জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিব্বত হলসহ বেদখল ১০টি হল উদ্ধারের দাবিতে পুরান ঢাকায় এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্দক ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, রায়সাহেব বাজার মোড় ও নয়াবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করলে গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাঁখারীবাজার মোড়, রায়সাহেব বাজার মোড় ও নয়াবাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ এবং ১৫টি টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
এ সময় গুলিস্তান-সদরঘাট ও আশপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। বিকাল ৩টা পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। এ সময় জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, হল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। একই সঙ্গে সর্বাত্দক ক্লাস-পরীক্ষা কর্মসূচিও পালন করবেন শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমাদের দাবি শীঘ্রই মেনে না নেওয়া হলে আমরা সহিংস কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হবা। এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্দতা জানিয়েছে জবি শিক্ষক সমিতি। এর আগে আন্দোলনে সংহতি জানায় আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল, বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সাদা দল, কর্মকর্তা সমিতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও জবি সাংবাদিক সমিতি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।