কন্ডাক্ট ডিজ-অর্ডার শিশু-কিশোরদের মন ও ব্রেন তথা মস্তিষ্কের অসুখ। যা সাধারণত আচরণের ত্রুটি হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। আবার অনেকে বলে অবাধ্য সন্তান। পরিসংখ্যান মতে চার শতাংশ শিশু-কিশোরের মধ্যে এ সমস্যা থাকতে পারে। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এ সমস্যা চার গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়।
এই আচরণ ও ব্যবহারের সমস্যা সম্পর্কে আত্দীয়স্বজন মনে করে, বয়স হলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। আর চিকিৎসার পরিভাষায় এটি একটি রোগ। যা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
লক্ষণসমূহ : ১. বাবা-মাকে বিভিন্ন জিনিসের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। যে ছেলেটি আগে বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা পেলেই খুশি হতো।
পরে ধীরে ধীরে ২০, ৫০, ১০০ টাকা নিত। এখন ৪০০ টাকা তাকে দিতে হয় হাতখরচ বাবদ। না দিলে শুরু হয় জিনিসপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন অত্যাচার। ২. প্রতিটি মায়েরও অভিযোগ থাকে ছেলেটা একদম কথা শোনে না, পড়তে বসে না, বই ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি শিক্ষকের কথাও শুনতে চায় না।
৩. এসব বাচ্চার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। ৪. এই বাচ্চারা কাউকে ভয় পায় না। ৫. কেউ কেউ বড়দের সঙ্গে এমন সব কথা বলে ও ব্যবহার করে, যা সাধারণত অবাক করার মতো। ৬. স্কুল ফাঁকি দেওয়া রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। স্কুলের কথা বলে ভিডিও গেম খেলা, সিনেমা দেখা ও বাইরে ঘুরে-বেড়ানো এদের অভ্যাস।
৭. ঘরের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, মারামারি, ঝগড়া এমনকি বাবা-মার সঙ্গেও মারামারি করে ফেলে। ৮. ধীরে ধীরে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে থাকে। যেমন- চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মিথ্যা কথা বলা, নেশা করা ইত্যাদি।
৯. অভিভাবকের কথা শুনে না।
ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন
সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট, ঢাকা।
ফোন : ০১৮১৭-০২৮২৭৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।