আই কিছু জানি না
মাসের শেষ দিন চলে আসলেই আজকাল আতংকে ভুগি। আতংকের কারণ আর কিছুই নয়, ডিপিডিসি! আমি জানি না সবার অভিজ্ঞতাই আমার মত কিনা, কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে আমার বিল শোধ করবো আর তাতেও যদি এত ভোগান্তি পোহাতে হয় তবে মনে প্রশ্ন জাগে, আমরা কি বিল পরিশোধ করছি নাকি বিল তুলছি!!
এই মাসের অভিজ্ঞতাই বলা যাক। বাবার ঝাড়ি খেয়ে, ভোগান্তি অবধারিত জেনেও আতংক পাশ কাটিয়ে বিল দিতে যখন তাদের অফিসে গেলাম তখন দেখি বিশাল লাইন। গেট ছাড়িয়ে সে লাইনের লেজ কোথায় গিয়ে যে ঠেকেছে বোধগম্য হল না। তবুও ভগ্ন-মনে কিছুদূর হেঁটে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম।
বুঝলাম আজ সারাদিন পার হবে এই লাইনে দাড়িয়েই। এরপর দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে একসময় প্রায় গেটের কাছে চলে এসেছি এমন সময় আর ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে গেলাম একটু নাশতা করতে। করে এসে দেখি আমার জায়গা দখল! কেউ আর জায়গা দেবে না! অগত্যা আবার গিয়ে পিছনে দাঁড়ালাম।
যাই হোক প্রায় ২ ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকার উপহার (!!) স্বরূপ মেইন গেইট এর ভেতরে ঢুকতে পারলাম। এরপর শুরু হল আসল যন্ত্রণা! কনুইয়ের গুঁতা আর ধাক্কাধাক্কি করতে করতে জান কাবাব! কে কার আগে যাবে তাই নিয়ে যেন বিশাল প্রতিযোগিতা।
এসব অম্লানবদনে সহ্য করতে করতে একসময় চলে এলাম কাউন্টারের একদম কাছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ঠিক তখনই হল লাঞ্চ ব্রেক। অফিসে যারা ছিল তারা কাউকে না দেখার ভান করে তাদের লাঞ্চ করতে চলে গেলেন। লাঞ্চ তো আমারও করা দরকার কিন্তু কিভাবে! একবার লাইন থেকে বের হলে আবার গিয়ে দাড়াতে হবে একদম পিছনে। উপায়ান্তর না দেখে মনঃস্থির করলাম এর শেষ দেখে ছাড়ব।
প্রায় এক ঘণ্টা পর উনাদের লাঞ্চ শেষ হল এবং শেষ পর্যন্ত আমি বিলটা দিতে পারলাম। মনে হল বিল দিতে এসে বিরাট কোন অপরাধ করে ফেলেছি! যাই হোক শেষ পর্যন্ত বিলটা তো দিতে পারলাম।
এভাবে প্রতিমাসে ভোগান্তি আর কাঁহাতক সহ্য হয়। মোবাইল ফোনে ফ্লেক্সি করা ছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে কিন্তু লাইনে না দাঁড়িয়ে বিল দেয়ার অন্য কোনও উপায় কি আছে? কারও জানা থাকলে একটু জানাবেন, প্লিজ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।