সবাইকে শুভেচ্ছা।
ব্যাপারটা অনুভূতিতে চমৎকার সন্দেহ নেই। রোমাঞ্চকর তো বটেই। কিন্তু কল্পনাকে যেন হার মানায়। এও কি সম্ভব! এমনও কি হয়? ঠিক আছে, হতে পারে হয় তো।
মানুষের মনতো, কত বৈচিত্রে ভরা। কিন্তু সবকিছুরই একটা সময় থাকে, অবস্থাগত সময়। নাকি সময়ও এ ক্ষেত্রে হার মেনে যায়! কত কিছুই যেন লুকিয়ে থাকে জিবনের বিস্তৃত সীমানায়। মানব-মানবীর কতটুকু আর জানা যায়। যেমন আজ যদি ব্যাপারটা এভাবে প্রকাশ না পেতো, তা'হলে ধরে নেয়া যায় হয়তো অনুভূতিতে রোমাঞ্চকর এক অবিশ্বাস্য প্রেম কাহিনী পাথরচাপা পড়ে থাকতো অনন্তকাল।
ফোনটা রেখে শাহেদ আসন ছেড়ে জানালাটার পাশে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো ভাবছিল। মল্লিকার ফোন ছিল। মল্লিকা প্যাটেল, ভারতীয় নারী জাম্বিয়াতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। যেমন আরও অনেক ভারতীয় বসবাস করছে। এখানে অভিবাসন পাওয়া অনেক ভারতীয়দের দেখা যাবে যাদের বেশীর ভাগই গুজরাট থেকে আসা।
মল্লিকাও গুজরাটী। মল্লিকার সঙ্গে শাহেদের পরিচয় আজ থেকে পাঁচ বছর আগে। আসলে পরিচয়টা মল্লিকার সঙ্গে একা নয়, ওর স্বামীর সঙ্গেও। ওদের অডিও-ভিডিওর ব্যবসা। বিক্রি এবং ভাড়া দু'টোই।
প্রথমে ছিল অডিও-ভিডিও ক্যাসেটের, এখন সিডি ডিভিডির। পাশাপাশি রেডিমেড গার্মেন্ট্সের। দোকানটা ইংরেজী 'এল' প্যাটার্নের। এল-এর আনুভূমিক অংশটায় মেয়েদের পোশাকের ডিসপ্লে। দোকানটা একেবারে ছোট নয়।
বেশ ঝক্ঝকে, পরিপাটি করা।
শাহেদ এখানে এসেছে চুক্তিভিত্তিক চাকরী নিয়ে। বিদেশী কোম্পানীতে প্রশাসনিক কোঅর্ডিনেটর। আফ্রিকার প্রায় সব দেশেই এই রকম বাইরের লোকজন চাকরী নিয়ে বসবাস করে থাকে। চাকরীর সুবিধাও মন্দ নয়।
বাড়ি-গাড়ি সবই পাওয়া যায়। শাহেদও আছে গত আট বছর ধরে স্ত্রী আর তিন সন্তান নিয়ে। বাংলাদেশ থেকেই এসেছে দু'টোকে নিয়ে, আর ছোট মেয়েটার জন্ম হয়েছে জাম্বিয়াতেই। তাকে কি জন্মসুত্রে আফ্রিকান বলা হবে! এটা নিয়ে বেশ গবেষনা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। শাহেদ মনে মনে হেসেছে, ওর মেয়েকে বলা হবে আফ্রিকান!
আফ্রিকাতে দু'একটি বাদ দিলে বেশীর ভাগ দেশেই সময় কাটানো কঠিন একটা ব্যাপার বলা যায়।
বিশেষ করে ছুটির দিনে। দোকানপাট সন্ধ্যার পর সব বন্ধ হয়ে যায়, বড় কিছু শপিং মল ছাড়া। অবশ্য ফাস্ট ফুডের দোকানগুলো খোলা থাকে। কিন্তু প্রতিদিনতো আর ফাস্ট ফুড খাওয়া যায় না। শাহেদরা যখন বাংলাদেশ থেকে আসে তখন রাতের লুসাকা শহরের অবস্থা দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিল।
এই মৃত নগরীতে থাকবে কি করে! কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেকটাই পাল্টে গেছে। তারপরও অবসরে ঘরে বসে ভিডিওতে ছবি দেখা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বললেই চলে। যদিও ছুটি পেলেই আউটিং-এ যাওয়া যায়, বিভিন্ন রিসোর্ট অথবা সাফারিতে। আফ্রিকাতে এটা একটা বাড়তি পাওয়া। জঙ্গলের ভিতরে সাফারির থ্রিল আর অ্যাডভেঞ্চার আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
আর তাই বিদেশী ট্যুরিস্টদের ভিড় লেগেই থাকে এখানে। তবে সেটা আবার ব্যয়সাপেক্ষ।
এই ভিডিও ভাড়া বা কিনতে যেয়েই পরিচয় ওদের সঙ্গে। মিঃ প্যাটেল মানুষটা ভাল। হাসিখুশি।
দেখলেই জাগ্জিৎ সিং-এর কথা মনে পড়ে। চেহারাটা সেই আদলের। আর তার স্ত্রী মল্লিকাও তেমনি ভদ্র, মিশুক। সুন্দরী, টানা টানা চোখ দু'টো কথা বলে। শাহেদও সুদর্শন, কথা বলে সুন্দর করে।
কথার মাঝে রসিকতা করতে পারে। সহজেই মিশতে পারে না, কিন্তু নিজের বৈশিষ্টের সঙ্গে মিলে গেলে ভাব জমাতে সময় লাগেনা। মিঃ প্যাটেল দোকানে না থাকলে মাঝে মাঝে শাহেদ দুষ্টুমি করে মল্লিকাকে বলতো, আপকো সিংজি কাহা হ্যায়?
শুনে মল্লিকা ছোট্ট একটা সুন্দর হাসি দিয়ে বলতো, বাহার গায়া।
পরিচয়ের ক'দিন পর থেকেই ওদের কাছে শাহেদের আসা-যাওয়াটা কি কারনে যেন অন্যান্য সদস্যদের চেয়ে সহজ হয়ে যায়। সদস্য কার্ড রেজিস্ট্রি করতে হয়, শাহেদও করেছে।
তারপরও যেন অন্যরকম। বাংলাদেশী বলেই হয়তো। ভিডিও ক্যাসেট আনতে যেয়ে মাঝে মাঝে দেখা যায় মিঃ প্যাটেল বাইরে গেছে অন্য কোনও কাজে, আরও কিছু ব্যবসাও আছে নিশ্চয়ই। এখানে ভারতীয়দের তাই থাকে, নইলে চলবে কি করে। যে কারনে মল্লিকার সঙ্গেই কথা হতো।
নিজে থেকেই বলে দিতো কোন ছবিটা ভাল বা মন্দ। কিন্তু অন্যদের বেলা্য় তা নয়। তাদের বিক্রি হওয়াটাই জরুরী। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একদিন তো আসতেই হয়, উইক এন্ড-এ। ভাল ছবি এলে কাজের দিনেও ওদিক দিয়ে আসতে যেয়ে ঢু মেরে আসে, ছবি পাওয়া গেলে নিয়েও আসে।
মাঝে শাহেদ বদলি হয়ে চলে গিয়েছিল অন্য শহরে। প্রায় তিন বছর থেকে কিছুদিন হলো ফিরে এসেছে আবার রাজধানি শহরে। আবার শুরু হয়েছে সেই মল্লিকাদের দোকানে আসা যাওয়া। কিন্তু এবার যেন আরেকটু অন্যরকম। শাহেদ লক্ষ্য করেছিল ওকে দেখেই মল্লিকার মুখটা বিস্ময় আর আনন্দে ভরে উঠেছিল।
নিজ থেকেই জিজ্ঞেস করেছিল, এতদিন ছিলেন কোথায়? আমিতো ভেবেছিলাম চলেই গিয়েছেন বোধ হয়।
শাহেদ হেসে বলেছিল, চলে যাবো মানে? কোথায়?
কেন, আপনার দেশে। যারা চাকরী নিয়ে আসে তারা এক সময় চলে যায় চুক্তি না বাড়িয়ে।
কথা যা হবার তা ইংরেজী অথবা হিন্দীতেই বলতে হয়। শাহেদ বলার মতো হিন্দী জানলেও আরষ্টতার কারনে ইংরেজীতেই বলে।
শাহেদ বললো, না, এখনও চলে যাওয়ার কথা ভাবিনি। বদলি হয়ে গিয়েছিলাম, ফিরে এলাম আবার।
যাক, তা'হলে এখন থেকে দেখা পাওয়া যাবে আপনার।
নিশ্চয়ই, না এসে উপায় আছে? আপনিই তো বাঁচিয়ে রাখেন। শাহেদ একটু রসিকতা করলো।
মানে? মল্লিকা কিছু না বুঝে বললো।
মানে আপনার ভিডিওগুলো না থাকলে সময় কাটানো কঠিন ছিল।
মল্লিকা এবার হাসলো।
ইদানিং ডিভিডি'র ডিমান্ড বেড়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝেই এরকম হচ্ছে, শাহেদ নতুন কোন ছবি আনতে গিয়েছে কিন্তু কেউ না কেউ নিয়ে গিয়েছে অথবা ফেরত আসেনি।
শাহেদের হতাশা মল্লিকা লক্ষ্য করেছে হয়তো আর তাই একদিন দ্বিধা না করেই বললো, আমাকে আপনার ফোন নাম্বারটা দিন। কোন ছবি হাতে থাকলে অথবা নতুন কোন ভাল ছবি এলে আমি ফোন করে জানাবো।
শাহেদ একটু বিস্মিতই হলো এমন সৌজন্যের জন্য। বললো, তাহ'লে তো ভালই হয়। কিন্তু চটজলদি মাথার বুদ্ধি খরচ করে বাসার নাম্বার না দিয়ে অফিসের নাম্বারটা দিল।
বাসায় কোন মহিলা ওকে চেয়ে ফোন করলে শেষে আবার কি হয়ে যায় কে জানে! অফিসের নাম্বারটা দেয়ার সময় মল্লিকাও একটা চিরকুট বাড়িয়ে দিয়ে বললো, এখানে আমার নাম্বার আছে, মানে এই দোকানের। আপনার যদি কোন কিছু বলার থাকে আমাকে জানিয়ে দেবেন।
শাহেদের ভিতরে হঠাৎ করেই যেন কি একটা নাড়া দিয়ে গেল।
দু'দিন বাদেই শাহেদ ফোন পেয়েছিল। শাহেদের অফিসে সবার রুমেই পিএবিএক্স এক্সটেনশান লাইন।
অফিস সেক্রেটারী কৃষ্ণকায়া ক্যাথরিন লাইন দেয়ার আগে জিজ্ঞেস করেছিল, স্যার, ইয়োর কল।
হু ইজ ইট?
আ লেডি নেইম্ড মালিকা।
বুঝতে পারলো মল্লিকা। নড়ে চড়ে বসে শাহেদ বললো, ওকে, পুট হার থ্রু।
শাহেদ বললো, হ্যালো।
হ্যালো। এই প্রথম ফোনে মল্লিকার কন্ঠ শুনতে পেলো শাহেদ। যেন এক ষোড়ষী কথা বলছে। মিষ্টি, শান্ত এবং ক্ষীন।
হ্যা, কেমন আছেন? শাহেদ সহজ হতে চাইলো।
ভাল। আপনার জন্য কোন ছবি রাখবো এই উইক এন্ডে?
নিশ্চয়ই। যদি ভালো কিছু থাকে।
ঠিক আছে। কি করছেন? ব্যস্ত?
হ্যা, একটু ব্যস্ত তো থাকতেই হয়।
আচ্ছা, কাজ করুন। রাখছি।
সেই থেকে ফোনে কথা বলা শুরু মল্লিকার সঙ্গে। পরের সপ্তাহেই ফোন করেছে আবার। ফোন রাখবার সময় বলেছে, সময় হলে ফোন করতে পারেন।
কথা বলা যাবে।
কেন, আপনি ব্যস্ত থাকেন না?
উইক ডে-তে সকালে তেমন একটা ব্যস্ততা থাকে না। মাঝে মাঝে বোরিং লাগে।
আচ্ছা, সময় পেলে ফোন করবো। শাহেদ ফোন রেখে ভেবেছে শাহেদের প্রতি মল্লিকার কি কোন দুর্বলতা আছে!
এরপর শাহেদ সময় করে ফোন করেছে, মল্লিকা খুব খুশি হয়েছে এবং বন্ধুত্বের কথা বলেছে মল্লিকা।
যখন সবকিছু প্রায় সহজ হয়ে এসেছে, তখনই আজকের এই ব্যাপরটা ঘটলো।
মল্লিকাই ফোন করেছিল। বলেছে, আমরা কি 'তুমি' করে কথা বলতে পারি না?
শাহেদ বলেছে, উহু, তুমি করে বললে আমরা হয়তো আরো কাছে চলে আসবো। মনে হবে যেন আমরা প্রেম করছি।
আমরা প্রেম করছি না কি? তোমাকে তো আমি ভালই বাসি, বলিনি কখনো।
মল্লিকা সরাসরি কত সহজেই কথাগুলো বললো। একবারে তুমি করে। আজ শাহেদ যেন বুঝতে পারছে সাহসী পুরুষেরা নয়, মেয়েরাই।
শাহেদ যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কি বলছেন? সে আবার কবে থেকে?
গত পাঁচ বছর ধরে আমি তোমাকে ভালবেসে চলেছি।
তুমি যখন প্রথম এসেছিলে তখন থেকেই। মল্লিকা থামলো।
কিন্তু শাহেদ আকাশ থেকে পড়লো। বললো, কিন্তু আমি তো কিছুই জানি না! এ কি করে সম্ভব? বুঝতেও তো পারিনি কখনো!
মল্লিকা বলে, তোমাকে কিছুই বুঝতে দেই নি। এ কথা কি বলা যায়? সম্ভব-অসম্ভব বুঝি না, কিন্তু তোমাকে ভাল না বেসে কি পারা যায়?
তার মানে?
মানে-টানে কিছু বুঝি না।
এমনিতেই কেন যেন হয়ে গেল।
শাহেদ বলে, কিন্তু এই ভালবাসার অর্থ কি?
মল্লিকা বলে, কোন অর্থ নেই সেও আমি জানি। তোমাকেও আমি বলছি না যে তুমিও আমাকে ভালবাসবে। তুমি ছিলে না অনেক দিন। আমি কষ্ট পেয়েছি।
ভেবেছিলাম তুমি চলে গিয়েছ। যেদিন তোমাকে আবার দেখলাম সেদিনের অনুভূতি তোমাকে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তারপরও জানি তুমি একদিন চলে যাবে। তারপরও তোমাকে ভালবাসি, ভালবসবো।
মল্লিকা সুন্দরী মেয়ে।
ওর কথাবার্তা, ব্যবহার সবই আকর্ষনীয়। কিন্তু সেও তো একজন মা, দু'টো মেয়ে আছে দেখেছে একদিন ভিডিও শপে এসেছিল। বড়টা স্কুলের শেষ বর্ষে আছে। দু'দিন বাদে কলেজে উঠে যাবে। ছোটটা পঞ্চমে সম্ভতঃ।
আর শাহেদের বড় ছেলে দু'দিন বাদে ‘এ’ লেভেল দেবে। ছোট দুই মেয়ে। অষ্টম আর তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ছে। জমে যাওয়া সংসার, স্থিতিশীল। এর মধ্যে প্রেম আসে কোথা থেকে! কিন্তু একটা অন্য রকম অনুভূতি খেলেই যায় যেন শাহেদের মধ্যে।
শাহেদ বিয়ে করেছে ঘটা করে, দেখে শুনে। আ্যারেন্জ্ড ম্যারেজ। প্রেম কাকে বলে সেটা অবশ্য বিয়ের আগে জানা হয় নি। সেটা হয়েছে বিয়ের পরে। স্ত্রীর সঙ্গে ভালই আছে, সুখে আছে।
ফোন রাখার সময় মল্লিকা অবশ্য বলেছিল, তুমি আবার আসা বন্ধ করে দিও না যেন!
ফোনটা রেখে শাহেদ জানালার ধারে এসে ভাবছে এই সব কথা। ওর কি একটু অহংকার বোধ হচ্ছে ভিতরে ভিতরে। সে তো একজন পুরুষ। কোন সুন্দরী নারী যদি এভাবে বলে 'তোমাকে কি ভাল না বেসে পারা যায়' তা'হলে কোন পুরুষকে না উন্নাসিক করে ছাড়ে? কি আছে ওর ভিতরে যা মল্লিকা খুঁজে পেলো আর সবকিছু ভুলে ভালবেসে ফেললো একেবারে চোখ বন্ধ করে। সেও আবার পাঁচ বছর ধরে নীরবে! সেই কবেকার কথা অথচ শাহেদের ভিতরে এমন কিছুই ছিল না।
শাহেদ কি পারবে ওকে এখন ফিরিয়ে দিতে। কেমন অবোধ ভালবাসা মল্লিকার! কিন্তু শাহেদের ভিতরে একটু অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হচ্ছে। মল্লিকার কথাগুলো কানে লেগে আছে। এতো গুছিয়ে কথা বলে। কিন্তু শাহেদ একটু চিন্তিত হয়ে পড়ে মল্লিকার এমন অন্ধ ভালবাসার কথা ভেবে।
অন্ধ ভালবাসা জীবনে করুন পরিনতি বয়ে আনতে পারে। তবুও সত্যিই মনে হচ্ছে আজ মল্লিকার ওখানে যাওয়া উচিত। মন চাইছে যেতে। হ্যা, যাবে। নিজের আসনে ফিরে এসে হাতের কাজগুলো শেষ করে ফেললো।
... (আগামী পর্বে সমাপ্ত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।