বছর শেষ হয়ে আবার একটি নতুন বছর আমাদের সামনে। ২০১৩ সাল জুড়ে বিশ্বের মোবাইল ফোন বাজারে ছিল উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি। নানা ধরনের চমক জাগানো ফিচার নিয়ে একের পর এক নতুন নতুন হ্যান্ডসেট এসেছে বাজারে। বছরের শেষ প্রান্তে ফিরে দেখা যাক এ বছরের শীর্ষ দশটি মোবাইল ফোন:
# অ্যাপল আইফোন ৫এস : বছরের সেরা মোবাইল ফোন হিসেবে বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে বেশি সমাদৃত হয়েছে আইফোন ৫ এস। অত্যাধুনিক এই ফোনটির শীর্ষস্থান লাভের পেছনে এর জনপ্রিয়তার চেয়ে যেটি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে সেটি হচ্ছে, এই আইফোন ৫এস ই ভবিষ্যতের স্মার্টফোনের গতিপথ বাতলে দিয়েছে।
আইফোন ৫এস এর ৬৪ বিট সুপারফাস্ট প্রসেসর দিয়ে খুব দ্রুতগতির মোবাইল কম্পিউটিং ও ডাটা প্রসেস করা যাচ্ছে। এই ফোনটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে মোবাইলের কম্পিউটিং ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি গতিশীল হয়ে উঠবে। এছাড়া এই ফোনে অ্যাপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তিতে ফোন লকের ব্যবহার করেছে তা ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
# স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-৩ : ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাংয়ের এই স্মার্টফোনটি বাজারে আলোড়ন তোলে এর ৫.৭ সাত ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ফুল এইচডি স্ক্রীন ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে। এছাড়াও এই ফোনটিতে আছে এস পেন নামে একটি স্টাইলিস পেন যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পয়েন্ট নোট করা, আকাআকি এমনকি কন্টাক্ট শেয়ারও করা যায়।
এছাড়া এই ফোনে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ এবং ৪জি সুবিধা। ৬৬ নিটস স্ক্রিন সমৃদ্ধ স্যামসাংয়ের এই ফোনটি এখনো পর্যন্ত বাজারের সবচেয়ে উজ্জল স্ক্রীনওয়ালা মোবাইল ফোন।
# নকিয়া লুমিয়া ৫২০: নোকিয়ার ফোন ব্যবসাকে পুনরায় চাঙ্গা করে উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেম চালিত নকিয়া লুমিয়া ৫২০, তাছাড়া বছরজুড়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া উইন্ডোস ফোন ছিল এটি। ১ গিগাহার্জ ডুয়ালকোর প্রসেসর চালিত এই স্মার্টফোনের রয়েছে ৪ ইঞ্চি স্ত্রীন।
# এইচটিসি ওয়ান: ব্লিঙ্কফিড, জো‘র মতো অত্যাধুনিক সফটওয়্যারসহ গ্রাহকদের কাছে এসে চমক জাগানো এইচটিসি ওয়ান রয়েছে এ বছরের শীর্ষ দশটি মোবাইল ফোনের তালিকায়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির রযেছে ৪.৭ ইঞ্চি স্ত্রীন ও ৪ আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা। এছাড়া ১.৭ জিবি কোয়াড্রোকোর প্রসেসরের এই স্মার্টফোনের রয়েছে ২জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমরি স্টোরেজ সুবিধা।
# নেক্সাস ৫ : গুগলের এই নেক্সাস ৫ এই মুহুর্তে বাজারে সবচেয়ে নাগালের মধ্যে দামে ভালো স্মার্টফোন। মোবাইল ফোন নির্মাতা এলজি‘র তৈরি এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে আপডেটেড ভার্সন কিটক্যাট। ৪.৯৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি স্ক্রীনযুক্ত নেক্সাস ফাইভে রয়েছে, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ৩২ ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা এবং ২ জিবি র্যাম ।
# মোটো এক্স : মোটো এক্স বাজারের অন্যসব মোবাইল ফোনের মতো অতটা সুক্ষপ্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারেনি। তবে এর লক্ষ ছিল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সমন্বিত অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করা। এর নিজস্ব কিছু অ্যাপস যেমন টাচলেস কন্ট্রোল, অ্যাকটিভ ডিসপ্লে, কুইক ক্রাপচার ও কাস্টোমাইজেবল বডি বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোনের সঙ্গে এর পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। মোটো এক্স ফোনের রয়েছে ১.৭ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর প্রসেসর, ৪.৭ ইঞ্চি এইচডি স্ত্রীন ও ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
#এলজি জি ফ্লেক্স : বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে জি ফ্লেক্স মাত্র দ্বিতীয় ফোন যার রয়েছে বাঁকানো স্ত্রীন।
সাত ইঞ্চি এই স্ত্রীনের আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি কাঁচের বদলে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। এছাড়া আর একটি বিশেষত্বের জন্য এই ফোনটি আলোচিত হয়েছে তা হচ্ছে, এর সেল্ফ হিলিং ব্যাক প্রযুক্তি।
# নকিয়া লুমিয়া ১০২০ : নকিয়ার এই স্মার্টফোনটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর তোলা ছবি অনায়াসেই পাল্লা দিতে পারে প্রফেশনাল ক্যামেরার ছবির সঙ্গে। ৪১ মেগাপিক্সেলের এই ফোনে রয়েছে কার্ল জেইস অপটিস ও জেনন+এলইিড ফ্ল্যাশ, ইমেজ স্ট্যাজিলাইজেশন ও ডুয়াল ক্যাপাচারে মতো সুবিধা। এত রয়েছে সাড়ে চার ইঞ্চির এইচডি স্ত্রীন, ১.৫ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর ও ২ জিবি র্যাম সুবিধা।
# এলজি জি২: এ বছর বাজারে আলোড়ন তোলা আর একটি স্মার্ট ফোন হচ্ছে এলজি;র জি২, অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ চালিত এই ফোনে রয়েছে ৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে, ২.২ গিগাহার্জ প্রসেসর ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এছাড়া এই ফোনের আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এতে অন্য ফোনের মতো ভলিউম ও পাওয়ার বাটন পাশে না থেকে রয়েছে একবারে পেছনের পাশে।
# সনি এক্সপেরিয়া জেড-ওয়ান : সনির সর্বশেষ এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এবং ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এই ফোনটি পানি ও ধুলা প্রতিরোধক। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ তে চালানো এই ফোনের প্রসেসর হচ্ছে ২.২ গিগাহার্জ কোয়াড্রোকোর।
এতে রয়েছে ২ জিবি র্যাম এবং ১৬ জিবি ইন্টারনাল মেমরি সুবিধা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।