আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএনপিকে ১৮০ দিনের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে হবে

এ সরকারকে এক দিনের জন্য ক্ষমতায় রাখা বিএনপির জন্য নিরাপদ নয়। কিন্তু চরম দুর্ভাগ্য হলো, গত পাঁচ বছরের ব্যর্থ রাজনীতির কারণে আজ বিএনপি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, সেখান থেকে এ সরকারকে হটানোর কোনো ক্ষমতা এ মুহূর্তে বিএনপির হাতে নেই। বিশেষ করে বর্তমানে দলের যে সাংগঠনিক অবস্থা তাতে যে যাই বলুক দলের বিভিন্ন স্তরের বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের মতো একটি সংগঠিত দলের বিপক্ষে জয়লাভ করা প্রায় অসম্ভব, বিশেষ করে যখন ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনার মতো একজন বিচক্ষণ, দক্ষ, করিৎকর্মা এবং অত্যন্ত কৌশলী রাজনীতিবিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো তিনি সার্বক্ষণিক রাজনীতি করেন এবং সব মহল বিশেষ করে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সঙ্গে সরাসরি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন। পাশাপাশি তিনি আক্রমণাত্দক ও ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিতে খুবই পারদর্শী।

বর্তমানে সরকারের অবস্থা তুঙ্গে। এ মুহূর্তে সরকারের সঙ্গে সামনাসামনি মোকাবিলা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। বিএনপিকে এখন কৌশলগত কারণেই কিছুটা সময় নেওয়া উচিত। তবে এই সময়টা অযথা ব্যয় না করে যত দ্রুত সম্ভব দলকে পুনর্গঠনের কাজে ব্যয় করা হবে সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত। বিএনপির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য দলকে এমন কিছু বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বর্তমানের জগাখিচুড়ি সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমতা থেকে সরানো যায়।

এ ছাড়া বিএনপির সামনে কোনো পথ খোলা নেই। তাই বিএনপিকে এখন প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হলো- সব দায়দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রথমেই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে হবে। তার পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে দলের বর্তমান স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটি আপনাআপনি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে। দলের চেয়ারপারসনের পদত্যাগের ফলে দলের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ বিস্ফোরণ ঘটবে। দলের নেতা-কর্মীরা চেয়ারপারসনের পদত্যাগ মেনে নেবে না; কিন্তু এই পদত্যাগের মাধ্যমে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপিত হবে এবং দুর্মুখদের মুখও সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে।

দলের চেয়ারপারসনের পদত্যাগ এবং স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ সব জেলা, উপজেলা এবং সব অঙ্গসংগঠনেরও কেন্দ্রীয় থেকে সব পর্যায়ের কমিটিগুলো ভেঙে দিয়ে প্রতিটি জেলা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন নেতা নিয়ে সদ্য পদত্যাগী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জাতীয় আহ্বায়ক করে ৭০১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সর্বাগ্রে গঠন করতে পারে। ওই কমিটি গঠন করার পর জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে নিম্নলিখিত কার্যাবলী ও কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার কাজ শুরু করে দিতে পারে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট ৭৫-১০০টি উপকমিটি গঠন করে প্রতিটি জেলায় ও মহানগরে এবং প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের জন্য একটি করে উপ-কমিটিকে সরাসরি দায়িত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাঠিয়ে এবং দায়িত্ব দিয়ে দলকে পুনর্গঠিত করার কাজ শুরু করে দিতে পারে। ওই উপ-কমিটি প্রতিটি স্তরে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে নিম্নলিখিত কমিটিগুলো গঠন প্রক্রিয়া সরাসরি তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করতে পারে। এ ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া যেতে পারে।

সদস্য সংগ্রহ ও তালিকাভুক্তির মাস : ৩০ দিনব্যাপী সারা দেশে ব্যাপকভাবে বিএনপি ও তার প্রতিটি অঙ্গ-সংগঠনভিত্তিক সদস্যদের তালিকাভুক্তি করতে হবে। বর্তমান সদস্য এবং নতুন সদস্যদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে ভোটার তালিকার মতো প্রথমে প্রতি উপজেলাভিত্তিক কম্পিউটার কম্পোজ করে প্রকাশ ও সংরক্ষণ করতে হবে, যা দলের কেন্দ্রীয় অফিসেও সংরক্ষিত থাকতে পারে। দলের প্রাথমিক স্তর- গ্রাম পর্যায়ে ওয়ার্ড এবং নগর পর্যায়ে মহল্লা কমিটি : পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে দলের প্রাথমিক স্তর হিসেবে প্রতিটি উপ-কমিটির উপস্থিতিতে সারা দেশে যুগপৎভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড এবং নগর ও মহানগরের বিভিন্ন মহল্লা পর্যায়ে দলের তালিকাভুক্ত সদস্যদের ভোটে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট গ্রাম/মহল্লা কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই গ্রাম/মহল্লা কমিটি বিএনপির প্রাথমিক কাউন্সিলর হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং পরবর্তী কমিটি ও নেতা নির্বাচন তাদের সরাসরি ভোটে গঠিত হতে পারে। একই সঙ্গে প্রতিটি অঙ্গসংগঠনের বিশেষ করে ছাত্রদলের বেলায় নূ্যনতম কলেজ, যুবদলের বেলায় নগর ওয়ার্ড বা গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং একইভাবে অন্য সংগঠনগুলোর প্রাথমিক স্তর নির্ধারণ করে তাদেরও সরাসরি ভোটে কমিটি গঠন ও নেতা নির্বাচন সম্পন্ন করা যেতে পারে।

অঙ্গ-সংগঠনের প্রাথমিক স্তর ও পরবর্তী স্তরের কমিটি এবং নেতা নির্বাচন সরাসরি ভোটে গঠিত হতে পারে। এভাবে দলকে পুনর্গঠিত করলে দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হতে পারে।

গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন/নগর পর্যায়ে ওয়ার্ড স্তর : পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিটি উপ-কমিটির উপস্থিতিতে সারা দেশে যুগপৎভাবে প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে ইউনিয়ন/নগর পর্যায়ে ওয়ার্ডে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রাম/মহল্লা কমিটির সব কাউন্সিলরের সরাসরি গোপন ভোটে নূ্যনতম ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ইউনিয়ন/নগর ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও নেতা নির্বাচন করা যেতে পারে। একই প্রক্রিয়া অঙ্গসংগঠনগুলোর ইউনিয়ন বা নগর ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন ও নেতা নির্বাচন করা যেতে পারে।

উপজেলা/থানা স্তর : পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি উপ-কমিটির উপস্থিতিতে সারা দেশে যুগপৎভাবে ইউনিয়ন/নগর ওয়ার্ড কমিটির সব সদস্যের সরাসরি গোপন ভোটে ২৫১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা/থানা/পৌর কমিটি গঠন ও নেতা নির্বাচন করা যেতে পারে।

জেলা নির্বাহী স্তর : পরবর্তী ৩০ দিনে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি উপ-কমিটির উপস্থিতিতে সারা দেশে যুগপৎভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির সব সদস্যের সরাসরি গোপন ভোটে ৩৫১ বা ৪০১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা নির্বাহী কমিটি গঠন ও জেলা পর্যায়ের নেতা নির্বাচন করা যেতে পারে। জেলা পর্যায়ের নেতা নির্বাচনের সময় প্রতি জেলা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যতীত অন্তত আরও পাঁচজন করে জাতীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা যেতে পারে, যারা সরাসরি জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হবে এবং জেলা থেকে জাতীয় কমিটির জন্য নির্বাচিত সদস্যরা জাতীয় পর্যায়ের নেতৃত্বে জেলার প্রতিনিধিত্ব করবেন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সম্পাদক পদে জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পদায়িত হতে পারবেন। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকারবলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হবেন, তবে তারা জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো সম্পাদক বা পদে আসীন না হওয়াই ভালো হবে। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সার্বক্ষণিকভাবে জেলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাই বাঞ্ছনীয়। একই প্রক্রিয়ায় দলের সব অঙ্গসংগঠনের কমিটি ও নেতা নির্বাচিত করা যেতে পারে।

জেলা কমিটি গঠন করার সময়কালে সব মহানগরে প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি উপ-কমিটির উপস্থিতিতে সারা দেশে যুগপৎভাবে প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের সরাসরি ভোটে ঢাকা মহানগরের ৫০১, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০১ ও অন্যান্য মহানগরে ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর নির্বাহী কমিটি ও নেতা নির্বাচিত করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে সরাসরি গোপন ভোটে জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্তর্ভুক্তির জন্য ১০ জন করে নেতা নির্বাচিত করা যেতে পারে, যারা জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিভিন্ন সম্পাদক পদে জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পদায়িত হতে পারবেন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা পদাধিকারবলে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হবেন। তবে তারা জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো সম্পাদক বা পদে আসীন না হওয়াই ভালো হবে। মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সার্বক্ষণিকভাবে মহানগর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাই ভালো।

মহানগর পর্যায়ে সব অঙ্গসংগঠনের বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

জাতীয় নির্বাহী ও স্থায়ী কমিটি : পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে সব জেলা ও মহানগর কমিটির সব সদস্যের গোপন ভোটে দলের চেয়ারপারসন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সব পদের নেতানেত্রীদের নির্বাচিত করা যেতে পারে। একই সম্মেলনে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন ও নেতানেত্রী নির্বাচন করা যেতে পারে। জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে প্রতিটি অঙ্গসংগঠন হতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচিত তিনজন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। দলের নেতৃত্বের স্তর দলের চেয়ারপারসন, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিভিন্ন উপ-কমিটি, জেলা ও মহানগর কমিটি, থানা, পৌর ও মহানগর ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি, গ্রাম ও মহানগর পর্যায়ে মহল্লা কমিটি হিসেবে গঠন করা যেতে পারে।

একইভাবে সব অঙ্গ-সংগঠনের স্তরভিত্তিক কমিটি/সংগঠন গড়ে তোলা যেতে পারে।

উপরোলি্লখিত পাঁচটি স্তরে আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে ব্যাপক গণসংযোগ, সফর ও প্রকাশ্য সম্মেলনের মাধ্যমে সমাপ্ত করে ১৮০ দিনের মাথায় জাতীয় সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অবিসংবাদিত ও সব নেতা-কর্মীর অত্যন্ত প্রিয় আস্থাভাজন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত করে একটি শক্তিশালী গণভিত্তিক, জনগণ ও কর্মীদের আস্থাভাজন বিভিন্ন স্তরে দলের ও অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি গঠন করে পরবর্তী তিন বছরের জন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনীতি তথা কাজ করার সাংগঠনিক ভিত্তি নিয়ে পুনরায় মাঠে শক্তিশালী অবস্থান সৃষ্টি করতে পারলে আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা করায়ত্ত করা বিএনপির জন্য তেমন কঠিন হবে বলে অন্তত আমি মনে করি না। আমাদের মনে রাখা উচিত হবে, একটি রাজনৈতিক দলের মূল এবং একক শক্তি হলো তার সাংগঠনিক ভিত্তি ও নেতানেত্রীদের নৈতিকতা, যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা। যখন কোনো নেতা বা নেত্রী কর্মী দ্বারা নির্বাচিত হন তখন কর্মীদের চাঙ্গা ও তাদের চেতনাকে বেগবান রাখার জন্যই নেতা-কর্মীদের সদা সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হয়। কর্মী দ্বারা তাড়িত ও বেষ্টিত নেতা-কর্মীরা কখনোই রাজনীতিতে হেরে যেতে পারে না।

জনগণ ওই নেতা-কর্মীদের প্রতি বেশি আস্থাশীল থাকে যাদের চারপাশে মৌমাছির মতো ঘিরে থাকে বেগবান, কর্মঠ, ত্যাগী, দেশপ্রেমিক ও জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত বলিষ্ঠ কর্মীবাহিনী। বিএনপির লাখ লাখ কর্মী আছে; কিন্তু তাদের নির্বাচিত নেতানেত্রীর অভাবের কারণে তারা বেগম খালেদা জিয়ার পেছনে গিয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। গত পাঁচ বছরের রাজনৈতিক ব্যর্থতার মূল কারণই হলো নির্বাচিত নেতৃত্বের পরিবর্তে টাকা বা স্বার্থের বিনিময়ে চাপিয়ে দেওয়া নেতৃত্ব। তাই আমি আশা করি, দলকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে পুনর্গঠিত করা যায়, তাহলে আগামী পাঁচ বছর নয়, অন্তত ১৮০ দিন বা ছয় মাসেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। বিএনপি জনগণের দল- বিএনপি জনমানুষের দল।

বিএনপি এ দেশের ধর্মভীরু ও বিশ্বাসী মুসলমানদের দল, যারা কখনো হারতে পারে না। পরাজয় কখনো তারা মেনে নেয় না। বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবেই- অপেক্ষা শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক পদক্ষেপ। বেগম খালেদা জিয়ার যা কিছু হারানোর ছিল সব কিছুই তিনি গত পাঁচ বছরে হারিয়েছেন কিন্তু আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার হারানোর কিছু নেই। 'আসিতেছে শুভ দিন- দিনে দিনে বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।

' বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি জনগণের এখনো অনেক প্রত্যাশা। অনেক কিছুই তার কাছে তাদের কামনা। সে জন্য জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। সময় শুধু সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার, যা শুধু বেগম খালেদা জিয়াই নিতে পারেন।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য

ই-মেইল :rtlbddhaka@yahoo.com

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.