অনুবাদ করতে ভালবাসী । তবে অনুবাদে ভাত আছে বলে মনে হয় না। facebook ও Mail এ আমি ঃ-sampad1987@yahoo.com জাহাজ কাকড়া বা রাজা কাকড়া স্থানীয় ভাবে একে অনেক নামেই ডাকাহয়। তবে ইংরেজিতে তাকে isopod বা horseshoe crab নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশ সহ দক্ষিন এশিয়ার প্রায় সকল সমুদ্র উপকুলেই এদের দেখাযায়।
তবে শিত প্রধান সমুদ্রউপকুল গুলো তে এদের গায়ের রঙ কিছুটা ভিন্ন।
আমি প্রথম এদের দেখা পাই টেকনাফ সমুদ্র তরবর্তি নাফ নদীতে। এবং সর্বশেষে বিচের একটি ঝিনুকের দোকানে। এবং সেখানে থেকেই আমি একটি ক্রয় করি।
বাংলাদেশের সমুদ্রেই শুধু না, সারাবিশ্বের সকল সমুদ্র বা মহাসমুদ্র গুলোতে টিকে থাকা প্রাচীন প্রানীগুলোর মাঝে এই জাহাজ কাকড়া অন্যতম।
পৃথিবীতে যখন মানুষের আগমন ঘটেনি তখন ও এদের অস্তিত্ব ছিল বলে ধারনা করা হয়। তাই একে জিবন্ত ফসিল বলে গন্য করা হয়। ১৯০০ সালের দিকে যখন কৃত্রিম সার আবিস্কৃত হয়নি তখন অনেক দেশে এদের শুকনো ও গুরো করে সার প্রস্তুত করা হত।
এই জাহাজ কাকড়া দেখতে বিশাল ও ভয়ঙ্কর হলেও বাস্তবে এটা খুব নিরিহ। আপনি ইচ্ছা করলে সঙ্গে সঙ্গেই একে হাতে নিতে পারেন ।
সদের শরির খুব সক্ত একটি খলোশ দিয়ে আবৃত্ব । মারা যাবার পর ও তাই শুকিয়ে অনেকদিন সংরক্ষন করা যায়। এদের একটি শক্ত লেজ রয়েছে । কিন্তু আত্ম রক্ষায় এটি কোনো আসে না।
আমরা জানি যে টিকটিকির রক্ত সাদা তবে এটা জেনে অবাক হবেন যে জাহাজ কাকড়ার রক্ত নীল।
প্রায় ১২টি পায়ের সাহায্যে এরা সমুদ্রতিরে হেটে বেড়ায়। সমুদ্র উপকুলবর্তি জেলেদের প্রস্ন করে জানতে পারলাম বাংলাদেশের সমুদ্রে এক সময় এদের প্রচুর পরিমানে দেখা যেত। এখনো এদের দেখা প্রচুর দেখা যায় । তবে এখন এদের দেখতে হলে যেতে হবে নাফ নদীর নির্জন স্থান গুলিতে।
আরো বিস্তারিত ভাবে এদের জানতে হলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
wikipedia
খুব সংক্ষিপ্ত করে সুন্দর এই প্রানীটিকে বর্ননা করার চেষ্টা করলাম। সবাইকে নতুন বছরের সুভেচ্ছা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।
****Happpppy new year**** ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।