও তারা বুঝবে না, চোখ থাকার পরও তারা দেখবে না এবং কান থাকার পরও তারা শুনবে না এবং এরা জাহান্নামী হবে। নাঊযুবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে “সূরা আরাফ”-এর ১৭৯ নম্বর আয়াত শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
لقد ذرانا لجهنم كثيرا من الجن والانس لهم قلوب لا يفقهون بها ولهم اعين لايبصرون بها ولهم اذان لا يسمعون بها اولئك كالانعام بل هم اضل اولئك هم الغفلون.
অর্থ: “আমি জিন-ইনসানের মধ্য হতে অনেককে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। অর্থাৎ অনেকেই তাদের বদ আক্বীদা ও বদ আমলের কারণে জাহান্নামী হবে। তাদের অন্তর থাকার পরও তারা বুঝবে না, চক্ষু থাকার পরও তারা দেখবে না এবং কান থাকার পরও তারা শুনবে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো।
বরং তার চেয়েও নির্বোধ। এবং তারা হচ্ছে চরম গাফিল অর্থাৎ তারা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে চরম জাহিল। উনাদের যিকির ও ছানা-ছিফত করার ব্যাপারে অমনোযোগী। ”
উল্লেখ্য, কুরআন শরীফ-এ সূরা মারইয়াম-এর মধ্যে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর মুবারক দিনে উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক-উনার পক্ষ থেকে সালাম অর্থাৎ খাছ রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিলের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার ব্যাপারে কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
وسلم عليه يوم ولد ويوم يموت ويوم يبعث حيا.
অর্থ: উনার প্রতি সালাম (শান্তি) যেদিন তিনি বিলাদত শরীফ লাভ করেন এবং যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করবেন এবং যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।
(সূরা মারইয়াম-১৫)
অনুরূপ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে উনার নিজের বক্তব্য কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
والسلم على يوم ولدت ومو اموت ويوم ابعث حيا.
অর্থ: আমার প্রতি সালাম যেদি আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করি এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো। (সূরা মারইয়াম-৩৩)
এছাড়া সূরা মায়িদা-এর মধ্যে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-উনার প্রতি আসমানী (বেহেশতী) খাদ্যের এক খাঞ্চা নাযিলের দিনটিকে উনার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল উম্মতদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যেমন কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম দোয়া করেছিলেন-
اللهم ربنا انزل علينا مائدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا واية منك وارزقنا وانت خير الرازقين. قال الله انى منزلها عليكم فمن يكفر بعد منكم فانى اعذبه عذابا لا اعذبه احدا من العالمين.
অর্থ: আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশ্তী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন। খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্থাৎ খাদ্যসহ খাঞ্চাটি যেদিন নাযিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ (খুশি) স্বরূপ হবে এবং আপনার পক্ষ হতে একটি নিদর্শন হবে। আমাদেরকে রিযিক দান করুন।
নিশ্চয় আপনিই উত্তম রিযিকদাতা। আল্লাহ পাক বললেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিল করবো। অতঃপর যে ব্যক্তি সে খাদ্যসহ খাঞ্চাকে ও তার নাযিলের দিনটিকে ঈদ বা খুশির দিন হিসেবে পালন করবে না বরং অস্বীকার করবে আমি তাকে এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি সারা ক্বায়িনাতের অপর কাউকে দিব না। (সূরা মায়িদা-১১৪,১১৫)
একইভাবে হাদীছ শরীফ-এর ছহীহ ও প্রসিদ্ধ কিতাব ইবনে মাজাহ ও মিশকাত শরীফ-এ হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি, উনার যমীনে আগমন এবং বিছাল শরীফ-এর দিন জুমুআর দিনকে ঈদের দিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এই জুমুআর দিনকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা অপেক্ষা মহান দিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-
عن عبيد بن السباق مرسلا وعن ابن عباس رضى الله تعالى عنه متصلا قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فى جمعة من الجمع يا معشر المسلمين ان هذا يوم جعله الله عيدا فاغسلوا ومن كان عنده طيب فلا يضره ان يمس منه وعليكم بالسواك.
অর্থ: হযরত উবায়িদ বিন সাব্বাক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসালসূত্রে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক জুমুআর দিনে বলেন, হে মুসলমান সম্প্রদায়! এটি এমন একটি দিন যে দিনটিকে আল্লাহ পাক ঈদস্বরূপ নির্ধারণ করেছেন।
(ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালিক, মিশকাত)
عن ابى ليلة بن عبد المنذر قال قال النبى صلى الله عليه وسلم ان يوم الجمعة سيد الايام واعظمها عند الله وهو اعظم عند الله من يوم الاضحى ويوم الفطر فيه خمس خلال خلق الله فيه ادم واهبط الله فيه ادم الى الاوض وفيه توفى الله ادم وفيه ساعة لايسأل العبد فيها شيأ الا اعطاه ما لايسأل حراما وفيه تقوم الساعة ما من ملك مقرب ولا سماء ولا ارض ولا رياح ولا جبال ولا بحر الا هو مشفق من يوم الجمعة.
অর্থ: হযরত আবূ লায়লা ইবনে আব্দুল মুনযির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এটি ঈদুল আযহার দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহ পাক-উনার নিকট অধিক শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। এ দিনটিতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রয়েছে, (১) এ দিনে আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করেছেন, (২) এ দিনে উনাকে যমীনে প্রেরণ করেছেন, (৩) এ দিনে উনাকে বিছাল শরীফ দান করেছেন, (৪) এ দিনটিতে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময়টিতে বান্দা আল্লাহ পাক-উনার নিকট কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তাকে তা দান করেন যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু চায় এবং (৫) এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এমন কোন ফেরেশ্তা নেই, আসমান নেই, যমীন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই, সমুদ্র নেই যে জুমুআর দিন সম্পর্কে ভীত নয়। (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)
عن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما افترى ادم الخطيئة قال يارب اسألك بحق محمد لما غفرت لى فقال الله يا ادم وكيف عرفت محمدا ولم اخلقه؟ قال يا رب لما خلقتنى بيدك ونفخت فى من روحك رفعت رأسى فرأيت على قوائم العرش مكتوبا لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم فعلمت أنك لم تضف الى اسمك الا احب الخلق اليك فقال الله صدقت يا ادم انه لاحب الخلق الى ادعنى بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد ما خلقتك. هذا حديث صحيح الاسناد.
অর্থ: হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্র্ণিত।
তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম- উনার দোয়া ক্ববূলের সময় হলো। তখন তিনি দুয়া করলেন, হে আমার রব! আমি আপনার কাছে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম-উনার ওয়াসীলায় প্রার্থনা করছি, অতএব আমার দুয়া ক্ববূল করুন। আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাকে চিনলেন, অথচ এখনো উনাকে দুনিয়ায় প্রেরণ করিনি? জবাবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম বললেন, হে আমার রব! আপনি যখন আমাকে আপনার কুদরতী হাত মুবারকে তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ ফুকে দেন, তখন আমি আমার মাথা উত্তোলন করে আরশের খুঁটিসমূহে লিখিত দেখতে পাই-
لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আল্লাহ পাক ব্যতীত কোন ইলাহ বা মাবূদ নেই সাইয়্যিদুনা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ পাক-উনার রসূল। ’ তখন আমি বুঝতে পারলাম আপনার নাম মুবারকের সাথে যাঁর নাম মুবারক সংযুক্ত আছে তিনি সৃষ্টির মধ্যে আপনার সবচেয়ে মুহব্বতের হবেন। আল্লাহ পাক বললেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম আপনি ঠিকই বলেছেন, কারণ তিনি সৃষ্টির মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে মুহব্বতের।
হযরত আদম আলাইহিস সালাম বললেন, আয় আল্লাহ পাক! উনার ওসীলায় আমার প্রার্থনা ক্ববূল করুন। আল্লাহ পাক বললেন, আমি আপনার দুয়া কবূল করলাম। যদি আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন তাহলে আমি আপনাকেও সৃষ্টি করতাম না। সুবহানাল্লাহ! এ হাদীছ শরীফ খানার সনদ ছহীহ তথা বিশুদ্ধ।
(আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৪র্থ খ- ১৫৮৩ পৃষ্ঠা, আছ ছহীহাহ্ ১ম খ- ৮৮ পৃষ্ঠা, মুখতাছারুল মুস্তাদরাক ২য় খ- ১০৬৯ পৃষ্ঠা, আত তাওয়াস্সুল ১১৫ পৃষ্ঠা, তাফসীরুদ দুররিল মানছূর লিস সুয়ূত্বী ১ম খ- ৫৮ পৃষ্ঠা, কানযুল উম্মাল ১১ খ- ৪৫৫ পৃষ্ঠা)
এখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনাদের বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর দিন যদি ঈদ ও রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিলের দিন হয় এমনকি সামান্য এক খাদ্যের খাঞ্চা নাযিলের দিন যদি ঈদ তথা খুশির দিন হয়, তাহলে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুন নাবিইয়ীন, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবুল্লাহ, নূরে নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর দিন ঈদ বা খুশির দিন হবে না কেন? এবং হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার যমীনে আগমন ও বিদায়ের কারণে জুমুআর দিন যদি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার চেয়ে মহান বা শ্রেষ্ঠ হয় তাহলে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনাকে সৃষ্টি করা না হলে হযরত আদম আলাইহিস সালামসহ কোন নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সৃষ্টি করা হতো না।
শুধু তাই নয়, আসমান-যমীন, লওহো, কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, ফেরেশতা, জান্নাত-জাহান্নাম এক কথায় কায়িনাতের কোন কিছুকেই সৃষ্টি করা হতো না, তাহলে উনার যমীনে আগমন তথা বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর দিন কত মহান, কত খুশির হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এ সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ইসলামী শরীয়তের অসংখ্য কিতাবাদির মধ্য হতে কেবলমাত্র মূল কিতাব কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ থেকে প্রদান করা হলো। যাতে একমাত্র কাফির ব্যতীত কোন মুসলমানের পক্ষে ‘ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’-এর বৈধতার ব্যাপারে কোন প্রকার চু-চেরা না থাকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।