গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার।
এদিকে কমিশন সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে এম কে আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করি না। আপনারা যাঁরা ’৭৩ সালের নির্বাচন দেখেননি, তাঁরা ওই নির্বাচন সম্পর্কে জেনে নেবেন।
আওয়ামী লীগ কখনো ওয়াদা রক্ষা করে না। তারা জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু হয় অসত্য ভাষণ। ’
বিএনপির নেতা এম কে আনোয়ার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্রার্থীর কাছে লোক পাঠিয়ে তাঁকে নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সেল গঠন করে গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে প্রায় ৪০০ দলীয় লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডিসি, এসপি ও ওসি সরকারের নির্দেশে কাজ করছেন। আমরা তাঁদের তালিকা কমিশনকে দিয়েছি এবং তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছি। ’
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়ে এম কে আনোয়ার বলেন, প্রার্থী বা প্রার্থীদের পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কমিশন কঠোর হতে পারছে না। একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী টাকা বিতরণ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।
তাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার স্বার্থে সেনা মোতায়েন জরুরি।
এম কে আনোয়ার জানান, তাঁরা কাউন্সিলরের আগে মেয়র পদের ভোট গণনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কাউন্সিলরের ভোট আগে গণনা করা হলে কারচুপির আশঙ্কা থাকে।
এম কে আনোয়ারের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য
কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ সদস্যের দল থাকবে। পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গড়া ৫৭টি ভ্রাম্যমাণ দল ও ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিজ নিজ ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন সদস্য। থাকবেন র্যাবের ২৮টি দল ও সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্য। র্যাবের প্রতিটি দলে থাকবেন আট থেকে ১০ জন এবং প্রতি প্লাটুন বিজিবিতে থাকবেন ১৮ থেকে ২৪ জন।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব মিলে ১০ হাজারের বেশি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিশন সচিবালয় জানায়, নির্বাচনে ৩৯২ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, দুই হাজার ২৮৯ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও চার হাজার ৫৭৮ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।