নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে।
এরশাদের ধর্ম মন্ত্রী ও বুদ্ধিজীবী হত্যা অভিযোগে অভিযুক্ত মওলানা মান্নানেই ইনকিলাব প্রতিকাটা প্রকাশক সম্পাদক ও মালিক ছিলেন। কথিত আছে, এই পত্রিকা প্রকাশ অর্থের উৎস ছিল লিবিয়া সরকার। পত্রিকাটা এরশাদের আমলে বেশ প্রচারিত পত্রিকা ছিল। বিশেষ করে এনটি আওয়ামীলীগ সেন্টিমেন্ট ও ভারত বিরোধীওয়ালাদের কাছে এক নম্বর পঠিত পত্রিকা ছিল ইনকিলাব।
এই পত্রিকাটার বিশেষত্ব ছিল বানোয়াট সংবাদ প্রচার আর সেই সংবাদের জন্য মামলা হলে ক্ষমা চাওয়া। ভারতের বাবড়ি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে দেশে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়ে ছিল সেই দাঙ্গার প্রধান উসকানিদাতার অভিযোগ ছিল পত্রিকাটার বিরুদ্ধে। তখনেই পত্রিকাটা নিষিদ্ধ করার একটা দাবি উঠে ছিল। পরে এরশাদের কৃপায় শেষ রক্ষা হয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তীব্র ভারত বিরোধী পত্রিকা হিসেবে পরিচিত হলেও,এটার বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছিল ভারত থেকে।
তাদের সাপ্তাহিক প্রকাশনা পূর্ণিমাতে এক বছর ঈদ সংখ্যাতে সিংহভাগ ভারতীয় লেখকের লেখা ছেপেও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাই আসার পর কওমী মাদ্রাসার স্বীকৃতির প্রশ্নে পত্রিকাটা হঠাৎ করে ভোল পালটে হয়ে যায় তীব্র জামাত-বিএনপি বিরোধী আওয়ামী পন্থী পত্রিকা। এখন প্রশ্ন হলো যে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে পত্রিকাটা একপ্রকার নিষিদ্ধ হলো, সেই সংবাদ যদি সরকারের পক্ষে যেত তবে কি পত্রিকাটার এই পরিণতি ভোগ করতে হতো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।