সুপারম্যান আমার প্রিয় সুপারহিরো। কিছু হবার সুযোগ থাকলে সুপারম্যানই হতাম। নো ডাউট।
আজ একটা এনিমেশন মুভি দেখছিলাম, সুপারম্যান ভার্সাস দ্য এলিট। দেখতে দেখতে মাঝপথে গিয়ে এক জায়গায় আটকালাম।
সুপারম্যান এবং এলিটদের লিডার ম্যানচেষ্টার এর মাঝে তর্ক চলছে। ম্যানচেস্টার আইন নিজের হাতে তুলে নেবার পক্ষে, কারন হিসেবে তার বক্তব্য, সুপারম্যান অনেক বেশি রেসট্রিক্ট মানুষ, সে আইনও মেনে চলার চেষ্টা করে লাইন বাই লাইন। আর তাই বিভিন্ন সময়ে সে অসহায়। চোখের সামনে অনেক কিছু হতে দেখেও তাকে চুপ করে থাকতে হয়।
আবার বিভিণ্ন সময়ে সুপারম্যান সাংঘাতিক সব সুপারভিলেনকে থামিয়েছে, তারাও রেগুলার বেসিসে জেলখানা থেকে পালিয়ে ঝামেলা করেই যাচ্ছে।
সবার প্রশ্ন, কেন তুমি তাদের মেরে ফেলছ না? সুপারম্যান বলছে, আমি আইন হাতে তুলে নেব না। আই ওন্ট বি দ্য জাজ।
সবাই আবার প্রশ্ন তুলছে, ওরা তো বার কার পালাচ্ছে, মানুষ মারছে শয়ে শয়ে... কি করবে তুমি এই বিষয়ে? কেন তাদের পারমানেন্ট ভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
এই রকম সময়ে আসে এলিট গ্রুপ। তারা জানায় আইন নিজের হাতে তুলে নিতে তারা ভয় পায় না। তারা দরকারে তা করবেও।
সাধারণ মানুষ খুশি হয় তাদের বক্তব্যে।
এলিট নেতা ম্যানচেস্টার আর সুপারম্যান দাড়িয়ে আছে বিশাল এক টিভি স্ক্রীন কমপ্লেক্স এর সামনে।
কয়েকশ টিভিতে সারা দুনিয়া জুড়ে চলা নানা অরাজকতা দেখানো হচ্ছে, মানুষ মানুষকে মারছে, বোমা দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে দালান কোঠা, যুদ্ধ চলছে, মিসাইল মেরে গ্রাম শহর উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এর সামনে দাড়িয়ে ম্যানচেস্টার এর বক্তব্য, মানুষ কখনই ভাল ছিল না, কোনদিনও হবেও না। সুতরাং কেউ বাধা না দিলে অসহায়রা মার খেতেই থাকবে, লোভী মানুষরা তাদের উদ্দেশ্য সাধন করেই যাবে আইনের ফাক গলিয়ে আর সুপারম্যানের মত মানুষেরা আইনের নাম করে চুপ করে বসে থাকবে।
কাউকে দায়িত্ব তুলে নিতেই হবে নিজের হাতে।
এখণ মুভি থেকে একটু সরে যাই। প্রথমত, ম্যনেচেস্টার যা বলেছে, সেটা নিয়ে একটু ভাবতে গিয়ে দেখা গেল, তার কথার সাথে একমত না হয়ে পারা কিছুটা মুশকিল।
আইন আছে সত্য, কিন্তু সেই আইন তৈরি করছে কারা? ক্ষমতাশালীরা, নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। নিজেদের সুবিধা দেবার জন্য।
সত্যিকার অর্থে সাধারন মানুষ যেভাবে সবসময় বঞ্চিত ছিল, তাই আছে। তাদের বঞ্চনা করার এপ্রোচ চেঞ্জ হয়েছে, উপায় চেঞ্জ হয়েছে, কিন্তু সিচুয়েশন আছে সেই একই।
মানুষ বেসিকালি লোভী এবং সুযোগ পেলে দুর্নীতি করে। এ থেকে তাকে দুরে রাখার জন্য প্রাচীন কালে ধর্মীয় আইন প্রনয়ন করা হয়েছে, আধুনিক কালে রাষ্ট্রীয় আইন। আইন যেখানে কড়া অথবা মানুষ ভাবছে সে শাস্তি পাবে অপরাধ করলে, সেটা এখানে হোক আর পরকালে হোক, মানুষ নিজেকে সংযত রাখছে।
যারা ধর্মীয় আইনে বিশ্বাস হারিয়েছে, তাদের ঠেকাচ্ছে বা ঠেকাবার চেষ্টা করছে রাষ্ট্রীয় আইন। সেই আইন এর প্রয়োগ যদি কড়া এবং সঠিক হয়, মানুষ ঠিক থাকছে, যদি না হয়, তবে সুযোগ নিয়েই চলেছে বিভিন্নভাবে।
সাধারন মানুষ আইন মেনে চলে, কারন তার সুযোগ কম আইন ভেঙ্গে বেচে যাবার। ক্ষমতাবান মানুষ আইন মেনে চলার দায় নেয় না, কারন তারা আইন ভেঙ্গেও শাস্তি পাচ্ছে না।
ফলাফল, সারা পৃথিবীতেই যে অরাজকতা চলছে, তা চলছেই।
কখনও একজন মানুষ অনেক মানুষের উপরে অন্যায় সুযোগ নিচ্ছে, কখনও একটা দেশ ক্ষমতার জোরে অন্য দেশগুলোর উপরে অন্যায় সুযোগ নিচ্ছে। দেখবার কেউ নেই। রেগুলেট করা কেউ নেই।
এরকম সিচুয়েশনে সত্যিই মনে হয়, আইনটা নিজের হাতেই তুলে নেই!!
সমস্যাটা আসলে কোথায়? কেন এরকম হচ্ছে? মানুষকে কি আসলে ডান্ডা বেরি পড়িয়ে সবসময় সোজা রাখতে হবে? আগে ছিল ধর্মীয় আইন, এখণও আছে। কিন্তু ধর্মীয় আইনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল, এটার পুরস্কার আর শাস্তি, দুটোই মরে যাবার পরে।
এই পুরস্কার আর শাস্তি স্কীমের উপরে ভরসা হারানো অসম্ভব নয়, যেহেতু যুক্তিগ্রাহ্য, সলিড প্রমান কেউ দেখাতে পারেনি এখনও, পুরস্কার বা শাস্তি, কোনটার বিষয়েই।
রাষ্ট্রীয় আইনের দুর্বলতা হল নজরদারির অভাব। একে তো পর্যাপ্ত পরিমান নজরদারি সম্ভব নয়, তার উপরে যে সবার উপরে নজর রাখছে, তার কার্যকারিতার উপরে কে নজর রাখবে, কে এই নিশ্চয়তা দেবে যে সে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে?
টেকনোলজির উন্নয়নের সাথে সাথে ভবিষ্যতে হয়ত এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে, যাতে প্রত্যেকটা মানুষকে প্রতিটা মুহুর্তে সারভেইল্যান্স সিস্টেম এর আওতায় আনা সম্ভব হবে। প্রতিটা মানুষের প্রতিটা আচরণ কম্পিউটারে লগড হয়ে থাকবে আর তারই ভয়েই হয়ত কেউ কোন অপরাধ করবে না।
প্রশ্ন জাগে আবার, যারা নিয়ন্ত্রনে আছে এই কম্পিউটার সিস্টেম এর, তাদের কেউ যে আবার সেই লগবুক এডিট করে নিজেদের করাপ্টেড কর্মকান্ডের ধরা পরা থেকে নিজেদেরকে বাচাবে না এর নিশ্চয়তা কোথায়? উ উইল ওয়াচ দ্য ওয়াচার?
পাওয়ার টেন্ডস টু করাপ্ট, এবসল্যুট পাওয়ার করাপ্টস এবসল্যুটলি।
সমস্যাটার তাহলে সমাধান এভাবেও হচ্ছে না।
অন্য কোন সমাধান সম্ভব? মানুষ কি আসলেই চেঞ্জ হতে পারে? নাকি চিরজীবন মানুষকে এভাবেই নজরদারির ভেতরে ভালমানুষ হয়ে থাকতে হবে? আর সেই নজরদারির ভেতরে কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে নেবে সিস্টেম এর দুর্বলতা কিংবা অন্য কোন সুত্র ধরে?
এই চক্র কি চলতেই থাকবে?
প্রসঙ্গ ছেড়ে একটু দুরে যাই।
পৃথিবী জুড়ে ধর্মের ধারকেরা যাই বলুক না কেন, ইভোল্যুশন একটা প্রমানিত থিয়োরী। আগে কিছু বিষয়ে গ্যাপ ছিল, কিন্তু গত পঞ্চাশবছরে জেনেটিক বিদ্যার উন্নতি এবং বিভিন্ন পরীক্ষা এটা নিশ্চিত করেছে যে ক্রমাগত জেনেটিক পরিবর্তন এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার ফলে মানুষ আজ এসেছে যেখানে সে আছে।
ক্রো-ম্যাগনন মানুষ এর উদ্ভবের পর অনেক অনেক সময় পার হয়ে গেছে।
কিন্তু এই লক্ষ বছরে মানুষের মাঝে বড় কোন চেঞ্জ দেখতে পারেন নি বিজ্ঞানীরা, যেটা তাদের অবাক করেছে। বেসিকালি, লক্ষ বছর আগের ক্রো ম্যাগনন মানুষের মাত্র জন্ম নেয়া বাচ্চা ধরে নিয়ে এসে যদি বর্তমান মানব সমাজে বড় করা হয়, তাকে আলাদা করার তেমন কোন উপায় থাকবে না।
রহস্যটা কোথায়? কি মানুষের ইভোল্যুশনকে থামিয়েছে? বিজ্ঞানীরা ভাবছেন দুটো কথা:
এক হল, লক্ষ বছর খুব কম সময় কোন পরিবর্তন লক্ষ করার জন্য। আরও বেশি সময় লাগবে।
দুই হল, কোনভাবে মানুষের ইভোল্যুশন প্রসেস থেমে গেছে।
আমি কথা বলতে চাই দুই নম্বর চিন্তা টা নিয়ে।
আদিকাল থেকেই পরিবেশের পরিবর্তন জীবকুলের মাঝে পরিবর্তন এনেছে। পরিবেশ ভিন্ন হয়ে গেলে সেই ভিন্নতার সাথে যে কজন মানিয়ে নিতে পেরেছে, তারাই সারভাইভ করেছে, পরিবর্তিত জিন ট্রান্সফার করতে পেরেছে পরের প্রজন্মে। প্রতিকুল পরিবেশে মানিয়ে নেবার ক্ষমতাই ছিল সারভাইভ এবং নিজের বংশগতিকে বাচিয়ে রাখার একমাত্র উপায়।
একটা সময়, মানুষ ক্ষমতাধর হয়ে উঠতে শুরু করে তার বুদ্ধির জোরে।
প্রকৃতির দেয়া ইন্সটিংট, যেটার ব্যবহার দিয়ে অলমোস্ট সব প্রানী বেচে আছে, বংশবৃদ্ধি করছে, সেই ইন্সটিংটকে সে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে।
নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সে নিজের উন্নতি করেছে, নিজের চারপাশের পরিবেশের উপরে নিয়ন্ত্রন নিয়েছে, নিজের বাচার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে। প্রতিকুল পরিবেশকে নিজের সুবিধা মত পরিবর্তন করে নিতে শুরু করেছে নয়ত তার বিরুদ্ধে কোন রকম রক্ষা কবচ আবিস্কার করেছে।
প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশ ভিত্তিক সারভাইভাল অভ দ্য ফিটেস্ট এখন আর কার্যকর নেই। কারন প্রতিকুল পরিবেশে আর প্রতিকুল থাকছে না, মানুষ তাকে নিজের অনুকুল করে নিচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে আরও নেবে।
মানুষ আর চেঞ্জ হচ্ছে না, পরিবেশই চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।
মানুষের ইভোল্যুশন বন্ধ হয়ে গেছে। কারন প্রকৃতি মানুষকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা হারিয়েছে, মানুষই এখণ প্রকৃতিকে চ্যালেঞ্জ করছে প্রতিনিয়ত। প্রকৃতি মানুষের উপরে ছাটাইকর্মের মাধ্যমে পরিবর্তন আনয়নের উপায় হারিয়ে ফেলেছে। খুব সহজে ফিরে পাবে বলেও মনে হয় না।
এখণ সময় এসেছে, মানুষকে নিজেকেই নিজের ইভোল্যুশন এর দায় ঘাড়ে তুলে নিতে হবে।
কানাডিয়ান সায়েন্স ফিকশন লেখক রবার্ট জে, স্যয়ার ( টিভি সিরিজ ফ্ল্যাশ ফরওয়ার্ড তার বই এর উপরে বেজ করে বানানো হয়েছে। ) এর একটা সাই ফাই ট্রিলজি রয়েছে, নাম দ্য নিয়ান্ডারথাল প্যারালাক্স।
সেখানে তিনি একটা চমতকার ধারনার কথা বলেছেন। এটাকে বলা হচ্ছে নিয়ন্ত্রিত বিবর্তন।
না, তার গল্পের চরিত্ররা জেনেটিক এক্সপেরিমেন্ট চালায়নি নিজেদের উপরে। কারন তাদের মতে জেনেটিক এক্সপেরিমেন্ট অত্যন্ত নাজুক একটা জিনিস এবং এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে যাওয়া বিপজ্জনক। তারা সমাজে বিদ্যমান ভায়োলেন্স এবং করাপশন ঠেকাতে যে ব্যবস্থা নিল সেটা হল এরকম,
শক্ত সামাজিক কাঠামো তো রয়েছেই, আইনও রয়েছে। কিন্তু কেউ কোন অপরাধ করলে, বিশেষ করে ভায়োলেন্স টাইপ অপরাধ করলে বা কারও মাঝে কোন রকম অপরাধ প্রবনতা দেখা দিলে এবং সেটা প্রমানিত হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।
কি সেই শাস্তি? কারাগার? হত্যা? নির্বাসন? কোনটাই নয়।
প্রথমে তাকে সমাজের গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হবে এবং সে যেন তার মাঝে থাকা ভায়োলেন্স বা অপরাধ প্রবনতার জন্য দায়ী এর যে জিন, সেটা যেন সে পরবর্তী জেনারেশনে ছড়িয়ে দিতে না পারে, সে জন্য তাকে জন্মদানে অক্ষম করে দেয়া হবে। শুধু তাকেই নয়, তার সাথে ৫০ শতাংশ জিন শেয়ার করছে এমন যে কাউকেই বংশবৃদ্ধিতে অক্ষম করে দেয়া হবে।
সে যা করেছে, এর জন্য তাকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে না, দায়ী করা হচ্ছে তাকে পরোক্ষে নিয়ন্ত্রন করতে থাকা জিনকে এবং সেই জিনকে সমাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে, বিলুপ্ত করে দেয়া হবে সময়ের সাথে সাথে। বিষয়টা যেন এরকম, পাপকে ঘৃনা কর, পাপীকে নয়!!
এবারে চিন্তা করুন, আস্তে আস্তে উগ্রতা, হিংস্রতা, অপরাধপ্রবনতার জন্য দায়ী জিনগুলো যখন সমাজ থেকে সরে যাবে, মানুষ কি আসলেই বেটার কিছু হবে না?
হয়ত অনেক সময় পরে, হয়ত কয়েকশ বছর পরে, হয়ত হাজার বছর পরে সত্যিই একদল মানুষ পৃথিবীতে বাস করবে যারা হবে সত্যিকার অর্থেই অসাধারন মানুষ। প্রত্যেকেই।
পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষ হবে ভাল মানুষ।
এটা কষ্টকল্পনা নয়, এটা ম্যাথ, এটাই নিয়ন্ত্রিত বিবর্তন এবং এটার বাস্তবায়ন সম্ভব।
ঠিক একই ভাবে, সমাজের গড় বুদ্ধিমত্তাও বাড়ানো সম্ভব। চিন্তা করুন, সবার গড় বুদ্ধিমত্তা ১২০ বা ১৫০ আইকিউ পয়েন্ট। কারও মাঝে নেই কোন রকম অপরাধপ্রবনতা, এরকম একটা সভ্যতা কোথায় যেতে পারে? কোন উচ্চতায় উঠতে পারে? আর সুপারম্যান? সেটাও হয়ত সম্ভব হবে কোনদিন!
আমরা আগে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রনে ছিলাম।
এখন কোন নিয়ন্ত্রন নেই। যদি শীঘ্র কোন রকম নিয়ন্ত্রন না নেয়া হয়, তাহলে চিন্তা করুন, গতিশীল একটা বাহন কোনরকম নিয়ন্ত্রন ছাড়াই ছুটে চলেছে... ফলাফল কি হতে পারে....
মানবজাতি ভাল নয়, কোনদিন পুরোপুরি ভালও ছিল না। তবে চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে ভাল হতে পারে।
এবারে ফিরে যাই সবার প্রথমে। দ্য এলিট।
তারা যা বলছিল, যথেষ্ট যুক্তি আছে, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ছাড়া উপায় থাকে না হয়ত টাইম টু টাইম... কিন্তু কোন রকম চেক এবং ব্যলান্স ছাড়া এটা নিয়মিত ঘটতে থাকলে করাপশন আসতে বাধ্য। এবং শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে....
সুপারম্যান এই বিপদ সম্পর্কে জানে এবং বোঝে বলেই সবরকম ক্ষমতা থাকার পরেও, সবরকম আইন ভেঙ্গে ভাল, নিরাপদ থাকার ক্ষমতা থাকার পরেও সে বলে, কেউ ই আইনের উর্ধ্বে নয়, এমনকি আমিও নই।
ডিসি ফিকশনাল ইউনিভার্সের পৃথিবীতে সুপারম্যান ইজ দ্য আলটিমেট, এবসল্যুট পাওয়ার। সেই পাওয়ার যদি করাপ্ট হয়ে যায়... ফলাফল অনুমান করা যায় সহজেই।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।