আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপিই সংলাপ দূরে ঠেলছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নতুন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব নিয়ে বৃহস্পতিবার কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেছেন, নতুন সরকারের ওপর বিদেশি কোনো চাপ অনুভব করছেন না তারা।

দশম সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গঠিত নতুন সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ঢাকায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা নতুন নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে দ্রুত সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন।

বিএনপির বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছে, যাতে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন শাহরিয়ার।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ এবং ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হয়ে সমঝোতা হলে মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে পারে।

জামায়াতের বিষয়ে বিএনপির নিরবতা এবং খালেদা জিয়ার বুধবারের বক্তব্যে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস নিয়ে সরকারকে দায়ী করার মধ্যদিয়ে বিএনপি সংলাপের সম্ভাবনা ভেস্তে দিচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।

“বিএনপির সাথে আমরাও আলোচনা চাই। তবে তার আগে অবশ্যই বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ত্যাগ করে আসতে হবে। ”

“এর আগে যখন এ বিষয়ে বিএনপিকে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিলো তারা জামায়াত বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বা সঙ্গ ছাড়া সম্ভব নয় এমনটাও বলেনি। ”

তিনি বলেন, “সংলাপের বিষয়ে তাদের আন্তরিকতা আসলেই রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বাংলাদেশ বিষয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণের প্রস্তুতির বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে এখনো আমরা আনুষ্ঠারিকভাবে কিছু জানি না।

“তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে আমরা দেখেছি। সেখানে কিন্তু বিরোধী দলকে বলা হয়েছে সহিংসতা বন্ধ করতে। ”

“গতকাল সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেছেন যে তারা কোনো সহিংসতায় জড়িত নন, সরকার এমনটা করাচ্ছে। ইইউ কিন্তু বলছে, জামায়াত এবং বিএনপি এসব সহিংসতা ঘটিয়েছে।

বিএনপির বিষয়ে কূটনীতিকদের কিছু বলা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা কূটনৈতিকদের অনুরোধ করেছি যেন তারা এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সাথে একটু কমিউনিকেট করেন। ”

ইইউতে কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেখানে আমাদের প্রতিনিধি আছেন। আর এমনিতে নতুন করে কোনো প্রতিনিধি পাঠানোর মতো অবস্থা এখনো সৃষ্টি হয়নি। ”

বৈঠকে কূটনৈতিকদের পক্ষ থেকে কোনো চাপ দেয়া  হয়েছে কি না- প্রশ্ন করা হলে শাহরিয়ার বলেন, “এখানে প্রায় ৪৯/৫০ জন কূটনীতিক ছিলেন, কারো পক্ষ থেকেই কোনো ধরনের চাপ ছিল না।

“এরকম কোনো স্টেটমেন্টও ছিল না, তারা বলেছে তারা দুই দলের মধ্যে দ্রুত সংলাপ চান।

আমরাও তো সংলাপ চাচ্ছি। ”

সংলাপ মধ্যবতী নির্বাচন নিয়ে হবে কি না- জানতে চাইলে শাহরিয়ার বলেন, “এটা নির্ভর করছে আলোচনার ওপরে। আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হলে আলোচনা হবে আর আলোচনা হলে অনেক কিছুই হতে পারে।

“গত পাঁচ বছর সরকার ক্ষমতায় ছিল, ২/৩ বার সংলাপের চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজে টেলিফোনে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তারা কিন্তু এগুলো দূরে ঠেলে দিয়েছে।

প্রধান বিরোধী দলহীন নির্বাচনের কারনে নৈতিকভাবে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “না কোনো চাপ নেই। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।