জীবনের অর্থ খুজিনা,তাই জীবনকে অর্থহীন মনে হয়না
-দোস্ত,খালি কাদের মোল্লাকে ফাসী দ্যাক,দেখবি শিবিরের সুইসাইড স্কোয়াড নামায় দিবো।
-আইন শৃংখলা পরিস্থিতি কড়া তো। তাই নামে নাই। খালি ইলেকশন হইতে দে,দ্যাখ কি হয়। এইবার নামবোই নামবো।
-সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা,নির্যাতন।
-সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর সাথে সংঘর্ষ। অমুক সংখ্যাক মানুষ নিহত।
উপরের কথাগুলি ঘুরেফিরে বারবার এসেছে আমাদের কথায়,লেখায় এবং আলোচনায়।
আসুন একটু অন্যভাবে ভেবে দেখি।
শিবিরের সুইসাইড স্কোয়াড নামা সম্পর্কে চিন্তা করেননি এমন মানুষ খুব কম। মিডিয়ার কল্যানে আমরা জানি তালেবান স্কোয়াডের কথা। কাজেই আমরা শিবির কে নিয়ে এমন আশংকা করবো খুবি স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,আদৌ কি সেটা ঘটেছে????প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমাদের এভাবেই দেখানো হয়েছে,জামাত যেহেতু যুদ্ধপরাধী দল,নিঃসন্দেহে শিবির জংগী সংগঠন। তার উপরে তারা কেম্ন গোপনে চলে,চোরা চাহনী দ্যায়,দাড়ি রাখে কিন্তু কায়দা করে,মসজিদে গোপন মিটিং করে।
তাদেরকে জংগী বানানোর রসদে এই দৃশ্যপটগুলি যথেষ্ট। কিন্তু বাস্তবিক প্রমাণ কই?আমরা নিজেদের মধ্যে সন্দেহ আর আলোচনা থেকে এই অপবাদ তাদের দিয়ে চলেছি দিনের পর দিন। তাই নয় কি???
সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা। মিডিয়ার আরেকটি প্রচার। কথা টা চরমভাবে ভুল।
কেন???বলছি। রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সাধারণত দূর্বল জনগোষ্ঠীকে ব্যাবহার করা হয়,এটা অনেক পুরোনো রেওয়াজ। আমাদের দেশে সবচেয়ে গরীব সম্প্রদায়ের মধ্যে দুঃখজনক হলেও সত্য হিন্দু জনগোষ্ঠী বেশী। কোনো মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত হিন্দুদের উপরে হামলা হয়েছে কি???না। কাজেই এটা ভেবে দেখার সময় এসেছে,আসলে এই হামলা কি হিন্দুদের উপরে,নাকি নিম্নবিত্ত মানুষের উপরে?আপনি যদি ইকুয়েশনটা এভাবে মিলান,কৌশলে নিম্নবিত্তদের উপরে হামলা হচ্ছে,কারণ এটাই সবচেয়ে সহজ,তাহলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
যেহেতু নিম্নশ্রেণীর মানূষের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বেশী,তাই তারাই শিকার হচ্ছেন বেশী। একবার পরিসংখ্যান ঘেটে দেখুন,খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদের উপরে কিন্তু হামলা কম। কারণ তারা সংখ্যায় আরো কম হলেও,শিক্ষিত এবং মধ্যবিত্তের সীমা উতড়ে গেছে বলা চলে। আবার বৌদ্ধরা যেহেতু উপজাতিদের মধ্যে বেশী,এবং তারা তুলনামূলক ভাবে অনগ্রসর,তাই তাদের উপরে হামলার ঘটনাও বেশী। তাই নয় কি???কাজেই ঢালাওভাবে মিডিয়া যেটা প্রচার করছে,সেটার ভিত্তি আসলেই কতটা ধোপে টেকে বলা মুশকিল।
দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে সঙ্ঘর্ষে মানুষ মারা যাচ্ছে। সংঘর্ষ হচ্ছে এটা সত্য। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়। ইটের জবাব ইট দিয়ে হয়,লাঠির জবাব লাঠি দিয়ে হয়। বন্দুক দিয়ে বন্দুকের জবাব হয়।
এতাই স্বাভাবিক। আমরা এখনো আফ্রিকান কান্ট্রিগুলার মত একে ৪৭ এর দৌরাত্ম দেখিনি। কোনো মিছিল মিটিং এই দু চারটা সেই আমলের পিস্তল(যেগুলির গুলি আদৌ ফোটে কিনা গবেষণার বিষয়) ছাড়া আর কিছুই দেখিনি। তাহলে পুলিশ লাঠিচার্জ না করে গুলি ছুড়ছে কেন???কই,হাই কোর্টে আইনজীবিদের উপরে তো পুলিশ গুলি ছোড়ে না। তাহলে কি এটাই বলা যায়,শিক্ষিত মানুষের উপরে জলকামান আর সাধারণ অর্ধশিক্ষিত মানূষের উপরে গুলি???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।