ভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার। ভিতরে রোগীদের ভীর দেখে কার্পেণ্টার(কাঠ মিস্ত্রী) বাইরে অপেক্ষা করছেন। কোন একটা কাজে তাকে জরুরী ভিত্তিতে তলব করা হয়েছে।
রোগী ১: পেটের ভিত্রে গুড়মুড় শব্দ করে সবসময়। কিচ্ছু খাইতে পারি না।
চোক্ষে সরিষার ফুল দেখি সারাক্ষণ। ডাক্তার সাব কিছু একটা করেন।
ডাক্তার: হুম্মম্ম,বুঝছি। প্যারাসিটামল দুইবেলা।
রোগী ২: ডাক্তার সাব আমি মনে হয় আর বাচুম না।
তিন রাইত ঘুমাইতে পারিনা। মাথায় খালি টেনশন। কি করমু কিছু বুঝতাছি না।
ডাক্তার: বহুত ঝামেলায় আছেন দেখছি। ভালো কোন ওষুধ দেয়া লাগবে।
প্যারাসিটামল তিনবেলা। গুঁড়া করে খাবেন। বেশি কাজে দিবে।
রোগী ৩: ডাক্তার সাব,বন্ধুরা কয় আম্রার নাকি ক্যান্সার হইছে। আমি নাকি শুধু মুরগীর মত ঝিমাই।
আমি বিশ্বাস করি নাই। তয় আইজ এক বন্ধু জোর কইরা ধইরা নিয়া আইছে। অহন আমি কি করাম!!!!
ডাক্তার: (কান্সারের কথা শুনে ডাক্তার প্রথমেই একটা মুচকি হাসি দিলেন) হুম। ক্যান্সার হতেই পারে। মানুষেরই তো ক্যান্সার হবে তাই না।
আপনার জন্য বিশেষ ওষুধ আছে। এক পাতাতেই ফলাফল। প্যারাসিটামল সর্ববেলা। পরেরদিন সকালে বাংলা সিনেমার নায়িকার মতন বন-বাদাড় দিয়ে ফালায় বেড়াবেন। তবে ওষুধটা পানির সাথে গুলিয়ে খাবেন।
কার্পেণ্টার: স্যার আসতে পারি।
ডাক্তার: আসুন। কি সমস্যা আপনার??
কার্পেণ্টার: স্যার আম্রার তো কুনো সমস্যা নাই।
ডাক্তার: কি!!! কোন সমস্যা নাই?? এইটা তো বিশাল বড় সমস্যা। (ডাক্তার বিস্মিত হয়ে নার্সকে ডাকছেন) নার্স!!!প্যারাসিটামলের বাক্সটা নিয়ে আসো তো।
কার্পেণ্টার: স্যার আমি রুগী না। কার্পেণ্টার।
ডাক্তার: ও তা আগে কইবেন তো। আমিতো এখনই প্যারাসিটামল গুলিয়ে ইনজেকশন পুশ করতে যাচ্ছিলাম । যাহোক আপনাকে আমিই ডেকে পাঠাইছি।
আমার বসার চেয়ারটা ‘ভাইব্রেশন উইথ রোটেশন’ দিচ্ছে। কিছু একটা করেন।
কার্পেণ্টার: স্যার,সহজ সমাধান। প্যারাসিটামল আমরণ!!!!!
(বিদ্রঃ সকল চরিত্র ও ঘটনা বাস্তব। কেউ যদি বাস্তবতার সাথে মিল খুঁজে না পান তাহলে ইমাজিন করে নিবেন।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।