বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লাল তীর লাইফস্টক লিমিটেডের গবেষকরা মহিষের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী জিনবিন্যাস উন্মোচন করেছেন বলে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সমন্বয়ক ফিরোজ শাহ শিকদার জানিয়েছেন।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য কাজী এমদাদুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চীনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে আমরা দেশের প্রথম কোনো প্রাণীর জিনোম আবিষ্কার করেছি। ”
জিনোম হলো প্রাণী বা উদ্ভিদের জিনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। এই নকশার ওপরই নির্ভর করবে ওই প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।
পশু সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমান মহিষের জীবনরহস্য উন্মোচনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠান বেইজিং জিনোম ইনস্টিটিউটের সহযোগিতা নিয়ে তারা এটা করেছে।
লাল তীরের পরিচালক তাবিথ আউয়াল জানান, দেড় বছর আগে হাতিয়ার একটি চর এবং দিনাজপুরের একটি এলাকা থেকে মহিষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর পশু সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অনুমতি নিয়ে এ গবেষণা চালানো হয়।
বিশ্বে এই প্রথম মহিষের জিনবিন্যাস উন্মোচন হয়েছে বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ এশিয়াভিত্তিক প্রাণী মহিষ বাংলাদেশে হালচাষ ও পণ্য পরিবহনের কাজে লাগানো হয়। মহিষের মাংস ও দুধও খাওয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী দেশী ও তোষা পাটের জীনোম সিকোয়েন্স উম্মোচন করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।