সমপ্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় পেছনের পৃষ্ঠায় 'গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আজ আকস্মিকভাবে এক ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক-লোহাকৈর সড়কে ৩ কিলোমিটার, মৌচাক-ফুলবাড়ীয়া সড়কের ভান্নারা এলাকায় ৪ কিলোমিটার সর্বমোট প্রায় সহস্রাধিক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট এএনএম বদরুদ্দোজা রমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় পুলিশ ও তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গাজীপুরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সহযোগিতায় স্থানীয় ঠিকাদার, দালালের মাধ্যমে দিনে রাতে অবৈধ এ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
২০১৩ সালের ২০জুনের মধ্যে সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করার ঘোষনার পর থেকে সারা দেশের মত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঠিকাদার, দালালরা বাসাবাড়ীর মালিকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া শুরু করেন।
সংশষ্টি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামরাঙ্গাচালা, তেলিরচালা, মৌচাক, ভান্নারা, সফিপুর ও রাখালিয়াচালা, হরিণহাটি, রতনপুর, সিনাবহ, পূর্বচান্দরা, টান কালিয়াকৈর, দক্ষিণ চন্দ্রা, গোয়ালবাথান, মাহিষবাথান, লতিফপুর, সাহেব বাজার, শ্রীফলতলী, ঘাটাখালি, হিজলতলী, মাঝুখান, কাঠুরিয়াচালা, জানেরচালাসহ অর্ধশতাধিক গ্রামে গাজীপুর তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির লাইসেন্স প্রাপ্ত কিছু অসাধু ঠিকাদার ও দালাল চক্র বাড়ী বাড়ী ঘুরে একদিনের মধ্যে গ্যাস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিটি বাড়ী থেকে ৫০ থেকে ১ লাখ পর্যন্ত নিয়ে এসব সংযোগ প্রদান করেন।
কালিয়াকৈর পৌরসভার সড়ক খুড়াখুড়ির অনুমোদন না নিয়েই রাতের আধারে চুরি করে এ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। ফলে উপজেলার এসব এলাকার লোকের বাড়ীতে চোরাই গ্যাস সংযোগ দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকারও বড় ধরণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এখনো বাসা বাড়ীতে চোরাই গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অব্যাহত রয়েছে।
ভান্নারা গ্রামের সালাম মিয়া জানান, ঠিকাদার, স্থানীয় দালালচক্র ও গ্যাস কোম্পানির লোকজন মিলে বাড়ী ওয়ালাদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়ে নিজেরাই মুল গ্যাস পাইপ ছিদ্র করে বাসাবাড়ীতে এ গ্যাস সংযোগ দিয়েছিল। এসবের সাথে থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনও জড়িত রয়েছে ওই এলাকার লোকজন দাবী করে। আর গতকাল তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
গাজীপুর তিতাস বিতরণ কোম্পানির চন্দ্রা জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আম সাইফুল ইসলাম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করণ প্রক্রিয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।
যতদিন পর্যন্ত এ জোনের মধ্যে অবৈধ সংযোগ থাকবে ততোদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।