আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুচিত্রার সম্মানে তোপধ্বনি

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় কলকাতার কেওরাতলা শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। আর সেখানেই তাকে তোপধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সম্মান প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা।

সুচিত্রা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিয়মিত তাকে দেখতে গিয়েছেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।

মমতা বলেন, “মহানায়িকা চলে গেলেন। বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বিশ্ব চলচ্চিত্রের জন্যও এটি একটি দুঃসংবাদ। তার মতো প্রতিভাবান অভিনেত্রী একবারই জন্ম নিয়েছিলেন। আজকের দিনটি খুবই দুঃখের আমাদের জন্য। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজনকে হারিয়েছি আমরা।

২৩ ডিসেম্বর ফুসফুসে পানি জমায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় সুচিত্রা সেনের। ওইদিনই তাকে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে তিনি ছিলেন পাঁচ সদস্যের এক চিকিৎসক টিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণে। তার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে তাকে ভেন্টিলেশনের সাহায্যে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।

বাংলা সিনেমা ‘শেষ কোথায়’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ১৯৫২ সালে চলচ্চিত্রজগতে যাত্রা শুরু করেন মহনায়িকা।

হিন্দি সিনেমাতেও তিনি অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন।

বিমল রায়ের পরিচালনায় ১৯৫৫ সালে ‘দেবদাস’ সিনেমায় অভিনয় করে তিনি জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৬৩ সালে মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘সাতপাকে বাঁধা’ সিনেমার জন্য সুচিত্রা অর্জন করেন সেরা অভিনেত্রীর খেতাব। তিনিই ছিলেন ভারতীয় প্রথম অভিনেত্রী যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

১৯৭৮ সালে সুচিত্রার ‘প্রণয় পাশা’ সিনেমাটি জনপ্রিয়তা না পেলে তিনি চলচ্চিত্রজগত থেকে বিদায় নেন।

এরপর থেকে কখনও জনসম্মুখে আসেননি তিনি। এমনকি ২০০৫ সালে তাকে দাদাসাহেব ফালকে পদকের জন্য মনোনীত করা হয়। তবে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদক গ্রহণের জন্য দিল্লি যাননি তিনি।

কলকাতার বাড়িতে মেয়ে মুনমুন সেন এবং দুই নাতনি রাইমা এবং রিয়া সেনের সঙ্গে বাস করতেন প্রয়াত ওই কিংবদন্তি অভিনেত্রী।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।