আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নিউ অরলিন্সের প্রাক্তন মেয়র

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো মেয়র দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হলেন। নিউ অরলিন্স রাজ্যের প্রাক্তন ডেমোক্রাটিক মেয়র সি. রে. নাগিনকে (৫৭) অভিযুক্ত করা হয়েছে সিটির বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে।

জুরিরা মেয়রের বিরুদ্ধে ২১টি অভিযোগের মধ্যে ২০টি অভিযোগে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা প্রমাণ করেছেন। তিনি দুই টার্মে নিউ অরলিন্সের মেয়র ছিলেন এবং বিশেষ করে ভয়াবহ হারিকেন ক্যাটরিনার সময় তিনি মেয়র নিয়োজিত ছিলেন।

আইনজীবী ও ফেডারেল প্রসিকিউটর তানিয়া টেটলো জানিয়েছেন, ফেডারেল আইন অনুযায়ী প্রাক্তন মেয়য়ের সবোর্চ্চ ২০ বছরের সাজা হবে।

তবে  চূড়ান্ত সাজার আগে তিনি বন্ড নিয়ে জামিনে থাকলেও গৃহবন্দী থাকবেন।

সাজা ঘোষণার সময় মেয়র নাগিন আসামিপক্ষের টেবিলে দুই পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন তার স্ত্রী গ্যালারিতে বসে কাঁদছিলেন।

প্রাক্তন মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার সময় ৩০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। তার মধ্যে কিছু ব্যবসায়ীকে মেয়র নাগিনকে সিটি কন্ট্রাক্ট পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়।

মেয়র নাগিনের বিরুদ্ধে মামলার বিবরণে জানা যায়, তিনি তার দুই ছেলেসহ একটা গ্রানাইট ব্যবসা পরিচালনা করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে তিনি কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা না নিয়ে জ্যামাইকা, হাওয়াই, শিকাগো বা বিভিন্ন দেশ পরিবারসহ ভ্রমণ করতেন। বিনাপয়সায় সেলফোন ব্যবহার করতেন। নিজস্ব কোম্পানির মূল্যবান গ্রানাইট সস্ন্যাবের চালানও তিনি বিনাপয়সায় সিটি কন্ট্রাক্টের বিনিময়ে করিয়ে নিতেন।

তার বিরুদ্ধে আরেও অভিযোগ যে, তিনি দ্বিতীয় টার্মে অফিসে বেশিরভাগ সময় এই সমস্ত কাজে ব্যস্ত থাকতেন যা তার আইনজীবী,  হিসাবরক্ষক বা অন্য কর্মচারীদের করার কথা।

এক মিলিয়ন ডলার কন্ট্রাক্টের জন্য তিনি অর্ধ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিতেন।

তার দ্বিতীয় মেয়াদের শেষে, ২০১০ সালে সবচেয়ে চাহিদাপূর্ণ বছর যখন হারিকেন ক্যাটরিনায় শহর লণ্ডভণ্ড ছিল, সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে শহরবাসীরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।