সফরের দ্বিতীয় দিন দুপুরে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লোকসভার অধিবেশন দেখতে যান বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকার।
সকাল ১১টায় তিনি অধিবেশন দেখতে ঢুকলে লোকসভার সব সদস্যের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানান স্পিকার মীরা কুমার। শিরীন শারমিন বসেন গ্যালারিতে বিশেষ একটি আসনে।
তেলেঙ্গনা রাজ্যের রূপরেখা নিয়ে গত দিন ধরে উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের স্পিকার লোকসভা অধিবেশন দেখতে ঢুকলে মীরা কুমার অধিবেশনে তার উপস্থিতির ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ-ভারতের একই সাংস্কৃতিক ঐহিত্যের কথা তুলে ধরে মীরা কুমার বলেন, শিরীন শারমিনের এই সফর দুই দেশের প্রীতিময় বন্ধন আরো গাঢ় করবে।
এরপর অধিবেশন আগের দিনের মতোই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তেলেঙ্গানা রাজ্য নিয়ে বিতর্কে। তুমুল উত্তেজনার মধ্যে অধিবেশন মুলতবি করে দেন মীরা কুমার, বহিষ্কার করেন ১৮ পার্লামেন্ট সদস্যকে।
দুপুর ১২টায় অধিবেশন পুনরায় শুরু হলেও শিরীন শারমিনকে তখন আর দেখা যায়নি গ্যালারিতে।
সফরে ভারতের ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
তিনি লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ এবং রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের শুরুতে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ভারতীয় পার্লামেন্টের স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তার ঠিক চার বছর পর ভারতে গেলেন শিরীন শারমিন।
১৫ ফেব্রুয়ারি শিরীন শারমিনের ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।