এদিকে রোববারের ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির’ ব্যানারে শিক্ষক-কর্মচারী একই স্থানে মানবন্ধন করেছেন।
প্রায় তিনশ শিক্ষক-কর্মচারী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পায়ে হেঁটে এসে বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধে দাঁড়ান।
তাদের ব্যানারে লেখা দেখা যায়- ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর বর্বোরোচিত পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এবং অ্যাকাডেমিক ভবন এবং হলসহ অবকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন। ”
শিক্ষক সমিতির সভাপতি সরকার আলী আক্কাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানববন্ধন শেষে তারা শিক্ষামন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাবেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন শুরুর কিছুক্ষণ পর সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে পৌঁছান এবং দুই পাশের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় হাই কোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা ও প্রেসক্লাবের উল্টো দিকে সেগুনবাগিচায় ঢোকার মুখে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।
কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুরান ঢাকার ইসলামপুর এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হলের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের রাবার বুলেটে এক শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে বিকালে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
ওই সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সরকার আলী ঘোষণা দেন, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষক সমিতিও এ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
‘তিব্বত হল’ দখলমুক্ত করতে চলতি মাসের শুরু থেকে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা, যে ছাত্রাবাসটি ঢাকা-৭ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি সেলিম ২০০০ সাল থেকে দখল করে রেখেছেন বলে তাদের অভিযোগ।
এদিকে রোববারের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক সৈয়দ ফারুক হোসেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।