ঐতিহাসিক শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতাপুরুষ এবং নতুন প্রজন্মের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অমি রহমান পিয়াল। তার একটা ছবি হঠাৎ করে এখন বাংলাভাষী নেটিজেনদের পাতায় পাতায় ঘুরপাক খাওয়া শুরু করেছে।

ছবিটি প্রকাশ করার কৃতিত্ব কোন এন্টি আওয়ামী-শাহবাগি কতৃপক্ষের নয়। বরং শাহবাগি দুই দল শুয়োরপালের কামড়াকামড়ির ফলে এই ছবির আগমন। পিয়াল নিজে একদা অপ্রকৃতিস্থ মদ্যপ অবস্থায় নিজের ফেসবুকে এটা আপলোড করে দিয়েছিলো।

পরে সংবিৎ ফিরে পাওয়া মাত্র সরিয়ে ফেলে, তবে তার আগেই নিজের ঘরের শত্রু বিভীষণরা সেভ করে রেখে দিয়েছিলো।

এখন টাকা পয়সা আর মেয়ের ভাগাভাগি নিয়ে নিজেদের ভেতর কামড়াকামড়ির কারণে তাকে অপদস্থ করার জন্য শাহবাগিরাই এটা প্রকাশ করেছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার পিয়াল একজন উলঙ্গ মেয়েকে চুমু খাচ্ছেন যিনি তার স্ত্রী নন। মোটামোটি শৈল্পিক ঘরানার ছবি, সেমি-ন্যুড।

ছবিতে মেয়েটির ভঙ্গিমা দর্শকবৃন্দকে কোন এক রহস্য চিন্তায় আকুল করতে পারে।

তাজাখবর ও হ্যালোটুডের একনিষ্ঠ পাঠকমহল ধ্বজভঙ্গ বাংলাদেশী যুবকের দল এ উপলক্ষে ভালোই আনন্দিত হচ্ছে। এছাড়াও ছবিটা দেখে অনেকে উদ্বেলিত, কেউ কেউ উত্তেজিত এবং অনেকে ঘৃণায় আপ্লুত।

যাইহোক, এ নিয়ে রসিয়ে রসিয়ে বিস্তারিত আলাপের প্রয়োজন দেখি না। আমার সিম্পল একটাই প্রশ্নঃ

আপনি কি অন্য কিছু আশা করছিলেন?

শাহবাগিরা আমারব্লগ নামে ব্লগ খুলে যখন সব মেয়ে ব্লগারদের সাথে যৌন সম্পর্ক শুরু করলো, তখন আপনি অবাক হননাই। বরং আপনার মা-বউ-বোনদেরকে শাহবাগে পাঠিয়েছিলেন।


শেখ হাসিনার সহকারী মাহবুবুল শাকিল নিউইয়র্কে আরেক আওয়ামী কুটনৈতিক শাহনাজকে করতে গেলে তার শাস্তি না হয়ে বরং অবস্থান আরো শক্ত হয়।
ঐ কুলাঙ্গার দল আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরায় পুলিশ-র‍্যাব-বিজিবিকে কমান্ড দিয়ে অভিযান চালায়, তারপর সে অভিযানে নারী নির্যাতনের খবর শুনে আপনে অবিশ্বাসে মাথা নাড়েন।
সচলায়তনের ব্লগারদের পারস্পরিক স্ত্রী-লাগানো নোংরা কর্মকান্ডের কথা যখন বলেছিলাম, বিদ্রুপে হেসেছিলেন। কারণ আমি নাম বলে ঐ স্পেসিফিক পরিবার ভাংতে পারবো না।
ইডেনে তাপসের রঙ্গলীলা, পুলিশে মখার কার্যক্রম এগুলো দেখেও আপনি বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা।


এইসব যথেচ্ছা নোংরা যৌনাচার যে আওয়ামী-শাহবাগি যৌথ চেতনার অংশ, তা আপনি বুঝতে অক্ষম।
কোন সুস্থ রুচির ভালো একজন মানুষ শাহবাগি হতে পারেনা, এটা বললে আপনি ক্ষেপে যান। আপনার মগজ চেতনার রসে ম্যারিনেটেড হয়ে আছে।
তারপরও আপনি কিভাবে অন্য কিছু আশা করতে পারেন?

এই একটা ছবিতে অমি পিয়ালকে অপমান করার কিছু আমি দেখিনা। বরং এ ছবিতে যে শাহবাগিদের আদর্শ, তাদের কাজকর্ম ও চিন্তাভাবনার ধরণ বুঝার একটা সুযোগ যে এসেছে, ঐটা আপনার মাথায় ঢুকলেই আমি খুশি।



ছবি তো প্রকাশ করেছে ওরা মাত্র একটা, বাস্তবে কত শত ঘটনা ঘটেছে তার কোন অনুমান আছে আপনার? এখন আসবে ফ্রগতিশীল যুক্তির পালা। দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পারস্পরিক সম্মতিতে কিছু করলে তাতে দোষের কি আছে??? হাহাহাহাহা। বাঙালী!

আর আগের মতো ভেবে গেলে, আপনি অন্য কিছু আশা করতেই পারেন। অসুবিধা নাই। বরং বাস্তবতা হলো, এই ছবি প্রকাশ হওয়াতে পিয়ালের গলায় আরেকটা বাড়তি কৃতিত্বের মালা যোগ হয়েছে।

ভবিষ্যতে এই পিয়াল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী হওয়ার রাস্তা সুগম হয়েছে।

এইটা বাংলাদেশ। এবং এটাই শাহবাগ ও আওয়ামী লীগ।
এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। জাফর কাযযাব ষাড়ের চেতনা ফিলটারে পিয়াল এ প্লাস পেয়ে পাস করে গেসে।

কনগ্রাচুলেশন্স।





।