আর্কাইভ: 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31- January February March April May June July August September October November December- 2012 2011 2010 2009
বছরজুড়ে আলোচিত গুম
নাছির উদ্দিন শোয়েব
168 পরের সংবাদ»
চলতি বছরজুড়েই আলোচনার শীর্ষে রয়েছে গুম-হত্যার নানা ঘটনা। আর মহাজোট সরকারের চলতি জমানার চার বছরজুড়েই আতঙ্কের নাম গুম ও গুপ্ত খুন। মানুষের মিলছে না স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা। ঘরের বাইরে ওঁত্ পেতে আছে মৃত্যু। ঘরও নয় নিরাপদ।
সেখানে আততায়ীর হানায় লাশ হয়েছে নারী ও পুরুষ। পুরো জমানাজুড়েই ছিল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রেড সিগন্যালের নাম গুপ্তমৃত্যু।
চার বছরে বিএনপির কেন্দ্রী দুই নেতাসহ দেড় শতাধিক ব্যক্তি গুম-গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম, চৌধুরী আলমসহ চাঞ্চল্যকর গুম ও গুপ্তহত্যার লোমহর্ষক ঘটনায় দেশবাসী আতঙ্ক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। কে কখন গুম হয়ে যায় এই ভয়ে দিন কাটছে মানুষের।
৮ মাস পার হলেও খোঁজ মেলেনি ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলীর। ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আদালত ও প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন ক্লান্ত।
৮ মাস আগে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামকে গুম করে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত এর কিনারা হয়নি। অন্যদিকে ২৮ মাস পার হলেও বিএনপি নেতা ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
হিউম্যান রাইটস ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে গুম হয়েছে ১৫৬ জন। এর মধ্যে ২৮ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গুমের তালিকায় রয়েছেন ছাত্রদল, যুবদল, শিবির নেতা, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও বিরোধী মতের মানুষ। গুম হওয়ার পর কারও কারও লাশ পাওয়া যায় নদীতে, ডোবায়, জঙ্গলে ও ঝোপের মধ্যে।
বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা, গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশ-বিদেশে সমালোচনার মুখে বাংলাদেশে র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমলেও গুমের ঘটনা অনেক বেড়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নিরাপত্তা হেফাজতে নির্যাতন তদন্ত ও বিচারে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়নি বলেও মনে করে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ধরে নিয়ে গিয়ে গুম করার ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এক ধরনের নির্যাতনের বদলে অন্য ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে—এমন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে’।
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, পুলিশ-র্যাবের নাম করে অপহরণের ঘটনা ঘটছে।
তবে এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত নয়। অপরাধীরাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করছে।
ইলিয়াস আলী : গত ১৭ এপ্রিল রাতে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী বনানীর সিলেট হাউস থেকে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। গভীর রাতে বনানী ২ নম্বর রোডে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার করে বনানী থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে আদালতে একটি রিট করা হয়।
ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস ও আদালতের নির্দেশের পরও ইলিয়াস আলীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারেনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। জানা গেছে, ইলিয়াস আলীর ঘটনাটি এখন আর তদন্তই করছে না র্যাব-পুলিশ বা গোয়েন্দারা।
আদালতের নির্দেশের পরও ইলিয়াস আলীকে হাজির করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইলিয়াস আলী গুমের পর তার স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা আদালতে একটি রিট করেন।
আদালত দশ দিনের মধ্যে ইলিয়াস আলীকে হাজির করতে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ডিবি, এসবি, সিআইডি ও গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিলেও দীর্ঘদিনেও তা কার্যকর হয়নি। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে র্যাব-পুলিশ ও গোয়েন্দারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিয়াস আলী গুম তদন্তে একচুলও অগ্রগতি নেই। উপরন্তু তার বনানীর বাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করায় অবরুদ্ধ পরিবারটির সঙ্গে ভয়ে ঘনিষ্ঠজনরাও দেখা করতে আসছেন না।
শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যা : চলতি বছরের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আমিনুলের নিজ শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (বিসিডব্লিউএস) সাভার অফিসের কাছ থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
পরদিন ৫ এপ্রিল সকালে টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার পুলিশ সদস্যরা টাঙ্গাইলের ব্রাহ্মণশাসন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনের রাস্তা থেকে আমিনুলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় আমিনুলের ডান হাঁটুর নিচে একটি কাপড বাঁধা ছিল, যাতে জমাটবাঁধা রক্ত এবং তার দুই পায়ের আঙুল থেতলানো ছিল। মামলার তদন্ত করছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ মামলার কোনো ক্লু পাচ্ছেন না তারা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন, শ্রমিক আন্দোলনসহ যুক্তরাষ্ট্রের তাগাদা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না প্রশাসন।
তাছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে সরকারের একটি নিরাপত্তা সংস্থার কতিপয় সদস্য জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
নিহত আমিনুলের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ফাহিমা অভিযোগ করে বলেন, আমিনুল নিখোঁজ হওয়ার সময় তার বন্ধু মোস্তাফিজুরকে না পাওয়া যাওয়ায় তিনি ধারণা করছেন, মোস্তাফিজকে ব্যবহার করেই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা আমিনুলকে অপহরণের পর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে এবং লাশ গুম করতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ফেলে দিয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করার কারণে ২০১০ সালেও পুলিশ সদস্যরা বেশ কয়েকবার আমিনুলকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছিল। তিনি জানান, তার স্বামী শ্রমিক সংগঠন বিসিডব্লিউএসের নেতা ছিলেন। এছাড়াও আমিনুল বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটিতে সংগঠক হিসেবে চাকরি করতেন।
গত ৪ এপ্রিল আশুলিয়ার মধ্যগাজীতে চটগ্রামের আবুল কালামের বাড়িতে বিসিডব্লিউএসের আঞ্চলিক অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের মেয়ে সালমা আক্তার আঁখি অভিযোগ করে বলেন, বাবার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন, শ্রমিক আন্দোলন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা হযছে। কিন্তু সরকার অজ্ঞাত কারণে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ড দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম ২৮ মাস ধরে নিখোঁজ। তার ছেলে আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, তার বাবা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন, এর কোনো তথ্য এখনও জানতে পারিনি। মারা গেলেও তার লাশ কোথায়, কারা তাকে আটক করল, কোথায় নিয়ে গেল—সব কিছুই অজানা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাবাকে ধরে নেয়া হলো। অথচ কোনো সংস্থা তা স্বীকার করছে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে প্রাইভেট কারে ধানমন্ডি যাওয়ার সময় সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিদের হাতে আটক হন। গাড়ি থামিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করেছে।
অন্যদিকে গত ৪ ফ্রেবুয়ারি র্যাব পরিচয়ে আটক করে নেয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্র আল-মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহের খোঁজ মেলেনি ১১ মাসেও। ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজ শেষে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন।
রাত সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে ঝিনাইদহ-৩৭৫০ নম্বর গাড়ির সি-১ ও সি-২ সিটে বসে ক্যাম্পাসে আসার পথে রাত সাড়ে বারোটা থেকে একটার মাঝামাঝি সময়ে সাভারের নবীনগর পৌঁছলে র্যাব-৪ এর সদস্য পরিচয় দিয়ে গাড়িটি থামানো হয়। এ সময় র্যাবের পোশাক ও সাদা পোশাকধারী ৮-১০ জন ব্যক্তি গাড়িতে উঠে আল-মোকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় বলে তাদের আত্মীয়স্বজনকে নিশ্চিত করেন গাড়িতে অবস্থানকারী যাত্রী ও সুপারভাইজার সুমন। এর পর থেকে র্যাবের হাতে আটক দুই ছাত্রের কোনো সন্ধান পাচ্ছে না তাদের পরিবার। র্যাব তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
অপরদিকে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনারকে গত ১ এপ্রিল র্যাব আটক করে গুম করেছে বলে অভিযোগ করেছে সিলেট জেলা বিএনপি।
গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একটি মামলার আসামি হওয়ায় গত ১ এপ্রিল ঢাকায় আসেন দিনার। রাজধানীর উত্তরায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় তিনি অবস্থান করছিলেন। সেদিন রাতে র্যাব ১-এর একটি টিম দিনারকে ওই বাসার সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
অপহরণের পর গুপ্তহত্যার শিকার যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলামের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটিও পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত তো করছেই না, উল্টো তদন্তের নামে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। পরে গাজিপুরের দক্ষিণ সালানা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। জানা গেছে, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলা এখন গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। বরিশালের উজিরপুরের বিএনপি নেতা হুমায়ুন খান রাজধানীর মলিবাগ থেকে সাদা পোশাকধারীদের হাতে আটকের পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে হুমায়ুন তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার সূত্রাপুরের ৪৫/ক, ঢালকানগর ফরিদাবাদের নিজ বাসা থেকে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় এক বাসায় যান।
সেখান থেকে সাদা পোশাকের একদল লোক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে। এছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে আটক করে নেয়া তিন যুবকের লাশ পাওয়া যায় গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জে। অন্যদিকে ধলেশ্বরী নদী থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রদল নেতাসহ ৮ জনের লাশ।
২০১০ সালের ৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানা বিএনপির সভাপতি ও করলডেঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে র্যাব সদস্যরা গাজীপুর থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। গাজীপুর-জয়দেবপুর বাইপাস রোডের চৌরাস্তা এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী ৪-৫ জন লোক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তার গাড়ি থেকে জোর করে তাকে অন্য একটি গাড়িতে তুলে নেয়।
এখন পর্যন্ত তার খোঁজ নেই। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও এলাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, তার মেয়ের জামাই ও বন্ধু নিখোঁজ রহস্যের জট খোলেনি আজও। রাজধানীতে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শামিম ও একই সঙ্গে চার বন্ধু পল্লবী এলাকার আবুল কালাম শেখ, আবুল বাশার শেখ, মিরপুরের আবদুর রহিম ও যাত্রাবাড়ীর ইস্রাফিলের নিখোঁজ হওয়ার ৮ মাসেও খোঁজ মেলেনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।