নি:সঙ্গ নাবিক পাকিস্তানী কিশোরী নিজের টুইটার বার্তায় টাইগারদের বেড়াল বলাতে এদেশের কমিউনিস্টরা এবার কি প্রতিক্রিয়া জানাবেন? পাকিস্তানের মত একটি ঝুকিপূর্ণ দেশে বসে সুনয়না কিশোরী মালালা ইউসুফযাই তালেবানবিরোধী লেখা লেখার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তা এদেশের তালেবানবিরোধী কমিউনিস্ট সম্প্রদায়ের নজর কাড়বে। কেউ একজন আবার নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়েও ঘৃণা প্রকাশ করতে চাইলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এদিকে বছরের শেষ প্রান্তে এসেই যখন পাকিস্তানে জঙ্গীদের হামলায় ২১ জন সেনাসদস্য নিহত হয় তখন বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর অনিশ্চিৎ ঘোষণা করে। এতে অন্যান্য পাকিস্তানীর মত মালালা ইউসুফযাইও ব্যথিত হন এবং মুশফিকবাহিনীকে বেড়ালের সাথে তুলনা করেন। আর এতে বাংলার লেনিনবাদী/মাওবাদীরা তাদের স্বপ্নের নারীর এমন স্ট্যাটাসে ব্যথিত না হয়ে নির্লজ্জতার পরিচয় দিল।

এই কমিউনিস্টশ্রেণী এদেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তির উন্নতির পথে বাঁধাদায়ক। উনাদের জীবণাচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই দেখা যায় উনারা মাদকসেবীতাসহ বিভিন্ন আপত্তিকর কর্মকান্ডে যুক্ত। এই কমিউনিস্টশ্রেণীর সাক্ষাৎ পেলেই দেখা যায় উনাদের অধিকাংশই লম্বা চুল,দাড়ি,কাঁধে সাহিত্যের ব্যাগ নিয়া চেগুয়েভাড়ার ভাব নেন আর দিনশেষে সমপ্রজাতীর আরও কয়েকটারে নিয়ে গাঞ্জার আসর বসান। সেখান থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ নয়া কোন অর্থনৈতিক পন্হা অবলম্বন করলে তার বিরোধীতা করেন পূজিবাদের যড়যন্ত্র বলে। প্রযুক্তির অগ্রগতিকেও সংস্কৃতি ধ্বংসের বুনিয়াদ বলতে পিছপা হন না।

উনারা কি একবারও মালালাকে জানিয়ে দিতে পারেন না তোমার এখনও অনেক কিছুই শেখার বাকী রয়ে গিয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতেও তুমি যে পাকিস্তানে থাকবে তার কোন গ্যারান্টি নাই?তুমি হয়ত জীবনের নিরাপত্তার খাতিরে ইংল্যান্ড,আমেরিকায় পালিয়ে থাকবে। সময় মত শুধরে যাও নাহলে সেদিন যদি মানবতাবাদ/প্রতিক্রিয়াশীলতাবিরোধীতার নামে আমাদের সমর্থন চাও আর আমরা তোমাকে বিলাই/ছাগী/মুরগী উপাধী দেই তাও সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে ।