এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রের ৫ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রস্তাবের বিরোধিতা করলে প্রথমে হট্টগোল এবং পরে মারামারির উপক্রম হয়।
ভারতীয় পার্লামেন্টের ইতিহাসে বিরল এই ঘটনার আকস্মিকতায় মর্মাহত হয়েছেন মনমোহন সিং। গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনা একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তেলেঙ্গানাবিহীন সিমন্ধ্র অঞ্চল থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া সদস্য কে এস রাও, ডি পুরানদেশওয়ারি, কে সূর্য্যপ্রকাশ ও চিরঞ্জীব স্পিকারের সামনে রেলিং দেয়া ঘেরা স্থানে ঢুকে ঐক্যবদ্ধ অন্ধ্র প্রদেশের দাবি জানাতে থাকেন।
এক পর্যায়ে নিজ নিজ আসন থেকে তাদের সঙ্গে গলা মেলান একই অঞ্চলের আরো দুই মন্ত্রী এম পাল্লাম রাজু ও ক্রুপারানি কিল্লি।
এরই মধ্যে বদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেসের এম জগন্নাথ ও টিডিপির এন শিবপ্রসাদ। দুজনের মধ্যে প্রায় হাতাহাতির উপক্রম হয়।
পুরো সময় স্পষ্টত লোকসভার সদস্য দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সে সময় রেলওয়ের জন্য অন্তর্বর্তী বাজেট প্রস্তাব করছিলেন রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়গ। কিন্তু হট্টগোল চরম আকার ধারণ করলে তিনি তার বক্তব্য শেষ না করেই আসনে বসে পড়েন।
পুরো সময় ধরে আইনপ্রণেতাদের লাফঝাঁপ দেখার পর বক্তব্য রাখেন মনমোহন সিং।
তিনি বলেন, “যা ঘটে গেল, তা গণতন্ত্রের জন্য দুঃখজনক। এতে আমার হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। ”
পার্লামেন্ট বিষয়কমন্ত্রী কমল নাথও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধিতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি আর উছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, তা সত্যিই খুবই দুর্ভাগ্যজনক। লোকসভার ভবিষ্যতের জন্য এটা খুবই বাজে দৃষ্টান্ত। ”
বিক্ষুব্ধ মন্ত্রী পাল্লাম রাজু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবটি ‘সঠিক’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিলে পরিষ্কারভাবে অবিচার করা হয়েছে। লোকসভায় তড়িঘড়ি করে বিলটি তোলার কোনো কারণ ছিল না।
“আমরা আশা করেছিলাম, লোকসভায় বিলটি নিয়ে চূড়ান্ত লড়াই হবে। ”
লোকসভা কাণ্ডের কয়েকঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দেয়া মধ্যাহ্নভোজে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনো গঠনমূলক আলোচনা ছাড়া বিশৃঙ্খলার মধ্যে তেলেঙ্গানা বিল পাস করা সম্ভব নয়।
শেষ খবরে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা বিষয়টির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজতে স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।