শৈত প্রবাহের মধ্যে ভোর থেকেই ঠাণ্ডা পানিতে নেমে পড়েছে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের কৃষক মরহুম জালালের ছেলে আল আমীন। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, টানা অবরোধ হরতাল ও বীজ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের বাজার চড়ায় এক বিঘা ধানী জমিতে ধান লাগানোর শুরুতেই বিঘা প্রতি ধানের বীজ ১ বস্তা ৪০০ টাকা, চাষ-মই ২০০০ টাকা, পানির পাম্প ভাড়া এক মেৌসুম ১৫০০ টাকা, ডিজেল ৬০ লিটার ৪২০০ টাকা, ধানের চারা জমিতে রোপন ও পুরো মৌসুম বাছাই ২০০০ টাকা, সার কীটনাশক ১৫০০, মৌসুম শেষে ধান কাটা মাড়াইসহ ধান ঘরে উঠানো ২০০০ টাকাসহ সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়। দেখা যায় বিঘা প্রতি ২০ মণ ধান হলে ৭০০ টাকায় দাম আসে ১৪ হাজার টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক ইমান আলী, জজ মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, তমিজ উদ্দিন, জামালউদ্দিন সিকদারসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পেটের খোরাক জোগাতেই কৃষিকাজ, তবে কোন লাভ নেই। তরগাঁও ইউনিয়নের তরগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের মরহুম আবুল হাসেম শেখের ছেলে কৃষক হাছেন আলী শেখ বলেন, জমিতে ধান লাগাতে হবে তাই লাগাই, ধানে কোন লাভ নেই।
শুধু ঘরের ভাত জোটে। খড় পেলে গরু পালন করা যায় এমন একটি সুবিধার কথাও জানালেন তিনি।
ভিন্ন আঙ্গিকে কথা বলেন কাপাসিয়া ইউনিয়নের পাবুর গ্রামের কৃষক আজগর হোসেন খান। তিনি বলেন, আমি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।
একই গ্রামের কৃষক শাহজাহান জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে তিনি তার আট বিঘা জমিতে ইরি ২৮ ধানের চারা (জালা) রোপন করে আশা করছেন প্রতি বিঘাতে ১৮ থেকে ২০ মন ধান উৎপাদিত হবে, তা থেকে নিজের এক বছরের খাবারের ধান রেখে বাকি ধান বিক্রি করে দেবেন। তাছাড়া আট বিঘা ক্ষেতের খর বিক্রি করলে চাষাবাদের খরচের টাকা উঠে আসবে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহাম্মদ আলী বলেন, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পাবুর ব্লকের এবারের লক্ষ্যমাত্রা ২১০ হেক্টর জমিতে ৮০০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।