প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুস সবুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সকাল ৯টায় নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মাঝখানে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে চলবে বিকার ৫টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারও একই সূচিতে ভোটগ্রহণ হবে।
ঢাকা বারের ২৫টি পদের বিপরীতে এ নির্বাচনে রেকর্ড ৭১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে বরাবরের মতোই আওয়ামী লীগ সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সমিতির ১৪ হাজার ৩১০ জন সদস্য এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন বলে ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি আব্দুস সবুর জানান।
তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থক প্যানেলের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ হোসেন আলী খান হাসান সংগঠনের মনোনয়ন পাওয়া মোসলেহ উদ্দিন জসীমকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে না হওয়ায় ব্যালট পেপারে ৭১ জনের নামই থাকছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে এবার সভাপতি পদে লড়ছেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক। এ পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেলের অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া, যিনি গতবার এ পদে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসীমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সাদা প্যানেলের গতবারের পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে।
এই পদের আরেক প্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম লড়ছেন স্বতন্ত্র হিসাবে।
সাদা প্যানেলের বাকি প্রার্থীরা হলেন- জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি পদে তারিক হোসেন, সহ সভাপতি পদে মুনজুর আলম মুনজু, কোষাধ্যক্ষ পদে মকবুল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সহ সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুস সালাম খান, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে শাহাদাত হোসেন ভুইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিনয় কুমার ঘোষ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ ও দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুল হাই মামুন।
সম্পাদকীয় পদের নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি পদে রেজাউল করিম নিজাম, সহ সভাপতি পদে জহির রায়হান জসিম, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. শামসুজ্জামান, জ্যেষ্ঠ সহ সাধারণ সম্পাদক পদে আবু ইউসুফ সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান রঞ্জু, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আহমদ উল্যাহ আমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আফরোজা আলম লাকী ও দপ্তর সম্পাদক পদে শহীদ গাজী।
১৫টি সদস্য পদের জন্য দুই প্যানেলে মোট ৩০ জন প্রার্থী রয়েছেন। আর বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে সদস্য পদে প্রার্থী সংখ্যা মোট ৪০ জন।
২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনে ২৫টি পদে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩টিতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা এবং সভাপতিসহ ১২টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল।
প্রার্থী সংখ্যার পাশাপাশি এবার ভোটার সংখ্যাও এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।