বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্লোজারের ওই প্রতিবেদনকে ‘ব্যক্তিগত অধিকারের ওপর আক্রমণ’ হিসাবে দেখছেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ রাজবধূ কেট মিডলটনের অনাবৃত ঊর্ধ্বাঙ্গের ছবি ছেপে ঝড় তোলা ‘ক্লোজারের’র সবশেষ সংখ্যার সাত পৃষ্ঠা জুড়ে শুধু ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জুলি গায়েতের সঙ্গে ওলাঁদের প্রণয়কাহিনী আর ছবি ছাপা হয়েছে।
দুজনের সম্পর্ক নিয়ে গুজব অবশ্য ডালপালা মেলেছে আরো আগে, ওলাঁদ যখন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। সে সময় তার প্রচারাভিযানে একবার দেখা যায় ৪১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে।
গত কয়েকমাস ধরেই দুজনকে নিয়ে গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল ইন্টারনেটে।
ওলাঁদের সঙ্গে সম্পর্কের গুজব নিয়ে লেখালেখি করা কয়েকজন ব্লগার ও কয়েকটি ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে গত মার্চে প্যারিসের প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগও করেছিলেন জুলি।
শুক্রবার প্রকশিত ‘ক্লোজারের’ সংখ্যায় জুলি গায়েতের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে ৫৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টকে নিয়মিতভাবে রাত্রীযাপনের ছবিও প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ফ্ল্যাট ওলাঁদের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদের কাছেই।
জুলির ফ্ল্যাটে ওলাঁদের যাতায়াতের কয়েকটি ধারাবাহিক ছবিও প্রকাশ করেছে ‘ক্লোজার’। এসব ছবিতে দুজনকে আলাদা আলাদা সময়ে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায়।
এক ছবিতে দেখা যায়, ওলাঁদ হেলমেট মাথায় মোটরবাইকে করে ওই ভবনে পৌঁছেছেন। অবশ্য বাইকের চালক ছিলেন আরেকজন।
পরদিন সকালে প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীরা ওই ফ্ল্যাটে তার প্রিয় খাবার ‘ক্রেয়সাঁও’ ( ভেতরে মাখন দেয়া এক ধরনের পেস্ট্রি) নিয়ে যান বলেও ম্যাগাজিনটি দাবি করেছে।
‘ক্লোজারকাণ্ডের’ পর অবশ্য মুখ খোলেননি অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা জুলি।
তবে ক্ষিপ্ত ওলাঁদ বলেছেন, “যে কোনো সাধারণ নাগরিকের মতো আমারও ব্যক্তিগত অধিকার আছে।
”
এক বিবৃতিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ক্লোজারের’ বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি তিনি ভেবে দেখছেন। অবশ্য প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি তিনি অস্বীকারও করেননি।
সেগোলিন রয়েলের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর থেকে সাংবাদিক ভ্যালেরি ত্রিয়েরভিলার সঙ্গেই বসবাস করে আসছেন ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। ২০১২ সালের মে মাসে দায়িত্ব নেয়া ওলাঁদের জনপ্রিয়তায়ও এরইমধ্যে ধস নেমেছে।
গত নভেম্বরে এক জরিপে দেখা গেছে ফ্রান্সের ১৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে ওলাঁদের প্রতি।
গত ৫০ বছরের মধ্যে আর কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টকে জনপ্রিয়তার সূচকে এতোটা কম নম্বর পেতে হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।