মানুষের চরিত্র বড়ই জটিল আর জটিল চরিত্রের মানুষকে নিয়ে কিছু লেখা আরো জটিল।
রেলভবনের বাইরে রাস্তায় মাদুরের ওপর কম্বল জড়িয়ে রাত কাটান কেজরিওয়াল। ছবি: সৌজন্যে এনডিটিভিদিল্লি গেটের কাছে রেলভবনের বাইরে রাস্তায় ঘুমিয়ে রাত কাটালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছয়জন মন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রায় ২০০ জন কর্মী। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মুখমন্ত্রী প্রচণ্ড শীতে রাস্তার পাশে একটি মাদুরের ওপর কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে রাত কাটান। পাশেই ছিল তাঁর নীল ওয়াগন আর। চার দিন পর প্রজাতন্ত্র দিবস। আর এই দিবসকে সামনে রেখে ওই এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের জন্য বিরাট ঝক্কি হয়ে দাঁড়াবে।
শুধু কেজরিয়াল নয়, ধরনাতে অংশ নেওয়া আম আদমি পার্টির স্বেচ্ছাসেবীরাও রাস্তায় ঘুমিয়ে রাত কাটান। ছবি: সৌজন্যে এনডিটিভিপাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্তের দাবিতে কেজরিওয়াল ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ধরনা দিয়ে বসতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। সমর্থকদের রুখতে ওই এলাকার অন্তত পাঁচটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটু দূরে রেলভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি (ধরনা) শুরু করেন কেজরিওয়ালসহ দিল্লির সব মন্ত্রী।
সেখান থেকে আগামী ১০ দিন সরকার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের সরকার অভিযোগ করেছে, দিল্লির পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসত্। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে তিনি নারাজ।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ৪৫ বছর বয়সী এই নেতার শরীর ভালো নেই। এর মধ্যে গতকাল বিক্ষোভের সময় তাঁকে কয়েকবার কাশতে দেখা গেছে।
মধ্যরাতের একটু আগে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় আম আদমি পার্টির স্বেচ্ছাসেবীরা তাঁর চারপাশে এক বেষ্টনী তৈরি করে রাখেন। কেউ ঘুমন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এগিয়ে এলেই একজন স্বেচ্ছাসেবী তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন। কেউ রাস্তায় ঘুমিয়ে থাকা এই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুলতে গেলে ওই স্বেচ্ছাসেবী বলছিলেন, দয়া করে কেউ ক্যামেরার লাইট জ্বালবেন না। তিনি বিরক্ত হতে পারেন।
’
কেজরিওয়াল যখন বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, তখন দলের স্বেচ্ছাসেবীরা দেশাত্মবোধক গান ও জাতীয় পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দেন। কেউ কেউ প্রচণ্ড শীতের মধ্যে আগুন জ্বেলে এর চারপাশে বসে আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন।
ভোর পাঁচটা ২০ মিনিটে জেগে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সবাইকে শুভ সকাল জানিয়ে সেখানে থাকা সাংবাদিকদের সামনেই কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দিল্লিতে যখন এত অপরাধ হচ্ছে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিন্ধে কীভাবে ঘুমান।
তিনি কী স্বৈরশাসক? এটা কোনো মুদি দোকান নয় যে আমরা তাঁর সঙ্গে দর-কষাকষি করব। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।