আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইয়াসির আরাফাত

২৪ আগস্ট ১৯২৯ এ জন্ম নেওয়া ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ফিলিস্তিনি জনগণের পরম প্রিয় নেতা। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর চেয়ারম্যান হিসেবে আরাফাত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সারাজীবন সংগ্রাম করেন। তিনি প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের সম্পূর্ণ বিরোধী থাকলেও পরে আরাফাত ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। ১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে আরাফাতের ফাতাহ দল জর্ডানের সঙ্গে মতপার্থক্যজনিত কারণে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তিনি বিতর্কিত হয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে তিনি জর্ডানে আশ্রয় নিলে সেখানে তিনি ও তার ফাতাহ দল ইসরায়েলের ১৯৭৮ ও ১৯৮২ সালের আগ্রাসন ও আক্রমণের শিকার হন। দল-মত-নির্বিশেষে ফিলিস্তিনের অধিকাংশ মানুষ তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে সম্মান করে থাকে। তবে ইসরায়েলিরা তাকে সন্ত্রাসবাদী মনে করে। জীবনের শেষ ভাগে আরাফাত ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে আরাফাত ইজহাক রাবিন ও শিমন পেরেজের সঙ্গে অসলো শান্তি চুক্তির জন্য একত্রে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

কিন্তু একই সময়ে হামাস ও অন্যান্য জঙ্গিবাদী সংগঠন ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে নেয়। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত আরাফাত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে তার রামাল্লার দফতরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকেন। ২০০৪-এর শেষদিকে আরাফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কোমায় চলে যান। আরাফাতের অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, তিনি ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপুরা এবং সিরোসিসে ভুগছিলেন।

তিনি ২০০৪ সালের নভেম্বর ১১ তারিখে প্যারিসে চিকিৎসারত অবস্থায় ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.