ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।
বিরোধী দলের গণমিছিল কর্মসূচিতে তিন জেলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপিকেই দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ‘সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে’ ক্ষমতায় যেতে চাইছেন- এমন অভিযোগ করে এই ‘আত্মঘাতী খেলা’ বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গণভবনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, “এই পাঁচটা মানুষকে বিএনপি হত্যা করেছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করছে।
বিরোধীদলীয় নেতা মনে করেন- একটা করে লাশ পড়লে উনি ক্ষমতায় যেতে পারবেন। ”
বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত রোববার চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে চারজন এবং পরদিন রাজশাহীতে এক জামায়াত কর্মী নিহত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার জবাব বিরোধীদলীয় নেতাকে একদিন দিতে হবে। উনার (খালেদা জিয়া) আর কত রক্ত চাই? আর, কত রক্ত ঝরলে উনি শান্ত হবেন?”
যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতেই বিএনপি আন্দোলন করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হাসিনা বলেন, এ দেশের জনগণ বিএনপিকে আর কোনো দিন ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না।
গত বছর সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপি।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, “আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কোন পথে আনবেন। সংবিধান সংশোধন হয়ে গেছে। উচ্চ আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে। ”
“তার মানে উনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে খেলতে চাচ্ছেন। সেনাবাহিনীকে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন।
অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন সেনাবাহিনীর। এখন এই আত্মঘাতী খেলা বন্ধ করেন”, যোগ করেন তিনি।
সেনাবাহিনী গত ১৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, কিছু প্রবাসী বাংলাদেশির ইন্ধনে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন ধর্মান্ধ কর্মকর্তা স¤প্রতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করার প্রয়াস চালায়, যা সেনাবাহিনীর ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রতিহত করা হয়েছে।
এর পরপরই এক অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা গণভবনের অনুষ্ঠানে বলেন, “আপনাকে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মানতে হবে।
আপনি যে আশা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছেন- তা পূরণ হবে না। ”
তত্ত্বাবধায়কের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে যদি আর নির্বাচন না দেয়? আর, তত্ত্বাবধায়ক কী উনাকে (খালেদা জিয়া) কোলে তুলে ক্ষমতায় বসবে?”
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দীন তো আপনার ছেলেদের পিটিয়ে দেশ ছাড়া করেছে। আবার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে যে আপনার কী করবে- তা কে জানে?”
তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলীয় সভনেত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না। ”
জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, জাতীয় কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, দলীয় সাংসদ, যশোরের সব উপজেলা, থানা এবং পৌর, ইউনিয়ন শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
Click This Link
ইদানিং ডাইল এর ডোজ কি বেশি হইতাসে নাকি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।