আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রংপুরে একক প্রার্থী নিয়ে অস্বস্তিতে বড় দলগুলো

রংপুরের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় একাধিক প্রার্থী রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিতে। একক প্রার্থীর বিষয়ে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মানছেন না কেউই। তবে কোন্দলের কারণে একটি উপজেলায় প্রার্থীই দিতে পারেনি বিএনপি। মিঠাপুকুর উপজেলায় একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী। জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য সামসুল কাদের সরকার ও মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুন্নবী দুলাল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য মঞ্জুর কাদের এবং আনিছুর রহমার লিটন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

কোন্দলের কারণে একক প্রার্থী দিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগও। দুলালের সঙ্গে নেই বিএনপি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, দুলাল আমাদের প্রার্থী নয়। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে মেনে নিতে পারছেন না। যে কারণে আমরা তাকে সমর্থন দেইনি।

মিঠাপুকুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাহুর রহমান মিলন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান পারভেজ, উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম রব্বানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মওদুদা আক্তার। দলীয় কোন্দল আর ক্ষমতায় থেকে অনিয়ম ও নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন না করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী মওদুদা আক্তারকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে কাজ করছেন। ফলে চরম বেকায়দায় পড়েছেন জাকির হোসেন। এ উপজেলায় বিএনপির দুটি কমিটি। এক গ্রুপ সমর্থন না দেওয়ায় অপর গ্রুপের আহ্বায়ক শাহ্ মো. শাহজাহান, বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান রানা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

জামায়াত প্রার্থী গোলাম রব্বানী পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় পোড়ানোর তিন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি। পীরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাসুরের ছেলে ছায়াদত হোসেন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মেশকোয়ারা হাবিব মুক্তি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি নূর মোহাম্মদ মণ্ডল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ বকুলের পক্ষে প্রচারণা চালালেও সমস্যায় ফেলেছে মুক্তি। গত উপজেলা নির্বাচনে সামান্য ভোটের ব্যবধানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হন মুক্তি। অপরদিকে এ উপজেলাতে বিএনপির দুটি কমিটি।

সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে কমিটি শক্তিশালী। নবম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনয়ন না দেওয়ায় বিএনপিতে যোগ দেন নূর মোহাম্মদ মণ্ডল।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।